জীবন সত্যই বড়ো সুন্দর, সত্যই জীবন বড়ো আশ্চর্য। কতই না ভালোলাগা ভালোবাসা নিয়ে আমরা বেঁচে আছি। আমরা কতই না ভাগ্যবান। আমরা নাকি সৃষ্টিকর্তার সবথেকে উৎকৃষ্টতর সৃষ্টি। আসলেই কি! নাকি তার সৃষ্ট সবকিছুই আমাদের মানদণ্ডের পরিমাপের বাইরে।
আমার এক বন্ধু বলে, “ভাই আজকের এই দুনিয়াটা হচ্ছে সারভাইবেল অফ দ্য ফিটিষ্ট এর দুনিয়া”। আমি উত্তর দিই না যদিও বলতে ইচ্ছে হয় ভাইরে এই লাইনটা দুন ...
তখন আমি ক্লাস থ্রি তে পড়ি, বেশ রোগা পটকা চেহারা আমার। ক্লাসের বাকি ছেলে মেয়েদের চাইতে শারিরিক শক্তিও অনেক কম, সুতরাং বাকিরা যে যে তাদের গায়ের জোর আমার উপর ফলাবে তা একেবারে বলাই বাহুল্য।
“জোর যার মুলুক তার” কথাটা অবশ্য সেই সময়ই আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছিলো।
বয়সে বড়, গায়ে-গতরে বড় বন্ধুদের থেকে তাই মাঝে মধ্যেই স্কুলে গাট্টা গোট্টা খেতাম। প্রথম প্রথম ব ...
বয়েস অনেকটা বেশী হয়ে যাবার জন্য ডাক্তার “আর হবার সম্ভাবনা প্রায় নেই” বলে দেবার পরও যখন প্রতিমার কোল আলো করে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হলো তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে প্রতিমা ছেলের নাম রেখেছিল অজেয়। শুধুই শিক্ষা সম্বল করে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বিলেতে লড়াই করতে আসা প্রতিমা চেয়েছিল ছেলে যেনো তার সত্যিকার অর্থেই অজেয় হয়।
প্রতিমার স্বপ্ন কিন্তু স্বপ্নই থেকে যায় নি, বিলেতের মাটিতে...
আমার ভিসা লাগবে, ইমিডিয়েট লাগবে, কিছুতেই আর দেরী করা যাবে না, খামখেয়ালীপনা করে এমনিতেই অনেক দেরী হয়ে গেছে আর দেরী করা যাবে না। ইণ্ডিয়ান ভিসা ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখলাম লণ্ডনে এখন আর ইণ্ডিয়া হাউস থেকে ভিসা দিচ্ছে না, তার জন্য ভি-এফ-এস নামক এজেন্সি থেকে ভিসা নিয়ে আসতে হবে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত এখন আবার একদিনে ভিসা পাওয়া যাবে না, তার জন্য কমপক্ষে তিন দিন লাগবে। তা হউক গিয়া, ভাব্লাম প্রাই...
চারিদিকে লোকে লোকারণ্য, চারিদিক লাল-সাদা ফিতে দিয়ে ঘিরে দিয়েও ভীড়ের ঠেলা সামলাতে পুলিশের কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। তবু আম জনতার কাউকেই পুলিশ ধারে-কাছে ঘেঁষতে না দেবার চেষ্টা করেছে। এরমধ্যে সরকারী বেসরকারী টিভি চ্যানেল গুলোর ক্যামেরা সরাসরি ধারাবিবরনী (লাইভ টেলিকাষ্ট) দিয়ে চলেছে। শোনা যাচ্ছে খোদ মন্ত্রী,পুলিশের বড়কর্তা আরো কে কে সব হোমরা চোমর...
এই যে আমি বেঁচে আছি বইয়ে এবং বন্ধুবান্ধবে পরিবৃত হ'য়ে, ভালোবাসা দিয়ে এবং পেয়ে, রৌদ্র এবং নক্ষত্রের আলোয় ঘুরে ঘুরে -- কোনো-কোনো মুহুর্তে আমার মনে হয় এই জীবন বড়ো সুন্দর, বড়ো আশ্চর্য, যেন ভেবে পাই না মানুষের মনে কেন থাকে মালিন্য, ঈর্ষা, বিদ্বেষ -- যার প্রমান পেয়েছিলাম একবার যখন সন্ধ্যার আবছায়ায় দুটি মুখে-রুমাল-বাঁধা যুবক প্রহার করেছিল আমাকে আর পরিমলকে -- ভেবে পাই না কেন কুৎসিত বাসনা-কামনা...
প্রথম দৃশ্য
------------------
ফুফাদের বাড়ীতে কোরবানীর মাংস দিতে গিয়ে আজ নিজে কোরবান হয়ে এসেছে আবিদা। সারা গায়ে নরখাদক হায়নাদের আঁচড়। ভয়ে কুঁকড়ে জবুথুবু হয়ে বসে আছে। ফুফার বাড়ী মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ, তার মধ্যেই ঘটে গেছে অঘটন।
বছরের সবচেয়ে খুশীর দিন আজ, সারা বছর স্বপ্ন দেখে শুধু আজকের দিনটার জন্যই। আজকের দিনে বকা-ঝকা কিছুই খেতে হয় না। কাল রাত্তিরে আবিদা ঘুমাতেই পা...
ওদের কথাবার্তার ধরন আর ভাষার টান শুনেই বোঝা যাচ্ছিল ইংরাজীটা ওদের মাতৃভাষা। দুজনের মধ্যে কথাবার্তা ইংরাজীতেই হলেও আমি আমার মত করে বাংলায় অনুবাদ করছি।
ছেলে ঃ- (মেয়েটির হাত ধরে) ওহ্ ডার্লিং, তুমি যদি আজ ফিরে না আসতে তাহলে আমি বোধহয় মরেই যেতাম, তুমি কি জানো না আমি তোমায় কত ভালোবাসি!
মেয়ে ঃ- (আর্দ্র চোখে রোমাণ্টিক একেবারে সিনেমার মত ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে) ...
সেদিন স্কুল থেকে ফেরার সময় দেখি হটাৎ কোন এক কারনে বাজারে রৈ রৈ পড়ে গেছে। কি ব্যাপার! নাহ্ বছর পাঁচেক আগে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেওয়া পেটফোলা যমুনি পাগলী নাকি আবার ফিরে এসেছে আমাদের বাজারে। আর এবার সে একা নয় সাথে তিন/চার বছরের এক অস্থিচর্মসার ছেলে (স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে কেঁচোতে খাওয়া)
সবাই মিলে ঘিরে রয়েছে যমুনিকে, সব্বাই ...
এই তোর নাম কি, আর এখানে এলি কি করে?
আমার নাম জামাল প্রশ্নের বাকিটা শেষ না করে এবার জামাল জিজ্ঞেস করে, তোমার বাড়ীই বা কোথায় আর তুমিই বা কি করে এখানে এলে ?
আমার বাড়ী পাঞ্জাবে, লেকিন ওহ হিন্দুস্থানওয়ালা পাঞ্জাব নেহী, পাকিস্থানওয়ালা পাঞ্জাব, সমঝা। আর আমি কি করে এখানে এসেছি তা জানি না, তবে এক চাচাজী আমাকে রোজ স্কুল থেকে ফেরার সময় আমার সাথে গল্প করত আর মাঝে মাঝে চকলেট ...