আমার এই সিরিজটা কেন শুরু করলাম। আসলে আমরা প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ঘোরাঘুরি করি কিন্তু বিশেষ আয়োজনে বিশেষ দিনে যে ঘোরাঘুরি তা থাক না স্মৃতি ঘিরে। তাই ‘স্মৃতি তুমি প্রতারক’ এমন উচ্চারণের সাথি না হয়ে বরং বলি স্মৃতি তুমি রোমন্থযোগ্যও।
৩১ জুলাই ২০০৯
গন্তব্য এক হলেও আমাদের যাত্রার স্থল বেশ বৈচিত্রময়। কেউ সেই সাত সকালে উঠেছে পাবনা থেকে বদRule হাসান জূলফিকার। উত্তরথান থেকে গত দিন দুই...
ফেলে আসা সময় নিয়ে সবাই হা হুতাস করে। তারপরও স্মৃতিতে জমা হয় নতুন স্মৃতির রসদ। জমা হতে থাকে জীবনের পাতা ঝরা দিনের গল্প। সেইসব বহমান সময়কে মনে করে হঠাৎ স্বউচ্চারণে 'গল্প' দাবী করে লেখা দিতে ইচ্ছে হলো। খোলা আকাশের গায়ে যে তারারা বিরাজমান তাদেরও একটা ঠিকানা আছে হয়তো তারাও স্মৃতির রাশি ধারণ করে আছে অনাদি সময় জুড়ে।
২৪ জুলাই ২০০৯
মুনির হোসাইনঃ আমাদের জমানো গল্পের ভাগ নিতে আয়োজন করেছ...
ভালো থেকো ভীষণ ভালো।
এমন বাক্য লিখে কাঞ্চন গত রাতে শেষ করেছে তার মেসেজ।
কিন্তু আমার দেখা হয়নি তখন পরে অফ লাইন মেসেজে আজ পেলাম।
দিনমান চাকরীর ঘানি ঠেলে মাঝে মাঝে নিজেকে ভালো আর খারাপ এর তফাৎ করা থেকে বিরত রাখি। কারণ যার অন্ত আমার দিনান্ত ক্লান্তি বহন করে, তা কি ভালো? অথবা যে সুখ মনে জাগায় আনন্দ কিন্তু তা কি খারাপ!
ভালো খারাপের দোলা চলে চলতে চলতে, আমি পৌচ্ছে যাই আমার অতলান্ত দিনের ...
আমার দিন চলে যায় আপন তালে। ছন্দ ভুলে সুরের জন্য দূরে কান পেতে থাকি-পাব; কিন্তু পাওনা আলা হাত পাতে তার পাবার আশা। শেষ বিকেলে ঘরে ফিরে সচল পড়ি ক্লান্ত মনে। পড়ি কি আর পড়ার মত! পড়লে পরে লেখার ঘরে ভরতো কত! উল্টে দেখি, পাল্টে দেখি, দেখতে দেখতে তাদের দেখি, যাদের লেখা মনের কোনে দাগ কেটে যায় আপন মনে। শেষ অবধি তাদের দেখি লেখায় লেখায় আপন মনে। চোখ চেনে না, হাত চেনে না, বাজে না কোন কথার আওয়াজ শুধুই কা...
একে একে ঝরে গেছে জীবনের অনেক কটা দিন। হায়!
আসি ফিরে ফিরে বসি চুপটি করে, কি যেন অপরাধবোধ মনে নাড়া দেয়। শুধু চেয়ে দেখি জীবনের লেখা গুলো মৃদুল আহমেদ আমাকে বন্দি করে বন্দিশালায়-'আমার লেখায় কমেন্টস করেন'। তার সেই অনেক দিন ষ্টিকি হয়ে থাকা লেখায় কি আমি কিছু জানাতে পেরেছিলাম। না পারি নি। পারিনি উপস্থিত হতে ছবির হাটের আলোচনায় অথবা মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের আয়োজনেও। কি এমন ব্যস্ততা আমাকে যেন ...
একটি আবিলতা ঘিরে রাখে প্রায়ই আমাকে- সেটা হলো কোন পর্ব বা অপর্ব কেন্দ্রিক মিলন অনুষ্ঠান। 'চল যাই ঘুরে আসি', 'চল বসে আড্ডা বাজি করি', ‘স্মরণিকা-দেয়ালিকা তৈরী করি’ অথবা ‘মঞ্চ নিয়ে খেলা করি’। আমার সেই বিহঙ্গ মন প্রায়ই ছুটে যায় এমন প্রাণ উজাড় করা আহ্বানে।
গত দিন কয়েক আগে রাতে কানে এল অবসর পাঠ চক্র তাদের বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। একটু ভিন্নতা আর ব্যতিক্রম আয়োজন। আড়ম্বর আছে কিন্তু ...
যেখানে আমাকে তুমি দাঁড়িয়ে রেখেছিলে
সেখানে এক গাছ এখনও দাঁড়িয়ে আছে
যেখানে প্রিয়ে তুমি গোপনে বলেছিলে
সেখানে সেই কথা বাতাসে ভেসে আছে।
জীবনে জীবন আনো প্রণয়ে প্রণয়
যে পথিক সেই ক্ষণ বলেছিল জনায়
আমি সেই পথিকের শব্দ এখন শুনি
'ঘর পোড়া গরু গুলো ঘর কি পাব কোন'
আমাদের বাতায়ণে যে ভালোবাসার রোল
সেখানে অবহেলা গড়েছে আস্তরন
পথিক চলে গেছে-
নিয়ে গেছে আমাদের সময়ের ক্লান্ত ক্ষণ।
এককী দাঁড়িয়ে ...
আমরা সংস্কৃতির নানা রঙ উপভোগ করি এই বাংলাদেশে। কেউ কেউ পাশ কাটিয়ে যাই। কেউবা ব্যাক ডেটেড উচ্চারণ করি। তবে ধর্মীয় আর সামাজিক অনেক অনুষ্ঠানই আমাদের মননের প্রকাশমানতার জন্য।
গত রাত পার হয়েছে ১২ই রবিউল আউয়াল। আমার পৈত্রিক ভিটার চারিদিক থেকে কানে এসেছে মাইকের আওয়াজ। সেখানে হযরত মুহাম্মদ (সা:) স্মরণ করে ওয়াজ আর জিকির করা হয়েছে। রাত ভোর ঘুমে জাগরণে শুনতে শুনতে দিন শুরু করলাম।
আজ বা...
লিখতে গেলে ছন্দ ভুলি ছন্দ পেলে সুর
শব্দ খুজতে তোমায় পেলাম একি সুমধুর
রঙিন শব্দ রাত জুড়ে ছিল আমার ঘরে
সকাল হতেই তোমায় দেখি অনেক দূরে
কৃষক জানে কেমন করে চাষ দিতে ক্ষেত
মন ময়ুরী পেখম নাচে চায় বর্জ্রনাদ
দিন জুড়ে মাঝ উঠানে তোমার পদধ্বনি
সন্ধ্যা সাজে বুকের মাঝে উস্কানি দেয় উনি
তোমায় পেলে শব্দ ভুলে শ্বাসের বেগ বাড়ে
তুমি তখন শান্ত মনে ডুবলে অথৈ জলে
জল থেকে ডুবুরিদের তুলতে তোমায় বলে...
এই মনিকা কেমন আছিস দিন কি এখন চলে
নাকি এখন রাত্রি হলে গুললু স্বপ্ন কান্না করে
এখনও গুললু সেই গল্পে ঘুমিয়ে কি পড়ে
যেই গল্প দেশজুড়ে এখন মাতন তোলে
তখন নাকি অনেক মানুষ- সত্যি মানুষ ছিল
গুললু তখন ছোট্ট ছিল আদর দিতিস কত
তোর আদরের গুললু তখন স্বপ্ন চোখে ঘুমাত
গোলা ছিল ভরা ধানে, তাই তখন স্বপ্ন ছিল....
স্বপ্ন চোখে নিয়ে গুললু তাঁদের হারানো স্বপ্ন বোনে
স্বপ্ন সাধের আশায় গুললু এদিক ওদিক চলে
...