বাবার চাকুরীর সূত্রে ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসের কোন একটি দিনে আমরা সপরিবারে ভুরুঙ্গামারি নামক একটি প্রত্যন্ত স্থানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি। রংপুর থেকে লালমনিরহাট গামী ট্রেনে এসে তিস্তা নদীর উপরে যে তিস্তা রেলওয়ে সেতু, তার কাছেই তিস্তা নামের একটি অতি অর্বাচীন রেল জংশনে আমরা কুড়িগ্রামগামী ট্রেন ধরার জন্য দুপুরের পর পর এসে পৌঁছালাম। আব্বা বললেন- ঐ তো কুড়িগ্রামের ট্রেনটি প্লাটফর্মেই দাঁড়িয়ে আছে। তা অব
অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল দিল্লী ভ্রমনের। ভ্রমনকালে দিল্লী এবং এর সন্নিহিত অঞ্চলের বিখ্যাত জায়গাগুলো দেখার বাসনা যেমন ছিল, তেমনি আরও একটি গোপন বাসনাও ছিল, দিল্লীতে সত্যি সত্যি কোন বিখ্যাত রকমের "দিল্লী কা লাড্ডু" পাওয়া যায় কি, না তা একটু খুঁজে দেখা। নব্বই দশকের মাঝের দিকে অনেকটা হটাৎ করেই কলকাতা থেকে দিল্লী যাওয়ার পাকা বন্দোবস্ত করে ফেললাম। যাযাবরের বিখ্যাত "দৃষ্টিপাত" এবং নিমাই ভট্টাচার্যের "রাজধানী এক
আমি একজন ধূমপান ত্যাগী মানুষ। জানি ধূমপান ত্যাগ করা খুব সহজ, আমি ছাড়াও আরও অনেক মানুষ প্রতিনিয়তই ধূমপান ত্যাগ করছেন, অনেকে জীবনে বহুবার ধূমপান ত্যাগ করেছেন। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়াটা কোন ব্যাপার নয়, বহু মানুষ হরদম এই কাজ করছেন এবং খুব তাড়াতাড়ি আবার ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু স্থায়ীভাবে ধূমপান ত্যাগ করতে পারাটা একটা ব্যাপার, আমি সেই বিশেষ কাজটা করতে পেরেছি বিধায় বিষয়টা আপনাদের সাথে কিঞ্চিৎ
রোহিঙ্গা ইস্যুটি প্রায়শই আমাদের জন্য বিশেষ গুরুতর হয়ে ওঠে, অতি সম্প্রতি যেমনটি হয়েছে । আমাদের অতি নিকট এই প্রতিবেশীদের সম্পর্কে যেমন আমদের তেমন একটা জানাশোনা নেই, তেমনই জানা নেই এই সঙ্কটের স্বরূপ। আমাদের টক শো গুলোতে খাপছাড়া গোছের কিছু তথ্য এবং মন্তব্য শুনে মেজাজটাও বিগড়ে গেল, তাই এ সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা।
পুর্বকথাঃ
"যুদ্ধদিনের সাথীরা আমার, তোমরা যাঁরা বেঁচে আছ, কিংবা যাঁরা পাড়ি জমিয়েছ অনন্ত পরলোকে, তোমাদেরই একজন হতে পেরে নিজেকে আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিত মনে করি।"- যাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর লেখা বইয়ে এই কথাগুলো বলেছেন.....................
হবেন নাকি সকাল বেলার পাখি? সবার আগে কুসুম বাগে ডেকে উঠবেন?
ইটা মারলে পাটকেল খাইতে হয়, এটাই জগতের নিয়ম। চার বছর আগে আরিফ জেবতিকের ছোড়া ইটের আধলার জবাবে এক্ষনে পাটকেলের এই মৃদু বর্ষণ। জার্মান ভাইয়েরা ছিল্লা কাইট্যা দিয়া গ্যাছে, অহন সেই কাটা ঘাওয়ে এট্টু লবন লাগায়া দেই! মু হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ ..........................
কইরে শালা কইরে শালী
আমায় ফেলে কই পালালি!
আয় দেখে যা কি করেছি
অনেক দিন আগে বঙ্কিমচন্দ্র চটোপধ্যায় বঙ্গদেশের কৃষক প্রবন্ধে বলেছিলেন- "আমার একটি কথা জিজ্ঞাসার আছে, কাহার এত মঙ্গল? হাসিম শেখ আর রামা কৈবর্ত্ত দুই প্রহরের রৌদ্রে, খালি মাথায়, খালি পায়ে এক হাঁটু কাদার উপর দিয়া দুইটা অস্থিচর্ম্মবিশিষ্ট বলদে, ভোঁতা হাল ধার করিয়া আনিয়া চষিতেছে, উহাদের কি মঙ্গল হইয়াছে? . . . . . . .
মোটামুটি জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর ষাটের দশকের শেষাংশ থেকে দীর্ঘ চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে দেখে আসছি আমাদের গ্রামটিকে। এই সময়কালে গ্রামটির প্রাকৃতিক ও ভৌত কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু আমুল পরিবর্তন এসেছে এ গ্রামের অধিবাসীদের যাপিত জীবনে। আবহমান কাল থেকে চলে আসা রীতিনীতি, নিয়মকানুন, কর্মপদ্ধতি, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, প্রযুক্তি, সর্বোপরি মানুষের জীবনাচরণে এসেছে দৃশ্যমান ব্যাপক পরিবর্তন। পিছু ফিরে দেখলে ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না যে এভাবে বদলে গেছে এ গ্রামের এতকিছু। শত শত, কিংবা হাজার বছর ধরে যা ছিল প্রায় অপরিবর্তনীয়, কালের এই ক্ষুদ্র পরিসরে তার আমুল পরিবর্তন ঘটলো আমারই চোখের সামনে। এক অর্থে এ আমার পরম সৌভাগ্য যে আমি এ পরিবর্তনের সাক্ষী, তবে এতে প্রাপ্তির আনন্দ যেমন আছে, হারাবার বেদনাও আছে অপরিসীম।