বনানিয়র্ক ইউনিভার্সিটির হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক মাজিদ মাহমুদের ক্লাস ছিল না আজ। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছয়তলা ভবন সর্বস্ব ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকের আনাগোণা ছিল কম। কিছু নিরাপত্তাকর্মী এখানে ওখানে আধো ঘুমে আধো জাগরণে মোবাইল ফোনে গান শুনছিল। সে গানের হাল্কা সুর মাজিদ মাহমুদের কানেও আসছিল। চার তলার অফিস রুমে তিনি পরীক্ষার খাতায় ডেবিট ক্রেডিট দেখায় মনোযোগী ছিলেন, তবুও হিন্দি গানটির সুর তার কানের সুড়ঙ্
তারা বলতেন, প্রতিযোগিতাই হচ্ছে ব্যবসার প্রাণ।
খুব অল্প বয়সে আমি বিষয়টি বুঝে গিয়েছিলাম আমার দাদাকে দেখে। আমার গরীব দাদা এ প্রতিযোগিতার কারণেই ব্যবসা করতে গিয়ে উপূর্যপরি দু’বার ব্যর্থ হয়েছিলেন।
গত দু'দিনের মারাত্মক ট্র্যাজিক খবরঃ সেন্ট মার্টিনে ছুটি কাটাতে গিয়ে সাগরে ডুবে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ছাত্রের মৃত্যু। আজ সকাল পর্যন্ত টিভি চ্যানেলগুলোর শিরোনামে এবং দেশের প্রধান দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় স্থান পেয়েছে এ মর্মান্তিক ঘটনা। আগামীকাল এবং পরশু থেকে হয়তো এ নিউজের 'ভ্যালু' কমে যাবে এবং এ সপ্তাহের শেষে মিডিয়া থেকে বিলীন হয়ে যাবে। হয়তো সেটাই স্বাভাবিক, কারণ ফল
অনেক দিন ধরে পথ চলতে গিয়ে সুমনকে খুঁজছি।
২০০৯ সালে যখন প্রথম দেখা হয়, তার বয়স ৬ বছর। বাচ্চা বয়সে একটা ছেলে রিকশা চালাচ্ছে –এ বাস্তবতায় বিমর্ষ হয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করেছলাম, “তুমি ছোটো মানুষ, তুমি টানতে পারবা?”
"চলেন, নিয়া যামু।"
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে।
তখনকার মিরপুর এত ইট কাঠের জঙ্গল হয়ে ওঠেনি। পাশের বিল্ডিংয়ে কেউ জোরে কথা বললে অন্য বিল্ডিং থেকে শোনে যেতো। পাকিস্তানের প্রতিটি রানে এবং ওয়াসিম আকরামের উইকেট লাভে আশেপাশে অনেক বাসা থেকে আনন্দ ধ্বনি আসতো। অনেক বারান্দায় ছাদে উড়তো পাকিস্তানের পতাকা।
আরো একটা বছরের শেষ দিন আজ।
দিনগুলো হয়তো একই রকম, কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানোর নিরিখে পেছন ফিরে তাকাই কেমন গেলো এ বছর, কিংবা কী চাই আগামী বছরে।
এ বছরের প্রথম সপ্তাহে এক পোস্টে লিখেছিলাম, “মর্ণিং শো'স দ্য ডে যদি সত্য হয় – ২০১৩ সালের ঢাকামেট্রো লাইফ রাজনৈতিক সহিংসতা আর হরতালে ভরপুর হবে। নির্মানাধীন ফ্লাইওভারগুলো চালু হলে যানজটের মাত্রা কমবে এটাই আশা।“
বাস্তবে খুব ব্যতিক্রম হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে হরতাল অবরোধ ছিল প্রায় সারা বছর।
বাংলাদেশ সময়ের হিসেবে এখনো প্রায় ২৫ ঘন্টা বাকী আছে। তারপর ২০১৩ সাল বিদায় নিয়ে আসবে ২০১৪ সাল।
সকল সচল, হাচল, অতিথি লেখক, পাঠকের কাছে প্রশ্ন রাখছি - ২০১৩ সালের সচলে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য লেখা কোনটি? চাইলে একাধিক লেখার নাম উল্লেখ করতে পারেন, যে লেখাগুলো আপনাকে ভাবিয়েছে, আপনি যে লেখা নিয়ে অন্যের সঙ্গে অনলাইনে-অফলাইনে আলাপ করেছেন, শেয়ার করেছেন কিংবা মেইলে অন্যকে পড়তে দিয়েছেন; সে লেখার শিরোনাম এবং লিংক উল্লেখ করুন মন্তব্যের ঘরে।
বছর খানেক ধরে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে দৈনিক পত্রিকার ছাপানো কপি হাতে নিয়ে পড়ি না। পত্রিকাগুলো তাদের অনলাইন সংস্করণে মোটামুটি সারাদিন ধরে 'সদ্য সংবাদ' 'তাজা খবর' টাইটেলে কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া খবর সংক্ষেপে তুলে দিচ্ছে। কেউ কেউ অন্যদের থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখতে যত দ্রুত সম্ভব শিরোনাম দিয়ে, সঙ্গে দুই বাক্যের বর্ণনা আর শেষে 'বিস্তারিত আসছে---' অনুসরণ করছে। দেশে থ্রিজি এসেছে, টেলিটকে বছর খানেক হলো। ফলে,
সামাজিক যোগাযোগে, আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণে জন্মদিন-মৃত্যুবার্ষিকী-চেহলাম-কূলখানি-বিয়ে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এখানে যে পাঁচটি উৎসবের নাম উল্লেখ করলাম তার মাঝে শেষটি, বিয়ে, জীবিত মানুষের জন্য, মাঝের তিনটি মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে এবং প্রথমটি, জন্মদিন, জীবিত ও মৃত উভয়রকম মানুষের জন্য পালন করা হয়।
বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে আগ্রহ কবে হারিয়েছি মনে নেই। এখন বাংলাদেশ দলে কারা খেলেন, নামও জানি না। বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়কের নামও আমার অজানা। অথচ, একটা সময় ছিল, সে সময় আরো বিশ পঁচিশ বছর আগে (হায়! প্রায় সিকি শতাব্দী আগে!) ফুটবলের দিন অন্যরকম ছিল। আবাহনী-মোহামেডান নিয়ে কী টানটান উত্তেজনা!