স্কুলে আমাদের এক সহপাঠী ছিল, নাম "আবু ওবায়দা মোঃ জাফর ইবনে সোলাইমান" অর্থাৎ- সোলাইমানের পুত্র, ওবায়দার পিতা, মোঃ জাফর। নামে কিছু আসে যায় না, এই সুনিদ্রিষ্ট বংশ পরিচয় সম্বলিত আরবী নামটিও ছিল খামাখা, কারন তার পিতার নামও সোলাইমান ছিল না, পুত্রের তখন কোন প্রশ্নই নাই। সবাই অবশ্য তাকে চাইনিজ জাফর নামে ডাকতো এবং সেটা যথার্থই ছিল, কারন তার চেহারায় মঙ্গোলীয় অবয়ব ছিল স্পষ্ট। আমাদের ছোটবেলায় যখন টেলিভিশনের আ
দেশী বিদেশী হরেক মানবাধীকারবারীর চিল্লাবাল্লার চোটে আমার ধারনা ছিল দুর্নীতি, অপশাসন, বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয়ের মতো এই বিষয়েও বাংলাদেশ প্রথম কাতারেই থাকবে। তাই ইচ্ছা ছিল প্রদত্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে কয়েক কিসিমের গ্রাফ প্রস্তুত করবো, বেলাজ ও অমানবিক বাঙ্গালির যদি তাতে একটু লজ্জার উদ্রেক হয় এবং মানবাধিকার জাগ্রত হয়। কিন্তু প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের অবস্থা সুবিধার না বিধায় সে বিষয়ে কোন উৎসাহ বোধ করলাম না। অগত্যা তাই শুধুমাত্র পরিসংখ্যান।
কিছুদিন আগে চরম উদাসের লেখা একটি ব্লগে সহ ব্লগার সত্যপীর আলোচনা প্রসংগে একটা গুরুতর প্রশ্নের অবতারনা করেছিলেন- অজ পাড়াগাঁ বলতে কি ছাগলে ভর্তি গ্রাম বুঝায়, যেহেতু অজ অর্থ ছাগল? প্রশ্নটা কৌতুকবশে ছুঁড়ে দেয়া হলেও এটা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোড়িত হয়েছিলাম, আরে তাইতো! পাড়াগাঁ এর সাথে এরকম শব্দ সংশ্লেষের কারন কি? অভিধানগুলোতে "অজ" এর অর্থ এরকম- জন্মরহিত, ঈশ্বর, ছাগল, মেষ ইত্যাদি, যার কোনটির সাথে "অজ পাড়াগাঁ" ঠিক ম্যাচ করে না। সম্প্রতি হাতে আসা একটা বই থেকে জানলাম, অজ পাড়াগাঁর সাথে আসলে ছাগল কিংবা ঈশ্বরের সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগের আর এক বহুল আলোড়িত শব্দ "চুদুর বুদুর" এরও কিঞ্চিৎ দিশা পাওয়া গেল। সেই সংগে আরো অনেক শব্দের সংগে যেন নতুন করে আবার পরিচয় হলো।
এ জগতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠা সুন্দরী নারী কে? তিনি কি ক্লিওপেট্রা? কিংবা হেলেন বা মেরিলিন মনরো, গ্রেটা গার্বো, সায়রা বানু, মধুবালা, সুচিত্রা সেন, ঐশ্বরিয়া? কে? মহাভারতের বর্ননা অনুযায়ী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠা গ্ল্যামার গার্ল হলেন একজন শ্যামাঙ্গিনী ভারতীয় নারী, কারো কারো মতে তিনি বাঙ্গালীও বটে। আমাদের তো আর অত পুন্য নেই যে তাঁকে চাক্ষুষ দেখব, তবে বহু শতাব্দী আগে একজন সৌতি গল্পকথক যে ভাবে তাঁর বর্ননা করে গেছেন, সেই বর্ননায় তিনি এখনও জীবন্ত সবার মাঝে।
দেশ এখন নানাবিধ নির্বাচনী বিতর্কে উত্তপ্ত। নির্বাচন হবে কি না, হলে কি পদ্ধতিতে হবে, কবে হবে, না হলে কি হবে ইত্যকার নানা আলোচনায় বাংলার আকাশ বাতাস আজ মুখরিত। এত শোরগোলের মূল কারন নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার ব্যবস্থা কি রকম হবে, সে নিয়ে সর্বমহলে চরম মতপার্থক্য। আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ইস্যুতে সুপ্রীম কোর্টের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে সংবিধান থেকে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অপসারন করেছে,
গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে বাবার সরকারী চাকুরীর সূত্রে আমরা থাকতাম উত্তর জনপদের এক প্রত্যন্ত থানা সদরে। আমি পড়তাম ক্লাস ফাইভে, সহপাঠী/সহপিঠীনিদের প্রায় সবাই রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতো, আমার বেশ অস্বস্তি লাগতো এবং আমার অপরিনত ভাবনায় তাদের মনে হতো অসংস্কৃত জনগোষ্ঠী, শুদ্ধ করে কথা বলতে পারে না। কিন্তু তাই বলে গণযোগাযোগ তো আর থেমে থাকে না, দ্রুতই সহপাঠী/সহপাঠীনিদের বেশ কজনের সাথে বিশেষ অন্তঃরঙ্গ
জেমস রেনেল, বাংলার গ্রহনযোগ্য একটি মানচিত্র তিনিই প্রথম অঙ্কন করেন