নওসের মিয়া খুব ভালো সমবেত সঙ্গীত শিল্পী। সেই স্কুল জীবন থেকে শুরু। সকাল বেলায় লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে তাদেরকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হতো। নওসের মিয়া কখনো কখনো শব্দদুষণ না ঘটিয়ে শুধু মুখের ব্যায়াম সেরে নিতো। স্যারেরা আবার বেত হাতে লাইনময় দৌড়াদৌড়ি করে বেড়াতেন। এমন বেগতিক অবস্থায় নওসের মিয়া তার সোনার গামলা কেম...
ভাবতে থাকো
একদিন দুইদিন করে
শ' খানেক বছর পরে
একদিন যমুনায় নাচবেই জল
কোলাহলী গদ্য সম্ভারে
উড়বেই সোনালী কবিতা
ঠনঠনে শূন্যতায়
জাগবেই প্রাণ
রাশি রাশি হাসি মেখে ফিক ফিকে অনুভব
আমার সময়ের বড় অভাব
মুহূর্তের পলক গুণি
একদিন জ্বরা ধরে অনুভবে
তারপর উড়ে যায় সব
পোড়া পালকের গন্ধ
ছন্দের মন্দ
অযথা কাব্যতা
গালা...
তোর খেয়ালী ছেনালীপনায়
হিমালয়ে ভাঙে মরুঝড়
তবু তুই খেলে যাস
শুয়োরের বাচ্চা
পাহাড়ের পরে পাহাড়
অবাধে স্রোতের একমুখী বাণিজ্য
অর্ধলক্ষ বর্গমাইল আজ শুয়োরের খোঁয়াড়
তবু তোর খাই মেটে না
ঘোর কাটে না
জোটে না একবিন্দু আলো
তবু জপে যাস - আমি আছি ভালো
আমরা আছি ভালো
এক দুই তিন করে
পালানো সময়ে জীবনের ঘোর
তোর অর্ঘ্...
তিন.
পরীরা সুন্দরী হলে কি হবে? তাদের দৃষ্টি থাকে মানব-সন্তানের ওপর। একটু রূপবান হলেই ধরে নিয়ে বিয়ে করবে। পরীরা আছর করে সুন্দর সুন্দর ছেলেদের ওপর আর জ্বিনেরা সুন্দরী মেয়েদের ওপর। পরীরাজ্য আমাদের রাজ্য থেকে অনেক বড়। কুকাফ নগরী তাদের রাজধানী।
পাশের গ্রামের বরকতকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো কুকাফ নগরীতে। বিয়...
কেঁচো এসকেন্দার বড়শি দিয়া মাছ ধরায় ওস্তাদ। মাছের খোরাক অবশ্য কেঁচো। এসকেন্দারের ধারণা, মৎস্য রাজ্যে কেঁচো চরম সুস্বাদু খাদ্য।
এসকেন্দারের মৎস্য শিকার জীবনের শুরু পুকুর থেকে। এরপর বেশ কিছুকাল খাল-দীঘি এগুলোতেই সে কেঁচোর লোভ দেখায়া মৎস্য শিকার করে করে হাত পাকিয়েছে।
এসকেন্দারের খ্যাতি তখন চরমে। কিন...
১.
দেশে গেলে আমার প্রথম কাজ একটা সিম কালেক্ট করে বন্ধুবান্ধবের কন্টাক্ট নাম্বারগুলো সেখানে ঢুকানো। তারপর একে একে ফোন করে বলা, "দোস্ত, আগামী ৩ সপ্তাহ আমি এই নাম্বারে অ্যাভেইলেবল।"
গতবার হামলা করেছি ছোট ভাইয়ের সবচেয়ে চালু সিমের ওপর। এয়ারপোর্টেই। ব্যাপারটা মোবাইলের ব্যবহারে তার টিনেজ মেয়ে কন্টাক্টের ...
ঠান্ডার দেশে আসার আগ পর্যন্ত সর্দির সমস্যাটা ছিলো অনেক প্রবল। ঢাকার ধুলা আর টিউশনির সুবাদে স্কুটারের রেগুলার যাত্রী হওয়াটা সে সমস্যাকে প্রবলতর করেছিলো । সবচেয়ে ঘৃণা করা রোগের মধ্যে সর্দির অবস্থান তাই একেবারেই প্রথম দিকে। সর্দি মানেই আমি শেষ। মাথা পুরা বিকল। পড়াশুনা একদিক দিয়ে করি, আরেকদিক দিয়ে ভুলি...
এইসব জিনিসগুলো কাঁপায় না আমায় আর
চোখের জলে মিশলেই নোনা হবে বিষ্টির জল?
দুয়ে দুয়ে চার
হয় নি বহুবার
ভগ্নাংশের প্লাস মাইনাসে নোম্যান'স ল্যান্ডে ভূপাতিত আবেগের তীঁর
হতে হতে বীর
নিঃশব্দকে সাথে করে ফিরে আসা সময়
দস্তখতে দাসখত লিখে নেওয়া
অব্যক্ত অবোঝা ঋণের বোঝায়
আকণ্ঠ ঘুমাতে ঘুমাতে জাগার ছন্দে
উন্মাতাল র...
ঝুমঝুমি বরষায় ভিজে যায় মাঠ পথ
জংলায় জলা
কাচুমাচু অবশ বদনে
শিকারী বিরহী শেয়াল
অধোগতি তাল
উন্মুক্ত বক্ষার মত সুনসান পেলবি স্বপ্ন হয়
মায়াকাড়া কাজলে ভেজ...
দুই.
স্কুলের পাশেই ছোট্ট মন্দির। প্রতিদিন ফুল দেওয়া হতো, মন্দিরের আঙ্গিনা লেপেপুছে তকতকে চকচকে করে রাখা হতো প্রতিদিন। আমার উৎসাহের বিষয়বস্তু ছিলো গন...