জাহিদ ভাইয়ের কাছ থেকে আচমকা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম দাবা খেলার। উনি কানাডাতে থাকেন, আমি ইউরোপে। ইন্টারনেটের কল্যাণে দুরত্ব খুব সমস্যা করে না। আন্তঃমহাদেশীয় দাবা খেলতে থাকি আমরা। টুকটাক খেলাতে আর কথাতে আমরা আবিষ্কার করি, দাবা খেলেন এরকম পরিচিতজনের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। অনেকেই নিভৃতে দাবা খেলেন। অনেকেরই দারুণ পছন্দের খেলা এটি। আর সবার কথা জানি না, আমি দল পাকাতে দারুণ পছন্দ করি। দল পাকাতে পারলেই হৈ-হুল্লো
সতর্কতা: লেখাটিতে নৃশংসতার বর্ণনা রয়েছে। লেখাটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তমনস্কদের জন্য।
আমার বোন খুব হতভম্ব হয়ে যায় প্রথমে।
প্রিয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ,
১.
ভাইরাসের সবচাইতে বড় দুর্বলতা হচ্ছে সে বিশেষ কোন প্রাণীর জন্য তৈরি। যে ভাইরাস পাখির কোষে আক্রমণ করতে পারে সে ইঁদুরের কোষে পারে না। ভাইরাসের আক্রমণের প্রথম অংশ প্রাণিকোষের ভেতরে ঢোকা। কোনো প্রাণিকোষের বাইরে সে জড়বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।
ভাইরাসের একটি বিশেষ ক্ষমতা হচ্ছে সে যেকোন প্রাণিকোষের ভেতরেই বাচ্চা দিতে পারে।
জার্মান দূতাবাসের ভিসা অফিসার আমার কাছে জানতে চেয়েছিল অণুজীব সম্পর্কে এমন কোন তথ্য যেটা সাধারণ মানুষ জানে না। একটু ছেলেমানুষি ধরণের প্রশ্ন বটে। তবে আমিও ওনাকে ছেলেমানুষ (যদিও তিনি নারী ছিলেন! ) ধরে নিয়েই উত্তরটা দিয়েছিলাম।
-আপনার শরীরে যতগুলো কোষ আছে, অণুজীব আছে তার কমবেশি দশগুণ!
দুনিয়ায় আমার সবচাইতে অপ্রিয় কাজ রান্না করা। অপ্রিয় কাজের মধ্যে 'খাওয়া'ও আছে। তবে ওটা প্রথম সারিতে পড়ে না। রান্না করার একমাত্র ভালো দিক হচ্ছে রান্নার সময় পড়াশোনার চাপ থাকে না। তাই রাঁধতে রাঁধতে ব্লগ লেখা যায়। ঢাকায় যখন একা ছিলাম তখন অবশ্য দীর্ঘদিন রান্না করেছি। তবে কিনা, বেঁচে থাকার জন্য কোন রকমে খাওয়ার পক্ষপাতি ছিলাম বলে রান্নার উপাদান সীমাবদ্ধ থাকত আলু, ডাল আর ডিমে। মশলা অবশ্যই সবসময় পেঁয়াজ মরিচ আর লবন। এর বাইরে রান্নার আর কোন উপাদান বিশেষ ব্যাবহার করতে শিখিনি কখনো।
সতর্কতা: ইতিহাসের চাইতে ব্যক্তিগত অনুভুতির কথাই এখানে বেশি।
আইখমানের সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছু জানিনা। এই সময়ে কোনকিছু সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া অবশ্য কঠিন কিছু নয়। চাইলেই যে কোন কিছু অথবা যে কারো ইতিহাস জেনে ফেলা যায়। এমনকি হাজার মাইল দূরে থেকেও জেনে নেয়া যায় কার ছাদের টবে আজ কী ফুল ফুটেছে! আইখমানের সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানিনা কারণ আমি সেই চেষ্টা করিনি। জানার চেষ্টা করিনি আমি ভীতু বলে। নৃসংশতা, সে দীর্ঘ অতীতের হলেও আমার দেখতে/জানতে ভয় লাগে।
স্টেফিন মেরিটের লেখা আর পিটার গ্যাব্রিয়েলের গাওয়া এই গানটা আচমকা শুনেছিলাম। এত চমৎকার একটা গান, আগে কেন শুনিনি ভেবে আফসোস হচ্ছিল!
10 - peter gabriel...
[গানটি প্রথম গেয়েছিলেন এর গীতিকার স্টেফিন মেরিট। আমার অবশ্য পিটার গ্যাব্রিয়েলের কণ্ঠে বেশি ভালো লেগেছে। সেটিই এখানে দিলাম। নিশ্চিত হতে পারিনি গানটির সুরকার কে! 'ম্যাগনেটিক ফিল্ডস' ব্যান্ডের কেউ হবে বলেই ধারণা করি!]
কী ভেবে একটা 'অনুবাদ চে ...
যুদ্ধে যাওয়ার সময় বর্ম পরার নিয়ম ছিল আগে। কারণ সবার জানা। তলোয়ার, বল্লম অথবা ওই রকমের অস্ত্র থেকে আত্মরক্ষা। এখন অবশ্য সড়কি-লাঠি নিয়ে সেই রকমের যুদ্ধ আর নেই। বদলে গেছে অস্ত্র শস্ত্রের ধরণ। সেই সঙ্গে বদলে গেছে বর্ম-ও। সিনেমায়-টিনেমায় দেখেছি বিষাক্ত গ্যাস থেকে বাঁচতে নাকে-মুখে বর্ম পরে আজকাল। বোমা বিশেষজ্ঞরা ভারী ভারী জোব্বা মার্কা বর্ম পরে বোমা খুঁজতে যায়। আরো কত রকমের বর্ম আছ ...
জিন থেরাপির নাড়িনক্ষত্র আরেকবার ঝালাই করে নেয়ার জন্য ড. ইকবাল স্যারের পুরোনো লেকচারগুলো আমি ঘাঁটতে শুরু করি অনেক দিন পর।
স্যারের লেকচারের গুণেই আমাদের কাছে একেবারে পানির মতো স্পষ্ট ছিল জিন থেরাপির ব্যাপারটা। অনেকদিন পর বলে আরেকবার মনে করে নিতে চাই সব। প্রাণির সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় তার জিন দিয়ে। প্রাণীর জন্য এ এক অলঙ্ঘনীয় নীতিমালা। জিনের ভেতর লেখা থাকে কখন মানুষের খিদে পাব ...