তানিম এহসান এর ব্লগ

দক্ষিণের জানলায়: ফিরে যাবার আগে - ০১

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৬/০৯/২০১২ - ১১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির কোন তাল-ঠিকানা নেই, শীত-গ্রীষ্ম বলে কিছু নেই, এখানে হরদম বৃষ্টি হয়। এই এখন যেমন ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হলো। আমার অফিসের রুমটা ছয় তালায় একটা কোনায়, দুইপাশে দুইটা বারান্দা, চারপাশের বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায়, শুধু গাছ আর গাছ। উত্তরদিকে কনফারেন্স রুম এর যে বারান্দা তার সামনেই ছোট একটা সুপারি বাগান, কদম, লেবু, ছড়ানো-ছিটানো অসংখ্য নারিকেল গাছে নারিকেল, আর, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া আর


জলমগ্ন দিন যেন তাই রাতের কোন শব্দ

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/০৬/২০১২ - ১২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টাপুরটুপুর মন ভালো নেই
সকালটা আজ ভোরবেলাতেই
মেঘের সাথে ভাব করেছে, যাচ্ছে ঝরে, যাচ্ছে ঝরে...
জানালাটা পাতার ভিড়ে আনমনা মন
প্রাপক বিহীন পত্রগুলো জলের মতন
কোথায় কখন কার কাছে যায় কার কাছে যায়, এমন করে!

পাতায় পাতায় জলের ফোঁটা সূত্রবিহীন সুতোর টানে
কেবল ঝরে কেবল ঝরে --- আকাশ জানে
মেঘ জানেনা জলের খবর,
জল জানে কি!
খুব দেখেছি
গন্ধ-সোঁদা জলের বহর
মৃত্তিকাতে ঢেউ গুনে যায় সব-প্রহরে;


বৃষ্টি মানে শুধুই বালক আর বালিকা, রঙ

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ১২:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন আমি বৃষ্টি কুড়াই আমের বনে; ফুল-বাগানের হীরেমানিক, ঘুমিয়ে থাকি আঁচলদিঘীর নিদ্রাকুসুম জলে --- চাঁদকপালে কাজলরেখা টিপ মানে তাই বালাই-বালাই-ষাট! কৌতূহলী ভোরের ডাকে কিচিরমিচির স্তব্ধতাকে জাগিয়ে তুলি, মাকে বলি, ‘খিদে পেলে ছেলে বুঝি ডাহুক ডাকে মা!’ তখন আমার জনান্তিকে ইচ্ছে নামের সুতোয় বোনা নানামুখী তৎপরতা, আর বারতা পরাগ বুকে প্রবহমান উচ্ছ্বসিত বেনীআ--সহকলা!


দিনগুলো সব নিয়ম করে রাত্রি জাগে

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৩/০৫/২০১২ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]বয়সের দোষ থাকে নাকি! শৈশবে ক্ষতি নেই, কৈশোরে যতি নেই, যৌবনে জানা হয় ফাঁকি --- তারপর গৎবাঁধা, সাধ করে গলা সাধা, রাত জাগে ভোর হয় --- আমাদের টুকিটাকি যাপিত জীবন...


সোহাগ বরণ কন্যা তাহার বাউলা-বসত ঘর

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৭/০৫/২০১২ - ১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এক
নিজ-সোহাগী গ্রামের রইসুদ্দী বয়াতির একচালা ঘর, ঘরের চালে, খড়ের বেড়ায় জোর বাতাসে ঝন্-ঝনা-ঝন্ বাদ্য বাজে দিনদুপুরে, রাতদুপুরে,---মাঝবয়সী...


তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৫/২০১২ - ৯:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সব সুর মিলে যদি করে হরতাল, আমাদের দুঃখ রবে চিরকাল...

আমার প্রায় প্রতিদিনই মাথার ভেতর গান নিয়ে ঘুম ভাঙে, আজ সকাল বেলা ঘুম ভাঙার পর থেকে মাথার ভেতর ‘বাবা বলে গেলো আর কোনদিন গান করোনা’ গানটা বাজছে, বাজতেই থাকলো সা-রা-টা দিন...


একটি মোটরবাইক, সমুদ্রযাত্রা আর নির্লিপ্ত জোছনারা- শেষ পর্ব

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২২/০৪/২০১২ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব: http://www.sachalayatan.com/tanimehsan/44188

সর্বশেষ যুক্তি, সাযুজ্য কিংবা প্রিয় অভিলাষ শেষে, তবুও, হাতে আলো না নিয়ে চলার মানে বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হওয়া, আর যখন শুধুমাত্র দু’টি চাকার উপর বিপদের মাত্রিকতা নির্ভর করে তখন তা থেকে নিজেকে বিরত রাখাটাই শ্রেয় -- এই যাত্রার তৃপ্ত পরিসমাপ্তি এখানেই।


একটি মোটরবাইক, সমুদ্রযাত্রা আর নির্লিপ্ত জোছনারা -- এক

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/০৪/২০১২ - ১১:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত নয়টা পাঁচ মিনিটে সদ্য কেনা মোটরবাইক নিয়ে এসে উপস্থিত হন চক্রবর্তী মহাশয়, আমরা রওনা দেই ঠিক নয়টা সাত মিনিটে, ৫ই এপ্রিল ২০১২, পূর্ণিমার ঠিক আগের রাতে। বরিশাল টু কুয়াকাটা - ডাইরেক্ট ডাইরেক্ট!


স্বপ্নেরা তবুও অশেষ

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৩/২০১২ - ৬:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সহজ প্রেরণা নিয়ে পথে হেঁটে যাই, বসে থাকি।
সবারই প্রেরণা আছে, প্রেরণা বুঝেছে যারা তারা জানে;
প্রেরণার অপর নাম ভালোবাসা, অথবা প্রেম? যেভাবে যে নামেই ডাকোনা
কেন, প্রেরণারা তাড়া করে ফেরে, মহৎ স্বপ্নের জন্ম হয়, স্বপ্নেরা আশৈশব বেঁচে থাকে।
প্রতিটি স্বপ্ন মানে বিবিধ জীবন, জীবন কেবলইমাত্র একটি জীবন, ভালোবাসার তবুও মৃত্যু নেই;
আমি এভাবেই গড়েছি আমার জীবনের সংজ্ঞা।


দোল পূর্ণিমা, কীর্তনখোলা নদী আর আমরা পাঁচজন

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৩/২০১২ - ১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আজকে দোল পূর্ণিমা ভাই’, কথা শুনে তাকিয়ে দেখি আমাদের চক্রবর্তী মহাশয় হাতে ছোট একটা টর্চ জ্বালিয়ে তীরে ভেড়ানো একটা বার্জের উপর দাঁড়িয়ে আছেন; আমাদের নিষ্পাপ নিরাভরণ দেশী নৌকা সেই বার্জের গায়ে ভেড়ে। নৌকার মাঝি ইউনুস ভাই সহ আমরা তিনজন আর কীর্তনখোলা নদী একা হয়ে গেলে নিপাট ভদ্রলোক সঙ্গী বলে উঠেন ‘আজকে লালনের আখড়াতে সাধুরা বসবে’, তাতে সায় কাটেন সদ্য-সঙ্গী, ‘আমাগো ধর্মের লোকেরাও আজ রাতে রঙ খেলবে ভাই’ ---