আজ হরতাল ছিল।
গতকাল বছরের প্রথম দিন "বাংলাদেশের সামনে অপার সম্ভাবনা" শিরোনামের আশাবাদী খবর ছাপিয়েছে দৈনিক প্রথম আলো। সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় নিত্য খারাপ খবরের বিপরীতে এ রিপোর্ট মানুষের মনে আশার সঞ্চার করবে - এমনটাই স্বাভাবিক।
দেখা যাক সংবাদের মূল বক্তব্য কী কী। আলাদা বক্সে বলা হয়েছে -
মাঝে মাঝে কিছু সেলসম্যান আসে।
ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ব্যাংকের ডেপোজিট, কক্সবাজার বান্দরবন ট্যুর প্যাকেজ এসব।
প্রায়ই আসে বই বিক্রেতা। সমস্যা হলো, বইয়ের বৈচিত্র্য নেই। এ পর্যন্ত যতজন বই বিক্রি করতে এসেছে - তার বেশিরভাগ বিক্রি করতে আসে ডিকশনারী, হ্যারি পটার, রিপ্লি'স বিলিভ ইট অর নট, অ্যানিমেল ডিকশনারী; এগুলো। দুয়েকজন আসে - 'স্কিলস ফর ম্যানেজার, মোটিভেশন, লিডারশীপ' বিষয়ে টোটকা বই নিয়ে।
বক্তব্য খুব সংক্ষিপ্ত।
এনামুল হক মণিকে বাদ দিতে হবে।
কার কাছে আবেদন করতে হবে জানি না।
হয়তো আইসিসি করবে, হয়তো বিসিবি'রও ভূমিকা থাকবে।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাপোর্টার হিসাবে আবেদন জানাই - এনামুল হক মণিকে বাদ দেয়া হোক।
অন্য দলের ম্যাচে কী হবে জানি না। বাংলাদেশ দলের ম্যাচে তো নয়ই---
গতকালও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
আজ শেষ মুহূর্তে রাজ্জাককে ভুল এলবিডব্লিউ দিয়েছে।
আবদুল মান্নান সৈয়দের লেখা আগে পড়িনি। গল্প নয়, উপন্যাসও নয়।
কখনো সংবাদপত্রের সাময়িকী পাতায় তাঁর লেখা চোখে পড়েছে বলেও মনে পড়ছে না। 'সত্যের মতো বদমাশ' নামে বইয়ের লেখক তিনি - এটুকুই মাথায় ছিল।
এ সপ্তাহে আবদুল মান্নান সৈয়দের ১৫টি গল্প পড়লাম - বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত 'শ্রেষ্ঠ গল্প' মলাটে।
পড়েই আফসোস হলো - এতো দেরী করে পড়লাম কেন!
ঢাকায় শীত আসি আসি করছে।
সকালের দিকে ফ্যান বন্ধ করে দিতে হয়। আবার দুপুর ২টায়ও মনে হয় বিকেল হয়ে এলো। সন্ধ্যা নামে সাড়ে পাঁচটার আগে।
আবহাওয়ার এ বদলী সময়ে চারদিকে সর্দি কাশি হচ্ছে। আমার নিজেরও ঠান্ডা লেগেছে। টিভিতে রিপোর্ট দেখছিলাম, শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আবহাওয়ার পাশাপাশি পানিতেও সমস্যা আছে মনে হয়। ওয়াসার পানিতে ব্যাপক ময়লা। বালতির তলানীতে কালো ময়লা জমে যায় দ্রুত।
হুটহাট কয়েকটা লাইন এসে মাথায় হাতুড়ির আঘাত করে যায়। ভাবি, লিখে রাখবো এখানে ওখানে। আজ যেমন সাত সকালে নিজেই আওড়ে গেলাম, “অনুভুতিগুলো সব পুরনো হয়ে যাচ্ছে। তরতাজা স্মৃতি বলে কিছু নেই। এই সেদিনের প্রেম-প্রণয়ও আজ বিগত দিন। আরও আগের ডানডাস স্কয়ার স্বপ্নের দৃশ্যের মতো ঘোলাটে। আজ দিনটুকু বেঁচে আছে কেবল, ব্যক্তিগত জামায়।" জানি, এ লাইনগুলো আর লেখা না হবে অন্য কোথাও। মুছে যাবে স্মৃতি থেকে। এই করি, ঐ করি, হাতি
একটি গল্প-
রাজশাহীর বাঘা থানার গাঁওতলী গ্রামে মাত্র সকাল হয়েছে।
গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কোলাহল নেই, শিশুদের হৈ-হুল্লোড় ছুটোছুটি নেই। কারণ, দু'দিন পরে ঈদ, স্কুল বন্ধ। আসন্ন উৎসবের নির্জন প্রস্তুতির সকালে হর্ণ বাজিয়ে, ধুলো উড়িয়ে গ্রামে আসে সাদা রঙের মাইক্রোবাস।
মানুষের মৃত্যু কতোবার হয়? কেউ কেউ বলেন, সাধারণ মানুষ একবার মরে, আর অসাধারণ মানুষ অমর হয়। অমরত্ব মানে কি বেঁচে থাকা মানুষের স্মৃতিতে লেপ্টে থাকা? নাকি বেঁচে থাকা মানুষের মনে কখনো কখনো জেগে ওঠা? সংবাদ শিরোনাম, টেলিভিশন কিংবা ছাপা কাগজে, নতুন হয় প্রতিদিন। থাকে কিছু চর্বিত চর্বন। সংবাদও কি মরে যায়?