গিন্নী আর ছোট ভাই মইনুদ্দিন – ফকরুদ্দিন সাহেবের সংসারে প্রাণী বলতে এই তিন জন। কারওয়ান বাজারে কাঁচামালের আড়ত খুলে দু’হাতে বিস্তর কাঁচা পয়সা হাতিয়েছেন তিনি। দেখ...
গতকাল রাতেই – ঠিক সাড়ে দশটায় আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বশীর মারা গেল। রাত সাড়ে বারোটার দিকে আমরা সবাই মিলে তাকে ঠেলেঠুলে কবরে ঢুকিয়ে দিয়ে আসলাম। কবরে ঢোকার ব্যাপারে তার তেমন আগ্রহ ছিল না – সে চাইছিলো বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আরও কিছুক্ষন আড্ডা পেটাতে। কিন্তু সারাদিন খাটাখাটুনির পর বন্ধুত্বের কাতর আহ্বান এর চাইত...
জেরোম মিট্রাল - না, কোন হাই অলটিচ্যুড লো ওপেনিং প্যারাসুটের নাম নয় – আমাদের বন্ধুর নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ফ্রান্স থেকে সে এসেছিলো মাস তিনেক আমাদের সাথে কাজ করার জন্য। এসেই সে যে জিনিসটির প্রেমে পড়ে গেল তা হচ্ছে একটা লুঙ্গি।
বেঁচে থাকতে হলেই খেতে হয়। আর খাওয়ার জন্যই বাজারে যাওয়া। ইংরেজী না জানার কারণে খাবারের বদলে খাবি খেতে হবে তা কে ভাবতে পেরেছিল?
দেশে থাকাকালীন সময়ে ‘ইয়েস’, ‘নো’, ‘ভেরি গুড’, ‘থ্যাঙ্কিউ’ – এই চারটা শব্দ সম্বল করে ভালভাবেই পড়ে ছিলাম। “পড়ে তো আছই বাপু! আবার নতুন করে পড়ার জন্য আমেরিকায় আসতে হবে কেন?” –বন্ধু-বান্ধবের সাফ কথা।
“মঈন ডাক্তারের মতো ডাক্তার হয় না!” কথাটা বলেই একগাল হাসলেন নাইমুল সাহেব।
“গরুদের চিকিৎসা করেন যিনি সেই মঈন ডাক্তার? সেই বিখ্যাত মঈন ডাক্তার? তার কথাই বলছেন?” জিজ্ঞাসা করি আমি।
বেশীরভাগ সময়ই তিনি আমার কথা শুনে ব্যাজার হবেন নাকি খুশী হয়ে উঠবেন তা ঠাউরে উঠতে পারেন না। এবারেও তাই তার ধার দিয়ে গেলেন না।
“...
মারা যাচ্ছি ব্যাপারটি চিন্তাকরে কেন জানি খুব একটা অবাক হলাম না। মৃত্যুভয় উপস্থিত হলে মনে হয় অবাক হওয়া বা দুঃখিত হওয়ার মতো সহজ অনুভুতিগুলি কাজ করে না। ল্যাবরেটরির মাঝামাঝি জায়গায় দাড়িয়ে আমি মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করতে লাগলাম। আর দশ মিনিটের মধ্যে যে এক্সপেরিমেন্টটি শুরু হতে যাচ্ছে-সেটা থেকে যে পরিমা...
১৯৭১ সালের অক্টোবর মাস। সারাদেশ জুড়ে যুদ্ধ চলছে। ক্রমশই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল বিক্রমে একের পর এক ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর একটা গ্রুপ ঘাঁটি গেড়েছে এক গ্রামের স্কুল মাঠে।
একদিন মুক্তিযোদ্ধারা সেই ঘাঁটি আক্রমন করলো। দুই দল মুখোমুখি! মুক্তিযোদ্ধারা গাছের আড়ালে, ঝোঁপের ভেতর থেকে গুলি করছে! পাকিস্তানী মিলিটারীরা ব...
© ইহা একটি কাল্পনিক গল্প। জীবিত বা মৃত কোন ব্যক্তি কিংবা ঘটনার সাথে মিল খুঁজিয়া পাইলে তাহা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র।
××××××××××××××
বাঁশফার ওসমান সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাহার পিতা গাজী- পিতামহ দরবেশ হিসাবে খ্যাতি লভিয়াছিলেন। বালেগ হইবার পর গবেষণার নিমিত্তে তাহাকে আরব ভুমিতে প্রেরণ করা হইলো।
আরব ভ...
জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর! ছোটবেলায় শেখা এই আপ্তবাক্য স্মরণ করে উত্তপ্ত হওয়ার হেতু - নারী। নারী এক প্রকার জীব- জীবনও বটে! জন্মেছিলাম অজ পাড়াগাঁয়ে। গাঁয়ের জীবদের গায়ে গা লাগিয়ে বড় হওয়ার কারণেই অতি অল্প বয়সে ইঁচড়ে পাকতে কষ্ট হয়নি একটুও! গায়ে গা লাগাতে গিয়ে লাগালাগি ব্যাপারটাও বুঝতে শিখে গেছিলাম অতি অল্প বয়সেই!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল ক্যাফেটারিয়ায় তখন DUCA (Dhaka University Computer Association)-র জয়জয়কার। কলাভবনের সুন্দরীগুলো প্রতিদিন ভীড় জমায়। খবর পাই- বন্ধুমহলে কে যেন কম্পিউটার শিখতে গিয়ে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলেছে! শুনে ঈর্ষায় পাছার ফুটো ছোট হয়ে আসে!
দিন যায়- ক্লাসে উপস্থিতির হার বিরানব্বই থেকে সাতষট্টিতে নেমে আসে। আমাদের গ...