আরমান বারবার মোবাইলে রিং করে যাচ্ছে। রিং হচ্ছে কিন্তু রোমানা রিসিভ করছে না। টেনশন হয় খানিক । আবার মেজাজও চড়ে উঠে। মানুষ এমন কেয়ারলেস হয়! রোমানা হয়তো এখন শপিংয়ে কিংবা মায়ের বাসায়। ব্যাগে মোবাইল বেজে চলেছে অবিরাম। সেদিকে রোমানার খেয়াল নেই। সে হয়তো গুলশান মার্কেটে হোলসেল শপে রেভলন - গার্নেয়ার – সিট্রা খু...
প্রথমে বামে, তারপর ডানে। সামনে দিকটায় উপর-নিচ করে করতে হবে। ম্যাটাডোর থ্রি এঙ্গেল টুথব্রাশ দিয়ে উপরের পাটির হার্ড-টু-রিচ এরিয়ায় যখন ঘষাঘষি করছি তখন সাত্তার মামা খবরটি দিলো। মুখে টুথপেস্টের ফেনা জমে উঠলে আমি কিছুক্ষণ মুখ বন্ধ করে চুপচাপ থাকি, বড় বড় করে নি:শ্বাস নিই। কিন্তু সাত্তার মামার কথা শুনে চুপ থাকতে পারলাম না। ফুচ্চক করে কলগেটের ফেনা বেসিনে ফেলে চমকে গিয়ে বলি - 'কী বলো মামা? আসলেই?'
সাত্তার মামা তখন গরম গরম পরোটা ছিড়ে মুরগীর গিলা-কলিজার ঝোলে চুবিয়ে ডান হাতে মুখে তুলে দিচ্ছে, চোখ তীক্ষ্মভাবে বাম হাতে ধরে রাখা কাগজের উপর। বেসিনের পাশে ঝুলানো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে আমি আবছা দেখতে পাই - মামার হাতের কাগজে ছক করা ঘর। পাশে গিয়ে বসলে মা
স্ট্রাফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটির ফাইন আর্টস বিভাগের ছাত্র, বাংলাদেশের ছেলে জিয়াউল আবেদীন পলাশ 'জেনোসাইড ৭১' শিল্পপ্রদর্শনীর 'অপরাধে' শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। জানা গেছে, 'বাংলাদেশী-পাকিস্তানী সহাবস্থানকে' সুদৃঢ় রাখার জন্য 'মিটমাটের' চেষ্টাও হয়েছে। আসুন এ সহাবস্থান-সহবাসকে অভিনন্দন জানাই। চিয়ার্স!!!
__________________________
___________________
____________
এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুরুটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেলো। ইন্ডিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ দারুণ সূচনা করলেও কম্যুনিটির মাথা বাংলাদেশের মকসুদ আলী খুব বেশী উচ্ছ্বসিত হতে পারেনি। পারেনি, কারণ খেলার পর যার সাথে আনন্দটা শেয়ার করার কথা ছিল, পাশের ফ্ল্যাটের মুসলিম ব্রাদার, সালিম নাওয়
[ নোট: এটি নতুন কোন পোস্ট নয়। আগের 'পাকমন পেয়ার: আস্তমেয়ের শেঁকড় সন্ধানের অনাদায়ী দেনা সঞ্চিতি" পোস্টে করা আস্তমেয়ে/সন্ধ্যাবাতির সর্বশেষ মন্তব্যগুলোর প্রতিক্রিয়া মন্তব্য। সেখানে মন্তব্যের সংখ্যাবৃদ্ধির কারণে পেজ লোড নিতে সময় লাগছে, আমার মন্তব্যও দীর্ঘ হয়ে গেছে। তাই আলাদা পোস্টে মন্তব্য।]
আস্তমেয়ে/সন্ধ্যাবাতি:
"এক ধরণের ক্লান্তি বা অভিমানবোধ" পেরিয়ে ৩৫ দিন পর "চিন্তা ভাবনা গুছিয়ে" বলতে এসে যা লিখলেন তার প্রথম দু'টি শব্দের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। এ পোস্টকে আপনি বলেছেন "প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া"। কেনো - 'প্রাথমিক' কেনো? আমি কী অন্য কোথাও ভিন্ন কোন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি? স্পষ্ট করে বলি - পোস্টটি আমার 'প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া' নয়, 'চূড়ান্ত প্রত
ইউএনডিপি-তে চাকরীটা হয়ে যাবে সরণ কল্পনাও করেনি। সিটিসেলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেতন। এক বছরের কন্ট্রাক্ট শেষ করে সরণ যখন পার্মানেন্ট হলো তখন তার জন্য অফিস থেকে গাড়ী। বছরে দু'য়েকবার দেশের বাইরে কনফারেন্সে অফিস ট্যুর। ভীষণ ব্যস্ত সময়। সকাল আটটায় অফিস যাওয়া, ফিরতে ফিরতে রাত। কখনো রাত দশটা। ব্যস্ততায় সময় চলে যায় দ্রুত। মাঝে মাঝে কাক দেখলে কী যেন মনে পড়ে যায়। সরণের মনে হয় - ব্রেনের স্মৃতি কোষের কোনো একটা অংশ জেগে উঠতে চায়। অথচ ঐ অংশটা সরণ অনেকদিন যাবত ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে। সরণ বিশ্বাস করে - অনেকটা সময় পেরিয়ে এ স্মৃতিগুলো মারা যাবে একদিন। কেবল সময়ের অপেক্ষা, পলাতক সময়!
।
।
।
।
।
জয়া এ নিয়ে পাঁচবার ডাক দিলো।
দরজার কাছে এসে বলে গেছে
বেলা:
আপনাকে শেষ মেইল করেছিলাম আজ থেকে বাইশ দিন আগে।
এরপর আপনার কোন মেইল পেলাম না।
হয়্তো রাগ করে আছেন।
প্লিজ রাগ করবেন না।
আমি আপনাকে অনুরোধ করবো, খুব মন দিয়ে আমার এ মেইল পড়ার জন্য!
আমি কখনো এমন ভেবে চিন্তে মেইল করিনি।
এ মেইল করার আগে অনেক ভেবেছি। গত দু'সপ্তাহ নিজের সাথে অনেক বুঝাপড়া করেছি।
আবারও বলি - অনেক ভেবে এ মেইল করছি।
কোন একদিন চ্যাটে আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন - আমার গার্লফ্রেন্ড নেই কেনো?
আমি বলেছিলাম - কেউ হয়তো পছন্দ করেনি।
আজও বলি - ওটাই খুব সত্যি কথা।
আসলে আমাকে পছন্দ করার মতো কিছু ছিল না।
আমার চলাফেরায় কিংবা কথাবার্তায় মোহনীয় কিছু ছিল না।
আপনাকে বলা হয়নি, ইচ্ছে করেই অনেক ব্যক্তিগত প্রসংগ এড়িয়ে গেছি।
আম
হ্যালো,
কেমন আছেন? কী করছেন? আমার মন-মেজাজ দুটোই খারাপ। বাসায় উটকো ঝামেলা শুরু হয়েছে। আমার অনার্স শেষ হয়ে এলো। আব্বু-আম্মু আমার বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। কোথাকার কোন এক আর্মী অফিসারের সাথে নাকি বিয়ে। বলেন তো, এটা কোন কথা? জানি না চিনি না, এমন মানুষকে কীভাবে বিয়ে করি? একদম ভালো লাগছে না---
< বেলা >
-----------------
বেলা:
ওয়াও!
দারুণ খবর!!
কনগ্র্যাট।
অনেকদিন বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয় না।
আপনার বিয়েতে খুব মজা করে খাবো।
নেক্সট উইকে ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত শার্প করিয়ে আসবো!
হা হা হা।
আপনি লাকি গার্ল!
এখন সম্ভবত: বিয়ের বাজারে আর্মীদের জয়জয়কার।
একসময় ছিল - ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার অথবা ব্যবসায়ীর সুদিন।
এখন আর্মী অফিসারদ