”সাগর নেয়না শুধু, ফিরিয়েও দেয়
শূণ্যতা প্রতিসথাপিত হয় প্রশান্ত আবেশে!”
কুয়াকাটা: মূহুর্তের জল!
.... তানিম এহসান
১.
আমার মা আমার মায়ের মতন,
কারন আমি তার ছেলে এবং যেহেতু
তিনি আমার মা এখানে তুলনার প্রশ্নটি অবান্তর।
আমার মা শুধুমাত্র আমার মায়ের মতন বলে
আমাদের সব জন্মেই আমার মা আমার মা,
আর আমি তার জলপুত্র!!
৩০. ০৭. ২০১১
২.
পৃথিবীর তিনভাগ জল, পৃথিবীর তিনভাগে স্নাত এ জীবন!
মানুষ হিসেবে তিনভাগ বেড়ে ওঠা, একভাগে বিলাস নেই;
ব্লগগুলোর মধ্যে আমি সর্বপ্রথম লেখা দিই সচলে। অন্যান্য ব্লগগুলোতে ঘুরে দেখেছি সেখানে নানান তরিকার লেখার মধ্যে জিহাদের জোশে জোশপ্রাপ্তদের লেখাও ছাপা হয়, ছাপা হয় চরম ধর্মান্ধ লেখা - আমার বিবমিষা হয়েছে। সবার অনেকরকম ছাড়পত্র থাকতেই পারে (জামাত-শিবির-রাজাকার ছাড়া) কিন্ত আমার নিজ দায়বদ্ধতার জায়গাটুকু ধরে রাখার অধিকারের সাথে আমিইবা আপোষ করবো কেন?
সূত্রধর!
ওহে নিরালা মানুষ, ঘরের আঁচলে খুদকুটো জমেছে যা,
তার সব নৈবদ্য জ্ঞানে পূজা করলেই দেখবে পূজারী মন
বেহালায় সংগত; সেইসাথে আলাপ জুড়ে দিতে একটা
মিঠেকাড়া মন্দিরা দূরাগত বাঁশীটাকে টেনে নেবে যখন -
তখন তুমি চাইলে একটা হারমোনিকা খঞ্জনির বোলে
যে গাইবেনা তার দিব্যি তোমাকে কে দিয়েছে কবে?
বাজো! গ্রহন লাগা ঘনঘোর নিশ্চিত জলের দেখা পাবে,
তারপর সাধিত গলায় জটাধর বিবাগী তুমি গেয়ে উঠলে -
সর্বোপরি দায় থেকে যায় -!!
তানিম এহসান
খড়-বিচালি-ঘাসে-গাছে আগুন জ্বলে, আগুন জ্বলে জলের তাপে,
আগুন জ্বলে বাঁশবাগানের মাথার উপর খুব পুরাতন একটা চাঁদে -
কাজলা দিদি একাত্তরে বীরাঙ্গনা খেতাব পরে হারিয়ে গেছে পাথর চাপায়,
সেইনা থেকে কন্যা-জায়া-জননীদের দিন কাটেতো রাত কাটেনা;
ঘুম আসেনা নুর হোসেনের বাবা মায়ের - চরকা কাটে মর্মজ্বালা,
আরো কত ছেলে-মেয়ে পাজর জুড়ে গর্ব নিয়ে ঘুমিয়ে গেছে,
‘দ্বিতীয় বিপ্লব’!!
- তানিম এহসান
ঘোর কলিকাল - নষ্টামীর এই দারুন সময়ে আজ তুমি কি লিখো,
কি লিখে ক্রোধের জল - নিজেকে সামলাও কবি?
এখানে ধানের ছড়ার মতন উন্মুখ উনুনেও বিলাপ,
এখানে ভিন্ন রাগে প্রতিদিন কাঁদে মানবতা,
প্রতিরাতে কোন এক নতুন নারী সুবাস বিকিকিনির
হাটে নতমুখে হেটে যায়; ধর্ষিতাকে আবার ধর্ষন করে সমাজ আর রাষ্ট্রযন্ত্র;
কচুর লতিতে লতিতে নুন মাখা নুন যায় শেষ হয়ে,
১.
আমি সচলে নজরুল ইসলাম, ইসকান্দর বরকন্দাজ এর পোষ্টে কমেন্ট করি তবু আমার মাথার ভেতরে কোন এক যন্ত্রনা হতে থাকে, গত বেশ কটি দিন ধরে চরম বিক্ষুদ্ধ, ঘুম হয়না, এরই মাঝে এতগুলি শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে আমার প্রেশার আরো বাড়তে থাকে, এনজিওলকে কোন কাজ হয়না। আমি ফেসবুকে ঢুকি, আমার ক্ষুব্ধতা, বিরক্তি প্রকাশ করার জন্য প্রোফাইল স্ট্যাটাস দিতে যেয়ে একটা কবিতা লিখে ফেলি, কিন্তু আমার যন্ত্রনা কমেনা।
এক.
আজ আমার মন ভালো নেই!
টুকরো কাগজ হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ে
তারপর টুপটাপ, রিনিঝিনি, টুনটুন;
সকাল গড়িয়ে যায়
দুপুর গড়ায়
উচ্ছল বিকেলে এসেও
মনের দেয়াল জুড়ে বিষন্ন ছবি
আকে অজানা অচেনা সব হাত,
রঙতুলি কেবলই বেছে নেয় নীল রঙ,
আঁকে, আঁকতেই থাকে আর
দরোজা, জানালা সব একের পর এক
কে যেন বদ্ধ করে নিপূণ সামর্থ্যে;
আমি শুধু ঘোরলাগা ঘাসের ডগারমতন
একফালি সূর্যের দেখা পাবো বলে
আনমনে বসে থাকি, বসেই থাকি
বয়সের অপশনটা আসতেই আজকে একটা ঘটনা ঘটলো, আমি ‘যুবা’তে চাপ দিলাম। হতে পারে চল্লিশ এই বুঝি আসে আসে, হতে পারে হাইপ্রেশারে নিত্যরাতে ওষুধ খেতে হয় একটা করে, হতে পারে মাথার কাচা চুলের ভাজে ভাজে সাদা চুলের উকি দেয়া বেশ প্রবল - আমার তাতে কিচ্ছু আসে যায়না! আমি ‘এইটিন টিল আই ডাই’ – জ্বি মশাই, ঠিকই বলছি।
পনচমীর হাত ধরে ধরে!!
- তানিম এহসান
১.
জানবেনা বহুকিছু কারন বলবোনা, বুঝে নিতে হবে
জেনে নিতে হয়, কেউ কাউকে পারেনা শেখাতে,
এতো খুঁচোখুচি জানবে বলে! শোনো তবে
নাদান অবোধ মানুষ না পারে অন্যকে দেখাতে
না জানে কথো, কেবলি মরমের তলানী ছুয়ে - অবাধ সাতার!!
--- ২৭.০৬.২০১১, শান্তিনগর
২.
বন্ধ্যা জমিতে ফোটে ফুল, ফোটায় মানুষেরা!