ক্যালিডোস্কোপ ঘুরছে। একই উপাদানগুলি নিয়ে গড়ে উঠছে নানা ছবি। কাকে ছেড়ে কার কথা লিখি! এদিকে, উপাদান ত অতি সামান্য, গড়পড়তা বালকের গড়পড়তা জীবনের টুকিটাকি। অবশ্য, সামান্য উপাদানে কি আর অসামান্য কাজ হয় না! হয় বৈকি! অসামান্য মানুষেরা করেন সে সব। এ ছবিগুলি সে’রকম নয়, নিতান্তই সামান্য, তুচ্ছাতি তুচ্ছ! ইতিহাস ত নয়ই, কোন গল্প বই হিসেবে পাঠযোগ্যতারও দাবীদার নয়, আদৌ কোন পাঠযোগ্যতা আছে কি না তাতেও দ্বিধান্বিত হয়ে আছি। তাহ’লে কেন আর পাঠকের সময় নষ্ট করা! হয়ত পাঠক বেঁচে যাবেন মডারেটরদের অক্লান্ত প্রয়াসে। যদি না যান, জানিয়ে রাখি, তাদের বেদনাকে আরও প্রলম্বিত না করাতে চাইলে, নির্দ্বিধায় আওয়াজ দিতে পারেন, ক্যালিডোস্কোপ যে কুলুঙ্গী থেকে নেমে এসেছিল, সেখানেই তাকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেব।
কোথায় যাব সেটা বড় কথা ছিল না।
বড় কথা ছিল যেতে হবে। বেরিয়ে পড়তে হবে। দূরে নয়, কাছে। দূরে ঘুরে আসার সময় নেই। সময় বড়ই জ্বালাতুনে। কিছুতেই তাকে বাগে পাওয়া যায় না। আবার সময় মধুরও বটে। কতকাল বাদে সময় পেয়েছে মেয়ে, মা-বাবার সাথে বেড়াতে যাওয়ার। হোক না দু-দিনের। দু দিন কি কম দিন! কিন্তু সেই পুরান প্রশ্ন ঘুরে ঘুরে আসে, যাই কোথায়?
হালনগদঃ
চোর আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকা চুরি করেই চলেছে।
চোর আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকা কর্তৃক আজকে জুলাই ১৮ , ২০১৪-র চুরি, সম্পাদকীয় পাতায় নীতি গল্প -
http://www.alokitobangladesh.com/editorial/2014/07/19/85967
উপরের লেখাটির জন্য আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকা চুরি করেছে আমার করা ঈশপের গল্প-র অনুবাদের ৫ নং গল্প। আমার অনুবাদের লিঙ্ক এখানে
http://www.sachalayatan.com/ek_lohoma/50053
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
হালের কালের পড়ুয়াকে প্রথমেই বলে নিই, এ গল্প সেই মান্ধাতার আমলের, আমাদের কালের। এ গল্প সামনা-সামনি দেখবেন তেমন কপাল করে সম্ভবতঃ আসেননি আপনারা। আর প্রবীণ পড়ুয়া, আপনাকে চুপিচুপি বলে রাখি এ গল্প একেবারেই আমার মগজের ভিতর হ’তে উৎসারিত। কোথ্বাও কারো সাথে যে কোন মিল নেই, সে আপনার থেকে বেশী আর কেউ জানে না। তবে, কপালের কথা কে বলতে পারে! সব্বাই হয়ত বলবেন আপনাদের চেনা গল্পটাই আবার চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাকগে, শুরু করে দিই।
নুতন করে আর বলার কিছু নেই। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
উপরে যে কড়িটা ছুঁড়ে দিয়েছি সেটা নেমে আসার আগেই যেগুলো মাটিতে পড়ে আছে তার থেকে দুটোকে মুঠোর মধ্যে নিয়ে নিতে হবে। উপরেরটাকেও মাটি ছুঁতে দেওয়া যাবে না, নিয়ে নিতে হবে সেটাকেও। এটা পারলে এর পর মাটিতে ছড়িয়ে থাকা গুলোর থেকে তিনটাকে নিয়ে মোট চারখানাকে মুঠোর মধ্যে নিতে হবে। সেইটা আমি হেরে যাবো বলেই মনে হয়। কিন্তু মেয়েরা যে কেউ সব কটা কড়ি-ই অনায়াসে মুঠোর মধ্যে নিয়ে নেবে। এইটা যদিও বা পারি, উপরে ছুঁড়ে দিয়ে হাতের উল্টোপিঠে ধরে নেওয়াটা আমি দুটোর বেশী কখনোই পারি না - সে কড়ি দিয়েই খেলি, কি খোয়ার টুকরো দিয়ে।
আশা করি, এর আগেও যেমন হয়েছে বিভিন্ন বারে, এবারের এই গল্পগুলিও বার্তা দেবে এই সময়ের।
উত্তরবঙ্গে ছিলাম মাত্র তিনটি বছর, প্রায় ছয় দশকের এই জীবনের তুলনায় কতটুকু আর তা! অথচ সেই দিনগুলির কত যে ছবি স্তরে স্তরে রাখা আছে স্মৃতির কোষে কোষে! কোষগুলি ধূসর নিশ্চয়ই, আমার সে স্মৃতিগুলি আজো ধূসর নয়, ক্যালিডোস্কোপের নড়াচড়ায় দিব্যি উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠে।
প্রায় তিনশ’ দিন পার করে এই ধারাবাহিকের ১০০তম গল্পটি থাকছে আজ।
ঈশপের গল্পগুলিতে নানা জন্তু, গাছ, প্রকৃতি মানুষের মত কথা বলে, কখনো বা মানুষদের মত আচরণ করে। এই অবাস্তবতার মোড়কে ধরে রাখা থাকে আমাদের চারপাশের একান্তই বাস্তব জগৎটি। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।