[justify]বিদেশে আসার পরেই লোকে যে জিনিসটার অভাব বুঝতে পারে সেটা হলো দেশি রান্না। দেশে থাকতে আপনি হয় তো নিয়মিত রান্না করে এসেছেন অথবা রান্নাঘরে উঁকি দিয়েছেন শুধুমাত্র কি খাবার আছে সেটা একটু চেখে দেখতে। পিজ্জা হাট, কেএফসির প্রতিটা ইঁট হয় তো আপনার পায়ের শব্দ চেনে, তাই ভাবছেন বিদেশে গেলেও আপনার সমস্যা হবে না। কিন্তু সত্যি সত্যি এখানে আসার পরে আপনার উপলব্ধি হবে, "এই কেএফসি তো সেই কেএফসি না।"
নারী দিবসের লেখাগুলো পড়তে পড়তে রাগে ফুঁসছিলাম। আমাদের দেশে মেয়ে হওয়া কতটা যন্ত্রণা সেটা বাংলাদেশের মেয়ে হলে না জন্মালে মনে হয় বোঝা সম্ভব না।
কিন্তু পড়তে গিয়ে মনে হলো স্রোতের বিপরীতেও চলার গল্প কিছু থাকুক, আশার কথা কিছু থাকুক।
সত্যি বলতে কি, সেটার জন্য খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নেই, মানসিকতার সামান্য একটু বদল হলেই চলে।
দুই নাম্বার কথা হলো এই পোস্টের সাইজ অতিশয় পিচ্চি হবে, অনেকদিন জমজমাট সচল দেখি না। তাই এমনি একটু গুঁতা দেওয়া পোস্ট এইটা।
বাঙালি হলে আজ খাসির মাংস রাঁধা আপনার জন্য ফরজ, যদি না আপনার কেল্লা পাজিস্তানমুখী হয়ে থাকে। কিন্তু খাসি রাঁধা মোটেও সহজ নয়। চরিত্রের মতই বেটার গায়ে বিটকেল গন্ধ।
কিন্তু তাই বলে কী আমরা খাসি খাবো না? অবশ্যই খাবো। তাই হতাশ হইও না যদি মুমিন হও।
বেয়োনেটের খোঁচায় রক্তাক্ত শরীর- পড়ে আছে উঠানে, বনে জঙ্গলে।
চোখ বাঁধা লোকেদের লাইন, নদীর ধারে - গুলির পরে সহজে ভেসে যায়।
ক্যাম্পে আটক নারী - স্বামীর সামনে, সন্তানের সামনে ধর্ষিতা নারী।
ধর্ষণের পরেও বেয়োনেট দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে মেরে ফেলা নারী।
দুপা ধরে টান দিয়ে দুই ভাগে চিরে ফেলা শিশু।
সবুজ ভূখন্ড জুড়ে রক্তের ছোপ, টকটকে তাজা লাল রক্ত, শুকিয়ে যাওয়া কালো রক্ত।
সময়টা মনে হয় ছিয়ানব্বইয়ের দিকে হবে। চ্যানেল ফোরের একটা ডকুমেন্টারি দেখছিলাম বাসায় সবাই মিলে। তাতে ব্রিটেনে পালিয়ে থাকা একাত্তরের ঘাতক দালালদের কুকীর্তির বর্ণনা, আর তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছিল। পুরো ডকুমেন্টারিটা দেখে ক্ষেপে গিয়ে আব্বুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই লোকগুলো বাংলাদেশি, তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বাংলাদেশের সাথে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে ব্রিটিশ মিডিয়া, আর তাদের বিচার হবে ব্রিটেনে? আমরা কি এতটাই অক্ষম? আমরা নিজেরা এদের বিরুদ্ধে কিছু করবো না?
সকাল থেকেই কিচিরমিচির কিচিরমিচিরে কান ঝালাপালা। পা টিপে টিপে লিভিং রুমে গিয়েই দেখলাম পুরোদস্তুর সার্কাস চলছে। একটা পাখি আসে, এসে প্রথমে রেলিংএ বসে, ইতিউতি চায়, ঝুপ করে ঝোলানো বার্ড ফিডারে গিয়ে ঠোঁটে বিচি তুলে নেয় একটা। তারপর উড়ে গিয়ে মাচায় বসে খুব দ্রুত ঠুকঠুক করে বিচিটা ভেঙে খেয়েই উড়ে পালায়। আবার একটু পরে এসে একই কান্ড করে। মাঝে মাঝে বার্ড ফিডারের মাঝে রাখা বাটির পানিতে একটু ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়।
ডনোভান চমকে পাওয়েলের দিকে তাকালো, “বাজি ধরে বলতে পারি এই মাথানষ্ট লোহার জঞ্জালটা এনার্জি কনভার্টারের কথা বলছে।”
পাওয়েল হাসি সামলাতে পারলো না, “সত্যি নাকি, কিউ টি?”
“আমি প্রভুর কথা বলছি”, শান্ত, তীক্ষ্ণ উত্তর এলো।