আব্দুর রহমান এর ব্লগ

অল্প বিদ্যা

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৪/২০১২ - ১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবকিছু ভুলে যাবার পরে যেটুকু মনে থাকে তাই শিক্ষা। বসে বসে ভাবছিলাম কি কি মনে আছে। সেই ১৯** সাল থেকে শুরু। মনে পড়লো প্রতিক্লাসে খান কতক কবিতা পড়তে হত। ছোটক্লাস গুলোতে সেই কবিতার প্রথম ১০ বা ১২ লাইন মুখস্ত লিখতে হত। আমাদের স্কুলটা ভালো ছিলো, প্রথম ১০-১২ লাইন পারলেই কাজ চলত। আমার ভাইয়ের স্কুলটা তেমন সুবিধার না, ওদেরকে মাঝে মাঝে কবিতার শেষ ১২ লাইন লিখতে দিত।


বিলম্ব

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিসাবে বলে দশ মাস দশ দিন। সাত আট মাসেও হয়ে যায়। আব্দুর রহমানের একটু বেশি লেগেছিল। গোনায় ভুল হতে পারে, কিন্তু খানিকটা বেশি সময় তার লেগেছিলো এ বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই। সেই থেকে শুরু।


বৈবাহিক ছড়া

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০২/০৩/২০১২ - ১২:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিয়ের ঝোঁকে ছুটছে লোকে
মোটা এবং পাতলাতে
চুনোপুঁটি রাঘব বোয়াল
এবং রুইয়ে কাতলাতে।


মাপা ভালোবাসা

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৮/২০১১ - ১:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবারো খানিকটা পেমে পড়েছি বলে মালুম হয়। খানিকটা পেম হলে অনেকটা বেঁচে থাকা যায়। হারাবার ভয় আর পাবার আশা, এই দুইয়ের এক আশ্চর্য জিলিপিই বোধকরি ভালোবাসা।যা বলছিলাম, খানিকটা পেম হলে খানিকটা পদ্য লেখা যায়। তাতে ছন্দ এই মেলে তো সেই মেলে না, তবু আবেগের নিখাদ ঝলকানি থাকে তার পরতে পরতে। পেমের এ নৈবেদ্য তাই সকল পচন্ড পেমিকের চরণে।


ওগো শুনছো

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২০/০৬/২০১১ - ৮:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিন্দু থেকেই সিন্ধু। অল্প অল্প করে পলি জমে জমে চর হয়ে যায়। ঠিক সেরকম বিবাহিত জীবনের ছোট ছোট খিটমিটগুলো, জমতে জমতে অসহ্য হয়ে যায়। বিয়ে নিয়ে কত গবেষণাই তো কত জনে করছেন, কিন্তু স্বামী একটুশখানি পড়তে বসলেই তাকে বিরক্ত করবার যে চিরন্তন মেয়েলি স্বভাব সে নিয়ে আজ অবধি তেমন গবেষণা চোখে পড়ে না।


খেয়াল খুশি

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১০/১১/২০১০ - ১১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিন লেখা হয় না। আজ পণ করলাম, ভাল হোক, মন্দ হোক, লিখেই ছাড়ব।

এই লিখেছি খেয়াল খুশি
এই লিখেছি বাজে
ইচ্ছে মতন,লিখছি যখন
মন ছিলনা কাজে।

পাগলামিটা এই ছিলো আর
এই এখুনি নেই
আমি কি আর পাগল বলো?
আমি তোমার সেই।

দূর দূর দূর অনেকটা দূর
রোদ্দুরে নেই ছায়া,
ঘর ছেড়েছি, পর ছেড়েছি
তবু কিসের মায়া?

ঘোরের মাঝে ঘর ভেঙ্গেছি
ভুল বুঝেছি তায়
অভিমানের ভান ভুলেছি
পাল তুলেছি নায়।

পথ হারিয়ে, রথ হারি ...


অটোবায়োগ্রাফী অফ আ ভেরি হেল্পফুল বাঙ্গালি

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৮/২০১০ - ৬:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষের উপকার করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি সবসময় চাই মানুষের উপকার করতে, ছোটবেলায় পড়া রচনাগুলোর মত উপকারি প্রাণি হতে। কিন্তু কেউ বিপদে না পড়লে উপকার কেমনে করুম? তাই আমি তক্কে তক্কে থাকি কখন কেউ বিপদে পড়বে আর আমি উপকার করমু। দরকার পড়লে আমিই বিপদে ফালামু, তারপরে সাহায্য করুম। কিন্তু উপকার আমারে করতেই হইবো।

তখন মনে হয় ক্লাস ওয়ান এ পড়ি। উপকারের প্রবল নেশা। এটাই স্বাভাবিক। যারা বড় ...


হিসাব

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৭/২০১০ - ৭:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুরুটা মনে নেই। শেষটা জানি না। শেষটা আমি যেভাবে ভেবেছিলাম সেভাবে হয় নি। আমি জানতাম অঙ্কটা মিলবে না। যে অঙ্ক মেলেনা সেই অঙ্ক আমার করতে ভাল লাগে না। খাতার পাতা সাদা থাকাই ভাল, কী দরকার অহেতুক তাকে কাটাকুটি দিয়ে ভরিয়ে তুলবার?

আমার সবাইকেই ভাল লাগে আবার কাউকেই ভাল লাগে না। এমন কাউকে আজতক দেখিনি যাকে দেখে মনে হয়েছে যে একে ছাড়া আমার চলবে না। আমার বাবা আমাকে একটা কথা বলেছিলেন, কখনো এক প ...


লুলালাপ

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১১/০৭/২০১০ - ২:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লুল স্বভাব নারী-পুরুষ উভয়ের মাঝেই বিদ্যমান। কাজেই মেয়েদের হেয় করবার জন্যে এটা লেখা হয়নি। কেউ চাইলে বিশেষ বিশেষ শব্দ বদলে পড়তে পারেন, তাতেও মূল ভাব একরকম ই থাকার কথা।

ঐ মেয়েটির সাথেই নাকি

হচ্ছে তোমার বিয়ে,

বলছে তাকে পাড়ার লোকে

ভীষণ রকম ইয়ে।

সবার সাথেই খাতির-পিরিত

নেই দ্বিধা লেশ-মাত্র,

ভাবখানা তার এমন যেন

সবাই তাহার পাত্র।

এত মেয়ে থাকতে ভায়া

এনার ফাঁদেই পড়লে?

জীবন ...


ছোটু কাহিনী

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৩/০৭/২০১০ - ৭:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“ এই লেখাপড়া দিয়া তো কিছু হইবোনা।এর চাইতে রিকশা কিনা দিমু,রিকশা চালাবা, তখন বুঝবা জীবন আসলে কী? বাপের পয়সায় গায়ে বাতাস লাগায়া ঘোরো তো, কিছু টের পাও না। রাস্তার দুইপাশে দেখোনা, তোমাদের চাইতে অনেক অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরতে হয়।” পড়াশোনায় ঢিল দিলেই আমার মা অথবা বাবা এই ডায়লগ দিতেন।রিকশা চালাতে তেমন আপত্তি না থাকলেও, আমি আর আমার ছোটবোন বুঝতাম যে এখন এখানে বসে থাকাটা বা পালটা যুক্তি দ...