জুলস বরডেট পৃথিবীতে এসে আমাদের ধন্য করেন ১৮৭০ সালের ১৩ই জুন। মানুষের ভেতরেও যাঁরা সবার উপরে। ইনি তাঁদের একজন। এই লোকটি রক্ত খুব পছন্দ করতেন। পছন্দ করতেন মানে এই জিনিসটিতে ওনার অপার কৌতুহল ছিল। ওনাকে সালাম দিয়ে একটা গল্প বলি। এটি আসলে একটি ঘটনা। আমি গল্পের মতো করে বলছি।
১. তিনি এখন মিডিয়াসৃষ্ট জনপ্রিয়তার ফাঁপা রঙিন ফানুসের বাসিন্দা।
২. একটা সুদখোরের জন্য তার কলমের কালি ব্যাবহৃত হতে পারে। কিন্তু এ ক্রান্তিকালে জাতীয় সম্পদের রক্ষার জন্য তিনি কলমের ঢাকনা খুলছেন না!
৩. তিনি বামপন্থী আন্দোলন পছন্দ করেন না।
৪. তিনি হরতাল সমর্থন করেন না।
৫. তেল-গ্যাস পাচার/রক্ষা বিষয়ে তিনি মৌন।
নোনতা বিস্কুট তিতিনের পছন্দ। একটু একটু পছন্দ নয়, অনেক পছন্দ। একটুখানি খেলেই অনেক্ষণ জিভে লেগে থাকে! বিস্কুটের প্যাকেটগুলো কেবল বাজে। সহজে ছেঁড়া যায় না। মা অবশ্য ঝট করে ছিঁড়ে ফেলতে পারেন। আর মা থাকলে তাকে খাবার ঘরে এসেও খেতে হয় না। মা-ই তার ঘরে খাবার নিয়ে যান। ঠিক ঠিক নিয়ম করে। মা যে কিভাবে টের পান তিতিনের কখন খিদে লাগবে তা কে জানে! অথবা হয়তো মা খাবার নিয়ে ঢুকলেই তিতিনের খিদে পেয়ে যায়!
শ্রদ্ধা আর ঘৃণা। এই দুটি অনুভূতি আমার কাছে সবচে গুরুত্বপূর্ণ। বাকি বেশিরভাগ অনুভূতির সঙ্গেই লাভ-লোকসানের তীব্র হিসেব জড়িয়ে থাকে বলে সেসবের গুরুত্ব কম। ব্যক্তিগত ভাবেই অন্তত তীব্র ঘৃণা বয়ে বেড়ানো আমার কাছে খুব সুখকর কিছু নয়। ঘৃণিত প্রাণিদের তালিকাটিও তাই খুব দীর্ঘ নয় আমার। সেই তালিকার একজনকে ঘিরে এই লেখাটি।
বালিকার নাম বিমলা। এমন বালিকার প্রেমে না পড়াটাই অন্যায়। আর কে না জানে আমি অন্যায় একেবারেই সহ্য করতে পারি না। সুতরাং তার প্রেমে পড়ে গেলাম। পরের ঘটনা বেশ জটিল। সহজ করে বলার চেষ্টা করি।
শুনশান চুপচাপ নেই কোনো শব্দ
কতদিন হয়ে গেল আকতার স্তব্ধ
শব্দের ভাঁজে ভাঁজে বারুদের হুঙ্কার
বহুদিন হয়ে গেল, শুনিনা তো, আকতার
কাগজের মতো এরকম চমৎকার একটা জিনিস খাওয়া যায় না কেন? অথবা পলিশ করা কাঠ? নারকেলের ছিবড়ে? পাটের শলা খাওয়া যায় না কেন?
ইট-লোহা খেতে না পারার স্পষ্ট কারণ আছে। ওতে শরীরের প্রয়াজনীয় পুষ্টি উপাদান নেই। কিন্তু কাগজ তো গাছ থেকে তৈরি। নারকেলের ছোবড়াও তো গাছেরই অংশ। এমন কি কাঠও! এই তিনটে জিনিসই শর্করায় একেবারে ঠাসা! তাহলে?
ব্যাপারটা বুঝতে গেলে আগে বুঝতে হবে রেলগাড়ি।
কয়েক মাস আগে এক সদ্য পরিচিতের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। যেচে পড়ে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করায় তার উপর যথেষ্ট বিরক্ত ছিলাম! "কী হে! কী অবস্থা! এখন তো একটু ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে..." টাইপ কথা বলে কেটে পড়ার তাল করছি, আচমকা লোকটি একেবারে আমার হৃদয়ের দুর্বলতম কোনে ঘাই মেরে বসল!
একটি চিনামাটির ছোট প্লেটে যদি খুব ছোট এক টুকরো কাগজে আগুন জ্বালিয়ে সেটা একটা কাঁচের গ্লাস উপুড় করে ঢেকে দেয়া হয় তাহলে দেখতে দেখতে সেই কাঁচের গ্লাসটি ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। এখন ঠিক তার পাশেই যদি আরেকটি চিনামাটির প্লেট একটি কাঁচের গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় ভেতরে কোনো জ্বলন্ত কাগজ ছাড়াই, আর আগের গ্লাসের ধোঁয়া দৈব উপায়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় নতুন গ্লাসটির মধ্যে, তাহলে দর্শকের অবাক না হয়ে উপায় থাকেনা। ব্যাপারটি অদ্ভুত
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের একটা গল্প মনে পড়ল,
গ্রামের একটি লোক একদিন হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে এসে মোল্লাকে বলল, "সুখবর আছে মোল্লা সাহেব, আপনার পাশের বাড়িতে পোলাও-মাংস রান্না হচ্ছে"।
- "তাতে আমার কী!" মোল্লার জবাব।
- "আপনাকেও নিশ্চয়ই দাওয়াত করেছে...!"
- "তাতে তোমার কী?"