অনার্য সঙ্গীত এর ব্লগ

ডুয়েসবার্গের গবেষণাপত্র: এইডস মহামারী বলে কিছু নেই! ছিলও না কখনো!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শনি, ১৪/০১/২০১২ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এইচআইভি নামের ভাইরাসটি এইডস রোগের জন্য দায়ী। এইডস হলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে, আপাত নীরিহ রোগগুলোই ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এইডস কথাটার লম্বা মানেও সেই কথাই বলে। সহজ বাংলায় বললে, এইডস অর্থ "রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ"! রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে, কারণ রোগী নানারকম সহজ-কঠিন রোগে আক্রান্ত! রোগ সারছে না! শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে বলেই সারছে না!

ডুয়েসবার্গ কী বোমা ফাটিয়েছেন সেটা আগের লেখাতেই বলেছি। তিনি বলতে চেয়েছেন, এইডস নিয়ে তোমরা অনর্থক লাফাচ্ছ! লাফালাফি বন্ধ করা দরকার! কারণ,

  • এইডস কোনো মহামারী নয়।
  • এইচআইভি ভাইরাসটিই যে এইডসের জন্য দায়ী তার শক্ত প্রমাণ নেই। ভাইরাসটি বরং নীরিহ!
  • এবং, এইডসের বর্তমান চিকিৎসা ক্ষতিকর! লোক এইডসে নয়, মরছে ওষুধে!


এইচআইভি-এইডস মহামারীর অস্তিত্ব নেই?!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: সোম, ০৯/০১/২০১২ - ৪:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুক্রবারে এক্সপেরিমেন্টের ফাঁকে অভ্যসবশত পরিচিত বিজ্ঞান পত্রিকাগুলোতে ঢুঁ মারছিলাম। ন্যাচারে (nature.com) বিশেষ প্রজাতির সাধারণ পিঁপড়াদের দৈত্যাকার প্রহরী পিঁপড়া হয়ে ওঠা বিষয়ক খবরটা নজর কাড়ল। বিজ্ঞানের পৃথিবীতে চমক না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অভ্যেস হয়ে যাওয়ায় এসব খবরে এখন আর চমকাই না। তবে সত্যি সত্যি দারুণ চমকে উঠলাম পরের খবরটাতেই। একটা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অস্বীকার করা হয়েছে এইচআইভি ভাইরাসসের সঙ্গে এইডসের সম্পর্ক ! গবেষণাপত্রটি ন্যাচারে প্রকাশিত হয়নি। ন্যাচার বরং এটির উপর একটি নিবন্ধ ছেপেছে। নিবন্ধটি এবং পরবর্তীতে মূল গবেষণাপত্রটিও আমি আক্ষরিক অর্থেই হাঁপাতে হাঁপাতে পড়েছি! এইচআইভি ভাইরাস এইডসের জন্য দায়ী নয়? এইডস কোনো মহামারী নয়? এইডসের টিকা/ওষুধের যে যুগব্যপী গবেষণা, পরীক্ষামূলক ব্যবহার সেসবের দরকার ছিলনা? এইডস পূর্ববর্তী/পরবর্তী নানা সামাজিক-রাষ্ট্রীয় আয়োজন সব অর্থহীন? বলে কী!

১৯৮৪ সালের পর থেকে এইচআইভি/এইডস-এর কারণে বিশ্বের সমাজ-রাষ্ট্র-অর্থনীতি-স্বাস্থ্য যেভাবে ওলটপালট হয়েছে সেটার খুব অস্পষ্ট একটা ধারনা নিয়েই আমি বলতে পারি, এই গবেষণাপত্রটি বিজ্ঞানের বিশ্বে অন্তত গোটা দশেক নাইন-ইলেভেন-এর প্রভাব ফেলবে! ফেলা উচিত।


গল্প অপচেষ্টা (২): বাঁধাইকর

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ৮:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের মফস্বলে ওই একটিই বাঁধাই ঘর ছিল।

বাঁধাইকর ছিল কালো একটা লোক। শুকনো, অথচ কেমন খানিকটা তেলতেলে লোকটা মোটা ফ্রেমের চশমা পরে সারাদিন মুখ গুঁজে বই সেলাই করে চলত! লোকটার সরু লম্বা আঙুল দেখে সেগুলোকে মায়াবী ভাবার কিছু ছিলনা! কিন্তু কীরকম মায়া করে লোকটা বইয়ের পুরনো মড়মড়ে পাতাও নরম মাংসের মতো সেলাই করে ফেলত! বই যেন না, পুরনো কাপড়! বইগুলোও যেন গলে পড়ে যেত লোকটার হাতে! সুলতা বৌদি আমার চুলে আঙুল দিয়ে বিলি কাটলে যেমন আমার অদ্ভুত আদর লাগত, সেরকম। অথবা সেইবার যখন আমি আর তনি ওদের পোড়ো ভিটের শুকনো ডোবায় পালিয়েছিলাম! তনি কেবল আমার হাত জাপটে ধরে আমার গায়ে হেলান দিয়ে পড়ে ছিল! আর আমি ওকে যতই ধাক্কাই উঠতে চাচ্ছিলোনা, সেরকম!


কথা বলুন সুহৃদ! এখনই!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শনি, ৩১/১২/২০১১ - ৫:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্ত মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কুৎসিত আভিলাসটি নানামহল থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের সামনে আসছিল। এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-এর সাম্প্রতিক বক্তব্য আমরা পড়েছি। তিনি বলেছেন নিজেদের ক্রেডিবিলিটি ধরে রাখতে ব্লগগুলো মনিটর করুন। এটা যে শুরুর ইঙ্গিত ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই শুরুটাকে আরো অনেকেই যুক্তি(!) এবং উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিতে চাইছেন। কেন চাইছেন সে বিষয়টি ব্লগেই স্পষ্ট করেছেন সচলায়তনের সহব্লগার হিমু ভাই।


মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রসঙ্গে যে বিষয়গুলোতে দ্বিমত পোষণ করছি স্যার!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: রবি, ১১/১২/২০১১ - ৭:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০০৪-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ডেইলি স্টারের "একুশে স্পেশাল' ক্রোড়পত্রে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। লেখাটির কিছু অংশের সঙ্গে আমি একমত। আমি যদি ঠিক বুঝে থাকি তাহলে লেখাটির মূলভাবের সঙ্গেও একমত। কিন্তু অনেকখানি জায়গায় আমার দ্বিমত রয়েছে। এতো পুরাতন একটি লেখার ব্যাপারে হঠাৎ করে এই সময়ে কথা বলার কারণ রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে যে ব্যাপারগুলোতে আমার বিশেষ দ্বিমত রয়েছে সেটা বলি।

জাফর ইকবাল স্যার একটা বিজ্ঞানের বই থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে একটি লাইনকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে সেটার বঙ্গানুবাদ করার চেষ্টা করেছেন।রবার্ট রেজনিক এবং ডেভিড হ্যালিডের লেখা "ফিজিক্স' বইটি থেকে উদাহরণটি নেয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স সম্মান পড়ার সময় তিনি এই বইটি পড়েছেন।


ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা কি আমাদের কেউ?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/১১/২০১১ - ১:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি ছেলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে সেটা জানলে আমার কিশোরবেলায় যে অনুভূতি হত সেগুলো এরকম:

১. ছেলেটি ইংরেজি জানে। ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। (ইংরেজি জানা তখন একটা মারাত্মক ব্যপার ছিল। ইংরেজি জানা মানেই শিক্ষিত!)
২. সে ধনী পরিবারের সন্তান এবং সে স্মার্ট।
৩. সে আমার আশাপাশের কেউ নয়। আমার সীমানার বাইরে তার বসবাস। তার সঙ্গে আমার সাবলীল কোনো সম্পর্ক হতে পারেনা!


চিকিৎসাশাস্ত্রে এবারের নোবেল পুরষ্কার: কলিযুগে হয় মানুষ অবতার

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শনি, ২৯/১০/২০১১ - ৫:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রফেসর ব্রুস বয়েটলার মেইলটা পান প্রায় মাঝরাতে। বিছানায় ছিলেন তিনি। কেন জেগে উঠেছিলেন কে জানে! হাত বাড়িয়ে মোবাইল ফোনটা নিয়ে দেখেন সেখানে একটি নতুন ইমেইলের নোটিশ। ইমেইলেটি খানিকটা অবিশ্বাস্য লাগে তাঁর কাছে! তবে সেই অবিশ্বাস্য খবরটিই তার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। বিছানা ছেড়ে তিনি নিচে নামেন। তাঁর কম্পিউটারটি নিচতলায়। সিঁড়ি ভেঙে নেমে সেটিতে মোবাইল ফোনে পাওয়া খবরটির সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করেন তিনি! যে সাইটটিতে প্রবেশ করতে চাইছিলেন সেটি আটকে থাকে! হতাশ হয়ে তিনি গুগল নিউজের সাহায্য নেন। সেখানের একটি সংবাদ তাঁকে নিশ্চিত করে! মোবাইলে পাওয়া তথ্যটি ভ্রান্ত নয়!


বিদায় স্টিভ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শুক্র, ০৭/১০/২০১১ - ৪:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত করা হয়ে ওঠেনি স্টিভের। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে গ্রাজুয়েট হতে পারেন নি। এই গল্পটা অবশ্য সবার জানা। আমি আরেকবার বলছি। স্টিভের গল্প বারবার বলা যায়।


উটকো ব্লগ: ক্যান্সার

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: বুধ, ২৮/০৯/২০১১ - ১:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখাটি ঠিক বিজ্ঞানের নয়। প্রথমত বিজ্ঞান লিখতে গেলে খানিকটা জানতে হয়। ক্যান্সার সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। খানিকটা পড়াশোনা করে জানার চেষ্টা করা যেত, সময় নেই! এই লেখাটা ফাঁকতালে শ্বাস নেয়ার মতো। ভয়াবহ ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কয়েকদিন বিষয়টা খুব ভাবাচ্ছে। একটা অস্বস্থি ভর করে আছে মাথায়। ভাবতে ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষ হয়ে না জন্মালেই ভালো হতো। মানুষ সভ্য প্রাণী নয়। বুদ্ধিমান হয়েও সে সভ্য নয়, এই অপরাধের দায় সে অস্বীকার করতে পারেনা! বলে রাখা ভালো, এই লেখাটি অগোছালো। ঝট করে লিখে ডুব দেবো। বিজ্ঞান পড়ার আশা করে কেউ পড়তে শুরু করলে হতাশ হবেন। কোনোকিছু আশা করলেই হতাশ হবেন।


ডেঙ্গু: ভাইরাসের চিঠি আর পত্রলেখক কোষ!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: রবি, ২৮/০৮/২০১১ - ৭:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ। শুনলাম, মশায় কামড়ালে ডেঙ্গু হয়! ঠিক বুঝলাম না। বাঘে কামড়ালে ডেঙ্গু হয়না কেন?!

জানলাম, মশার কামড়ে রক্তে ভাইরাস ঢুকে পড়ে, তাই ডেঙ্গু হয়। সেও ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না! প্রোটিনে মোড়া গোটাকতক জিন (gene) রক্তে ঢুকলেই ডেঙ্গু হতে হবে? আরো কতকিছু যে রক্তে ঢুকছে, তাতে ডেঙ্গু হয়না কেন? সাপ-ব্যাঙ যা আমরা খাই সবই তো ভেঙেচুরে সেই রক্তে ঢুকে পড়ে। অথবা সেকেন্ডে সেকেন্ডে যে অক্সিজেন ঢুকছে, তারবেলা? সিগারেট খেলেই যে দুম করে গণ্ডা গণ্ডা বিশ্রী বিশ্রী রাসায়নিক দুম করে রক্তে ঢুকে যাচ্ছে তাতে ডেঙ্গু হতে পারেনা?