"গত ছয় মাসে লন্ড্রি সাবানের বিক্রি কমলেও ডিটারজেন্ট পাউডারের বিক্রি বেড়েছে আগের তুলনায় প্রায় টুয়েন্টি পার্সেন্ট। নতুন আইটেম হিসেবে আমাদের কোম্পানীর ডিটারজেন্ট পাউডার যে মার্কেট পেয়েছে - এরকম চললে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা টোটাল মার্কেটের ফিফটি পার্সেন্ট শেয়ার ক্যাপচার করে ফেলবো...।"
শুনে ভ্রু কুঁচকে উঠে আদিল রহমানের।
ইশারায় থামায় মোহাইমেন চৌধুরীকে। মোহাইমেন চুপ হয়ে যায়।
"ডিটারজেন্ট পাউডার এসে যদি লন্ড্রি সাবানের মার্কেট দখল করে তাহলে লাভ
মফস্বলে এ সময়টায় খুব শীত পড়ে। আসার সময় বৌ যত্ন করে জ্যাকেট, শাল, সুয়েটার গুছিয়ে দিয়েছিল। সাথে দিয়েছিল তুশকা কাশির সিরাপ। দু'তিন দিনের ব্যাপার - তবুও সতর্কতা, যদি ঠান্ডা লেগে যায়! শেষ মুহূর্তে বড় মেয়ে যত্ন করে গলায় মাফলার জড়িয়ে বলেছিল - একদম অবহেলা করবে না!
দুই.
অবহেলা করার সময়টুকুও নেই। ভীষণ তাড়াহুড়া। অনেকগুলো মিটিং করতে হচ্ছে। টেবিল মিটিং, পথসভা, সমাবেশ, মহাসমাবেশ - পত্রিকার ভাষায় জনসংযোগ। মফস্বলে মিটিংয়ের চেয়ে কাজ বেশী, কোলাকুলি বেশী।
অনুগ্রহ করে জুতা খুলে প্রবেশ করুন
এক.
প্রতিদিন সকালে অফিসে পা দেয়ার আগেই নোটিশটি আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে আপনিও। একে অন্যের দিকে তাকিয়ে অপলক...।
আজ তিন বছর পূর্ণ হলো; আপনি জুতা খুলছেন, অফিস করছেন নিয়মিত। অথচ আপনি বসে আছেন সে-ই একই চেয়ারে। এক বছর - দুই বছর করে তিন বছর কেটে গেছে...।
আবার কাজ শুরু করলেন আজ...।
সাইলেন্স প্লিজ!
চুপ করুন।
সবাই চুপ থাকুন, প্লিজ!
দুই.
কাজ করতে বসে কেবলই নোটিশটির দ
বাংলা সাহিত্য ও সমাজ চিন্তাকে পালটে দেয়ার বিপ্লবী ভাবনা নয়, বরং সাহিত্য ইতিহাসে সাক্ষী হওয়ার সুকোমল বিশ্বাস নিয়ে ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়েছে ই-পত্রিকা 'বীক্ষণ'। সমাজ ও সংস্কৃতির সমকালীন ছায়ার পাশাপাশি জনপদ ছোঁয়ার স্বার্থক প্রয়াস লক্ষ্য করা গেছে বীক্ষণের প্রথম সংখ্যায়। সুখপাঠ্য সব কবিতা, গল্প আর নিবন্ধের এ সংকলন নি:সন্দেহে আগ্রহী পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
এগারো জন কবির বাইশটি কবিত
দিশাদের ড্রয়িং রুমে বসে আছি প্রায় ঘন্টা দু'য়েক হবে। এর মাঝে দুইবার চা দেয়া হয়েছে। সবাই হুড়াহুড়ি ছোটাছুটি করছে। আমার দিকে কারো খেয়াল নেই।
দিশার মা একবার এসে - "স্যার, আপনাকে চা দেয়া হয়েছে?" বলেই অন্য দিকে চলে গেলো।
আমি বসে বসে চা খাচ্ছি। সাথে দেয়া চানাচুরের পিরিচ থেকে একটা একটা করে বাদাম মুখে দিচ্ছি। অপেক্ষা করছি কখন খামটা হাতে পাবো। খামটা হাতে পেলেই বিসিএস কম্পিউটার সিটি; এক গিগার আইপড কিনবো। বাকী টাকা দিয়ে সিল্কের পাঞ্জাবী...।
এ
আট
সাত
ছয়
শুণ্য
আট হাজার সাতশ' ষাট ঘন্টা।
গেলো...
পার হয়ে গেলো।
এতটা সময় খুব লম্বা হয়তো নয়। কী-ই বা ক্ষতি বৃদ্ধি হলো! নিজের সাথেই না হয় নিজেরই কিছুটা জানাজানি হলো।
মৌসুমী ভৌমিকের গানটি ভালো লাগছে বেশ।
"শরীরটারই ভেতরে পরান নামের কী যেন কে থাকে
তারই ডাকে আমি ঘর-বাহির করি,
এখনই সে মেঘ ধরতে চায়
এখনই সে রোদের
তখনো সূর্য দেখা যায়নি। শীতের কুয়াশা আর শিরশির বাতাসে আমি অপেক্ষা করছি বাসের জন্য। আমাদের ছোটখাটো উপজেলা সদরটা পালটে গেছে অনেক। অন্তত: বছর দশেক তো হবেই; পরিচিত দোকান গুলোয় যাওয়া হয় না, আড্ডা দেয়া হয় না। মেরিনা কুলিং কর্ণার আর ক্যাফে ডিলাক্স বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। আজমীর হোটেল কিংবা শরীফ হোটেল আছে কিনা জানি না। এক টাকায় বড় বড় সিঙাড়া, দুই টাকার ডালপুরি কেটে দুই ভাগ করে দুই বন্ধু খাওয়া। আহ্! পুরনো দিন গুলোর ঘ্রাণ নাকে ভেসে আসছিল বারবার। হঠাৎ দেখি
একটু একটু করে খবরটা ছড়ালো। প্রথমে একজন দুইজন জানলো - তারপর আশেপাশের কয়েক গ্রাম। খবরের চমকে যতটা না শংকা ছিল তারচেয়ে বেশী ছিল গোপনীয়তার চেষ্টা। কেউ কেউ না বুঝে এড়িয়ে গেলেও মোটামুটি সবাই জানলো মুন্সী বাড়ীর বড় ছেলে মাসুদ মুন্সীর খারাপ অসুখ হয়েছে। এই খারাপ অসুখটা ঐ তল্লাটের কারো কোন দিন হয়নি। একবার যখন হলো - তখন ভয়টা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না, তাই আগেরদিনের মুরুবি্বদের কথামতো অসুখটার নাম মুখে নেয়া থেকেও বিরত থাকলো কেউ কেউ। তবে সবাই দু:খ পেলো এমন পরি
এক সময়ের আলোচিত সিনেমা 'ছুটির ঘন্টা' দেখে অনেকেই মন খারাপ করেছেন, চোখ ভিজিয়েছেন। শিশুদের জন্য তৈরী এ ছবির একটি গান শিশুতোষ আনন্দের প্রকাশ হিসেবে কালজয়ী হয়ে আছে। ঢাকা শিশুপার্কের রাইডগুলোয় কিংবা বিটিভি-তে শিশুদের অনুষ্ঠানে এখনো জনপ্রিয় গান - "একদিন ছুটি হবে, অনেক দূরে যাবো, নীল আকাশে সবুজ ঘাসে, খুশিতে হারাবো"। ছুটির আনন্দের কথা এসেছে নানানভাবে; ছড়ায়, কবিতায়, গল্পে আর গানে। 'মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি, আজ আমাদের ছুটিরে ভাই আজ আমাদের ছুটি
"নাগরিক জীবন প্রতিবন্ধীত্বের জীবন। মানুষ তার শেঁকড় থেকে বিচ্যুত হয়ে পরিণত