সারাক্ষণ দৌড়ুচ্ছি গত প্রায় দুইমাস, গত ০৩ ফেব্রুয়ারি সারাদিন দৌড়োবার পর রাতের বেলা বরিশাল, দুপুরে সেখানে খেয়ে পটুয়াখালী, পটুয়াখালী’তে ঘুমাতে ঘুমাতে মধ্যরাত, সকাল বেলা একটু আরাম-আয়েস করে উঠে আবার দৌড়, ১৩:১৫ মিনিটে আমি মোবাইলে একটা এসেমেস পেলাম। জাবি মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র-কমান্ড প্রতিষ্ঠাকারী ৭ কমান্ডারের একজন, বন্ধু শামীম ভাই এর এসেমেস’টা হুবহু তুলে দিচ্ছি, ‘আমরা হতাশ ..
গত লেখাটি যারা পড়েছেন, পড়তে পড়তে একেবারে শেষে এসে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেকে মনে করেছেন বিচ্যুত একজন মানুষ, এবং সবশেষে ‘একটি জাগ্রত বাংলাদেশ বুকে নিয়ে আমাদের মৃত্যু হোক’ পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভেবেছেন ‘আহা, তাই যদি হতো!’ -- নিশ্চিত থাকুন এরমাঝে আপনার সর্বাঙ্গীণ চেতনার মৃত্যু ঘটেছে। মানুষের নিজের লড়াই নিজের সাথে আগে, এই লড়াইয়
[justify]দখিনের দরোজা আর জানালা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভেতর ব্যাপক আকুলতা আছে, কিন্তু চোখ খুলে দেখার প্রয়োজন আছে সব দিক দিয়ে। আমি গত তিন বছর দখিনে থেকেও সারা বাংলাদেশে কাজ করেছি, দেখেছি সব আছে আমাদের কিন্তু মানুষের সবকিছু মেনে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। আর কিছু জিনিস শুধু আকার-আয়তন নয়, বরং মন্ত্রণায় বেড়ে গেছে বহুগুণ বেশি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্মভীরু কিন্তু সেই ধর্মভীরুতা
এই লেখাটি পড়লাম। আপনিও পড়ুন দয়া করে। পড়ে বিস্মিত হলে আপনার সবকিছুতে খুব বেশি বিস্মিত হবার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলুন। যদি ভাবেন, ‘ওরা এমনি’ তারপর ধরে নিন যে এমনি করেই দিন যাবে তাহলে আপনার জন্য ০৪ ডিসেম্বরে একটি জামাত ঘোষিত হরতাল অপেক্ষা করছে, এরই মাঝে সারাদেশে তাণ্ডব ঘটেছে ব্যাপক। পুলিশ ধা
কিছুটা নৈবেদ্য জেনেছে ভিড়, আর কিছু অবয়ব নীরবতা,
ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জমা আরও কিছু স্থিরতা
তবু রয়ে গেছে বাকি, এই ভালো- স্থিরতার কাছাকাছি থাকা;
একদিন সবদিন একা রাখা,
প্রতিদিন হতে পারে প্রতিরাতে এঁকে ফেলা নিজ নিজ প্রত্যয়ে প্রত্যয়ী সময় --
চাইলেই হয়ে যায় দেখেছি, হয়!
হতে পারে আমাদের প্রাচীন শিকলে জুটেছে আরও বেশি শ্যাওলা চতুর, বিকল্প মরীচিকা;
[justify] ১৯৯৫ এর পর দেখেছি, জাবি’তে শিবির বিষয়টা একদম-ই আলাদা। এখন সেখানে তাদের ব্যাপক সক্ষমতার কথা শুনেছি কিন্তু জাবি মানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই গর্বটা আমি এখনও ধরে রেখেছি, রাখবো। রাজনৈতিক সচেতনতা বিষয়টা খুব জরুরী, জরুরী ভাবতে না-শেখাটা আরও বেশি জরুরী, সবধরনের সময়ের সাপেক্ষে একটি দেশের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট সমান থাকেনা, মানুষ যে
১৯৮৯ সাল। শিবির জাবি দখল করে ফেললে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়, শিবিরের হাতে নির্মমভাবে খুন হন ইতিহাস বিভাগের ছাত্র হাবিবুর রহমান কবির, জাবি’তে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তারপর ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তাদের হুটহাট বিভিন্ন হলে পাওয়া যেত, ১৯৯৪ সালে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে মওলানা ভাসানী হলে ছাত্র শিবিরের এক ‘সাথী’ ধরা পড়ে, তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে
এক পুরাতন ঘুমের জাদু, মঞ্চ জুড়ে তুমুল কলরব,
প্রেক্ষাপটে রঙগুলো সব চর্চিত সরব
আর জাদুকরের ইন্দ্রজালে ফাঁকি...
আমার ক্ষেত্রফলের সরাইখানায় বাকি,
তালপুকুরের আয়না গেছে চুরি;
সনাতন শারদা-সুন্দরী
হারিয়ে ফেলেছে প্রবারণা পূর্ণিমা যতো...
তুমি, আমি, আমাদের চেতনায় আহুত
বাতাসের চাইতেও ছুঁয়ে যাওয়া আরও কোন বোধেরাও লুপ্তপ্রায় --
ক্ষয়ে গেছে তাম্রলিপি, সমপ্রাণ বোধ, বিলুপ্ত বিহার...
[justify]বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামে শহীদ পরিবার আছে, আছে স্মৃতিস্তম্ভ, সৌধ এবং প্রতিটি জায়গায় আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর, আছে বধ্যভূমি, প্রতিটি জায়গায় নারীদের সরল হাসিতে তাদের পূর্ব-প্রজন্মের ছাইচাপা কষ্টের রেশ এখনও টের পাওয়া যায়। প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়নে শহীদ মিনার আছে, উপকূলও তার ব্যতিক্রম নয়। এবং প্রতিটি জায়গার মত এখানেও সেগুলোর জীর্ণ-শীর্ণ দশা, শুধুমাত্র দিবস পালনের তাগিদে কিংবা হর্তা-কর্তা-ব
[justify]২০০৮ সাল, ২১ শে জুলাই, সড়কপথে জীবনে প্রথমবারের মত বরিশাল যাত্রা করলাম, ভোর থেকে বৃষ্টি। সফরসঙ্গী দুইজন, দুজনই সরকারী মানুষ, তাদের মধ্যে একজন যে আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের ‘রাঙা ভাই’ তা জানা ছিলোনা। গাড়ী নিয়ে দাঁড়িয়েছি তার বাসার সামনে, তিনি বের হলেন, বহুবছর পর সেই চেহারা, কিসের ফর্মালিটি কিসের কি, ‘রাঙা ভাইইইইই!