গোপনীয়তা ধরে রাখতে পারে কতজন, কতজন থেকে যেতে পারে গোপনীয়তার কাছে গোপনীয়! গোপন থেকে দেখেছি মানুষের আড়ম্বর বড় বেশি!
প্রতিষ্ঠা নয়, প্রশান্তি চাই, চাই জীবনের আস্বাদ প্রতিটি মুহূর্তে। সাধারণ মানুষ দেখেছি শুধুমাত্র চোখে খিদে নিয়ে খায়না কখনো একনলা ভাত। বেঁচে থাকা হোক মনের তাগিদে প্রশস্ত জীবন কাটানো।
সন্ধ্যার চোখে চেয়ে দেখি জেগে যায় সন্ধ্যামণি।
মানুষের এতো ভিড় থাকে! এতোখানি ভিড় নিয়ে এতোসব পথ হাঁটে, বেঁচে থাকে একজন মানুষ!
বাক্যের ভিড়ে ভিড়ে বেড়ে যায় আমাদের সারাংশ জীবন! আমরা কত কথা বলে যাই, কতভাবে বুঝে নিতে চাই একে অপরের নীরবতা যতো; স্তব্ধতার কাছে এলে পরে জানা যায় নীরবতা পাঠে কতখানি নীরবতা ছিলো;
একফোঁটা দিয়েছিলাম শিরোনাম শেষে অবারিত বিষ - একফোঁটা নিয়েছিলাম শ্বাস - একফোঁটা ইতিহাস, অস্ফুট পাপ! আজ এসো ঝাড়বাতি সরিয়ে ফিরিয়ে আনি - ফিরিয়ে আনি লন্ঠনে লন্ঠনে জাগা বেহুতাশ চলে যাওয়া অভিমানী-ছায়াময়-স্থিরতা - সনাতন নাম তার সনাতন ---
তুমি কিংবা তোমাকে লেখার চাইতে বরং এইসব কথা - নিজস্ব কথোপকথন নিজস্বতার সাথে। নিজস্বতায় নিজেকে মেলানোর চাইতে বরং তুমি নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখো - আমাদের অনন্যতর নিজস্বতা অনন্য কোন অভিন্নতা খুঁজে পেলো কিনা ----
১.
দেখেছি পাখীর ডানা আসলে ততটা কোমল নয়
আসলে ততটা কোমল নয় জলবতি নদী
কিংবা একটি রজনীগন্ধার আদ্যোপান্ত শরীর;
আমাদের অনুভূতির মত কোমল আর কোন কিছু নেই!
------------- ১৫.১০.২০১১ বরিশাল
২.
সব কথা যায়না বলা, এমনকি সব অনুভূতিও প্রকাশ করা যায়না!
বন্ধু, এতদূর শুনে ফেলো আর এত গভীরে দেখো বলে
তোমার শূণ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে যায় -
অসহ্য বিলাস!
কোন কোন রাতে ঘুম ভেঙে যায়; কোন কোন রাতে ঘুম ভাঙে - কোন কোন রাতে কেউ কেউ আর ঘুমোয়না, নিশুতি রাতের মত জেগে থাকে আপন ঘোরের এক প্রজাপতি মুহূর্তে - সেখানে ভিড় করে আসে তার সোনারঙ দিন শেষে অবলা ঘুমের কথা অথবা কোন এক ঘুম ভাঙা ঘুমের কথা যেখানে সে দেখেছিলো তীব্র মায়ের হাত পৃথিবীর সব ওজন নিয়েও নরম শিমুল তুলোর মত ছুঁয়ে আছে তার এ জীবন।
আজ দখিনের জানলা খুলেই দেখা গেলো
জোর বাতাসের পেখম ছুঁয়ে যাচ্ছে উড়ে
একটা চিরল গাছের পাতা সহজ সরল;
আজ দখিনের জানলা খুলেই মনে হলো
আজ সারাদিন বায়স্কোপের বাক্স খুলে
আসবে যাবে নিত্যনতুন ‘কি চমৎকার দেখা গেলো’!
আজ দখিনের জানলা খুলেই জেনে গেলাম
সূত্রধরের সুতো যত ধীরে ধীরে যাচ্ছে ভেসে
হরেক রঙের আটপৌরে এক রঙের ডানায়;
আজ দখিনের আকাশ এবং মেঘের সাথে
সকালবেলা ভাব-বিনিময় হতে হতে
এক.
বহুদূর হেটে গেলে টের পাই বহুদূর পথ
ধরে পড়ে থাকে ফেলে আসা পথের ধুলোরা সব;
প্রতিটি ধুলোর কাছে স্মৃতি জমা থাকে;
আমরা অজস্র সাঁকো বাধা পথ ধরে যেতে যেতে
অযুত নিযুত যত ঝিঁঝিঁ-ধুলোদের ভিড়ে মিশে
গড়ে তুলি আমাদের এক - স্মৃতিময় কাঠগড়া!
(বরিশাল, ০১. ১০. ২০১১)
১.
জানি, তুমি আর আমি আমাদের হাতে
হাতে রঙে রঙ মেখে জীবনের তৈলচিত্র এঁকে
নেবো বলে ক্যানভাসে নেমে আসে ঝড়;
অথচ রাতের সাথে একা হলে পরে
দেখি তেলরঙ মুছে গেছে জলছাপে।
জল এর কাছে ঋণী সখা -
আমাদের মৃৎপাত্র সব!
(পটুয়াখালী, ২৭.০৯.২০১১)
২.
ভালোবেসে শালিকের মত একা হলে টের পাই
হরিণী পৃথিবী তার চোখ থেকে মমতা হারায়;
শালিকের সংখ্যায় ব্যাকরণ গড়েছে পৃথিবী।
আর আমাদের চোখে জল-ছায়া ঘিরে