কবি কীটস বলেছেন, “গাছে পাতা যেমন অনায়াসে গজায়, তোমার ভেতর থেকে কবিতা যদি সেভাবে না আসে ,তবে না আসাই ভালো।“ ওনার কথা মেনে নিলে আমার কিছু লেখাই উচিত নয়।তবে আমার অন্যতম প্রিয় লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তার এক উপন্যাসে লিখেছেন, “প্রতিভা হচ্ছে আমাশয়ের বেগ এর মতো। ও কি আর চেপে রাখা যায়?” আমিও চেপে রাখতে পারি না, তাই লিখি। আবার আদতে কবি হবার যোগ্যতা নেই বলে, পায়ের ঘাম মাথায় তুলে ফেললেও দ...
আমি একটা স্কুল এ পড়তাম। তার বাড়িটা হলদে, মাঠটা সবুজ আর ছেলেদের পরনে সাদা জামা কাপড়। আমি ভাবতাম সাদা পেন্টুল আর সাদা শার্ট যারা পড়ে তারা সবাই আমার স্কুলের ছাত্র। আমাদের পাশেই ছিলো মেয়েদের স্কুল। আমরা ককখোনো ওইদিকে তাকাতাম না, ভালো ছেলেরা মেয়েদের দিকে তাকায় না, মানে সরাসরি তাকায় না। তারপরেও আমাদের অ্যাসেম্বলিতে স্যার বললেন, খবর পাওয়া গেছে, কিছু কিছু ছেলে ছুটির পরে গার্লস স্কুলের ...
১
বসেছিলো দুজনায়
পাশাপাশি, চুপচাপ,
ভেজাছিলো পথঘাট
বৃষ্টিটা ঝুপঝাপ।
উৎসাহি জনগণ
বারে বারে ফিরে চায়
নিমগ্ন দুজনার
কী-বা তাতে আসে যায়।
চোখে চোখ হাতে হাত
অকারণ মৃদু চাপ
পুরো হোক আধো প্রেম
ভালোবাসা নয় পাপ।
২
চলতে চলতে
থামলে কেনো?
ভাবছো তুমি,
আমায় চেনো?
চিনলে চেনো
লাভ কী তাতে?
বাসবে ভালো?
থাকবে সাথে?
তারচে ভালো
যাও চলে
মন ভেঙ্গোনা
প্রেম ছলে।
কাজ নেই তাই তোমায় ভাবি
দু’চোখ জুড়ে কান্না আসে মেলা
এ আমার নিশুত রাতের
দুঃখ দুঃখ খেলা।
কি জানি ছাই,কোন সাহসে
কোন ভরসায় ,কোন আশাতে
কোন নেশাতে মাতাল আমি
টলতে টলতে চলতে চলতে
চলতে চলতে টলতে টলতে
পথের মাঝে থমকে দাঁড়াই
অন্য কোনো আমি।
মাতলামি নয় পাগলামি নয়
অন্য রকম অন্য কিছু
তোমার জন্য কেবল শুধু
অন্য রকম আমি।
আব্দুর রহমান
আমি এখন দেশের বাইরে।যখন দেশে ছিলাম, তখন রাত জেগে বালিকাদের সাথে চ্যাট করতাম। আমার মা-বাবা এতে মহাবিরক্ত হতেন। আমি তো সারারাতই প্রায় জেগে থাকতাম। আর ওনারা একটু পর পর এসে ধমকে যেতেন, প্রথমে মৃদু, পরে জোরেশোরে।
এখন একটু অন্যরকম ঘটনা ঘটছে, মা আগে নেট বা কম্পিউটার এর ব্যাপারে কিছুই জানতে চাইতেন না, এখন নিজে নিজেই পিসি অন করে, মেসেঞ্জার অবধি চলে আসতে পারেন। এসে আমার জন্য...
আব্দুর রহমান
সারাদিন বসে থাকি
খুব চেপেচুপে
সবকিছু জমা রাখি
বেশ মেপেমুপে।
সকালেতে একবার
ছোটঘরে যাই,
বাকিদিন ভয়ে ভয়ে
খুব কম খাই।
আমার আপন যাহা
গোপনেই থাক
সযতনে ঢেকে রাখি
মাছ দিয়ে শাক।
ছোটঘরে যাওয়াটাও
হতে পারে ব্যান,
কইনচেন দেহি দাদা
ডরামুনা ক্যান?
আব্দুর রহমান
চা এর তেষ্টা,
কালচে কফি?
কাজ চলে যায়।
ঝড়ের আশায়,
বিষ্টি হলে,
কাজ চলে যায়।
চাকরি খুঁজি,
টিউশনিতে,
কাজ চলে যায়।
তোমায় চেয়ে,
তাকে পেয়ে,
কাজ চলে যায়।
কাজ চলে যায়
কাজ চলে যায়,
আজ চলে যায়
কাল চলে যায়,
আমার কেবল কাজ চলে যায়
চুল দাড়িতে পাক ধরে যায়,
একটু হেটে হাঁফ ধরে যায়
তবু আমার কাজ চলে যায়।
একটা জীবন
থামবে কেন?
বেশ চলে যায়,
কাজ চলে যায়।
আব্দুর রহমান
একটু একটু বাড়ছে বয়স
একটু একটু মেদ
দিনকে দিন হচ্ছি নরম
কমছে আমার জেদ।
সবকিছুতেই করছি আপোস
মানছি তোমার দাবি
তাল, তালগাছ সবই তোমার
সাথে ঘরের চাবি।
রঙিন জীবন বিবর্ণ আজ
হচ্ছে আরো ফিকে
তেলাপোকা বেঁচে যেমন
আমিও আছি টিকে।
আব্দুর রহমান
নতুন করে বাঁচব বলে
ভুলে ছিলাম তোমায়
স্মৃতিগুলো উড়িয়ে দিলাম
আত্মঘাতী বোমায়।
ভুল করেছি ভালোবেসে
ভুল করেছি ভুলে
গুনছি আজো ভুলের মাশুল
বাড়ছে সুদে-মূলে।
খুব ঘষেছি, যায় না মোছা
জীবন খাতার আঁক
তোমাকে তো ভুলেই গেছি
দাগটা না হয় থাক।
আব্দুর রহমান
( আমার আসলে সবাইকেই কোনো না কোনো কারণে ভালো লাগে, ভয়ে বলতে পারি না , কে কি মনে করে না করে। আজ তাই ফাঁকতালে বলে যাই। )
ওই মেয়েটার হাসি ভালো
এই মেয়েটির কান্না,
সেই মেয়েটি দারুণ নাচে
তোমার ভালো রান্না।
ওই মেয়েটা চালাক ভীষণ,
তুমি একটু ন্যাকা,
আমার পাশে কেউ থাকে নি
আজো আমি একা।
বেঁচে আছি, সুখেই আছি
কেউ বাসে নি ভালো
প্রেমের শালা খেতা পুড়ি
পারলে পানি ঢালো।