[justify]শিক্ষা, কর্ম এবং বসবাসের কারণে বহু বাংলাদেশীকে দেশ তথা শাহবাগ থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। শাহবাগের গণজাগরণে সামিল হওয়ার জন্যে তাদের সুযোগ খুব সীমিত। তবে তারাও সামিল হতে পারেন সাইবার যুদ্ধে। ফেসবুক, নানাবিধ ব্লগ ইত্যাদিতে অনেক বছর ধরেই চলছে জামাত-শিবিরের নানা অপপ্রচার। এর সাথে যুক্ত রয়েছে দেশ ও দেশের বাইরে জামাতের পে-রোলে চলা নানা লেখক।
(ঢাকা থেকে অনেক অনেক দূরে আছি। তবু দিন রাত চোখ এই চৌকো পর্দায়। সারা রাত স্লোগানে স্লোগানে লাইভ শুনি, আর পরের দিন সারাদিন আগের ধারণকৃত উল্লেখযোগ্য অংশ শুনি। শাহবাগে জড়ো হওয়া লাখো ভাই বোনদের এত কাছের মনে হয়! বিন্দু থেকে সিন্ধু বানিয়ে ফেলেছেন তারা সবার প্রাণের দাবীর জোরে। তাদের নিয়ে কিছু বলবো বলবো করে এই লেখার উৎপত্তি। ছন্দের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়েছেন সংসারে এক সন্ন্যাসী। স্বদেশ হোক পাপমুক্ত। জয় বাংলা।)
(অজুহাত এক: স্প্যানিশ আমার জানা ভাষা নয়। ভাব প্রকাশ ও গ্রহণের দৌড় বাংলা আর টার্জান ইংরেজি পর্যন্ত। ও হ্যাঁ টেনিদার মতো তুম নেহি জানতা টাইপ হিন্দিও কিছুটা বুঝি সে আলাদা কথা। যা বলছিলাম, স্প্যানিশ থেকে সরাসরি অনুবাদ করা তাই আমার দ্বারা সম্ভব না। আবার কবিতা ইংরেজি ঘুরে বাংলায় আসলে সেটার আসল রস কতটা থাকে সেটাও একটা প্রশ্ন। কবিরা ভালো বুঝবেন এসব ব্যাপার, আমার মতো লোকেদের এইসব আলাপ না চালানোই ভালো।
[center]
যেই দেশেতে নিত্য ফোটে
আত্মঘাতী বোমা,
সেথায় যাবে টাইগারেরা?
কেমন কথা, ওমা!
যে দেশেতে অন্য সকল
দেশের যেতে মানা,
সেখানে নেই সিকিউরিটি
এইটা সবার জানা।
কানটি পেতে চুপটি করে
আসল কথা শুনি,
সেথায় গেলে আইসিসিতে
ভোটটা পাবেন "উনি!"
সাকিব তামিম মানুষ ওরা
নয়তো খেলার পণ্য,
কেন তাদের মরতে পাঠাও
ওই গদিটার জন্য?
দেশের খেয়ে তাড়াও কেন
অন্য দেশের মোষ?
টাইগারেরা সোনার ছেলে
(জ্বর জ্বর ভাব নিয়ে কীবোর্ডের সামনে বসা বিপজ্জনক। তেড়ে ফুঁড়ে প্রকাণ্ড অকবিতা বের হয়ে আসতে পারে। )
[justify]ছাপা জিনিসের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক ছোটবেলা থেকে। খবরের কাগজ, বইয়ের পাতা কিংবা কাগজের ঠোঙ্গা যেখানেই কিছু লেখা আছে আমি ছোটবেলা থেকেই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতাম। তবে এটা শুনে আমাকে বিশাল পড়ুয়া ঠাউরানো কিন্তু উচিত হবে না। আমার পিয়ার (এর বাংলা যেন কী?) দের মধ্যে আমার পড়াশোনা বেশ কম। প্রায়ই বইপড়ুয়াদের আলাপে মাথা নেড়ে অনেক কিছু বোঝার ভান করি। পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে
(দেখতে দেখতে নতুন বছরের একটা মাসও শেষ হয়ে গেল, ফেব্রুয়ারি চলে আসলো। ফেব্রুয়ারি মানেই বই মেলা, ফেব্রুয়ারি মানেই একুশে... তবে এই বছর হাজার মাইল দূরে থাকার কারণে দেখা হবে না তার অনেক কিছুই। যাই হোক, পুরনো অসমাপ্ত লেখা ঘাঁটতে গিয়ে একটা কবিতা পেলাম। অনেক অনেক পছন্দের শহর ঢাকার এক শীতের রাতে এই কবিতার শুরু হয়েছিল। কবিতাটি নিয়ে বেশ কিছুদিন নাড়াচাড়া করে অবশেষে এই রূপে দাঁড়ালো সেটা...
খোমাখাতার এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে নিচের সতর্কবাণীটি দেখলাম।
“এই মুহূর্তে ঢাকায় যারা অবস্থান করছেন, কাজে বা ঘুরতে বের হয়েছেন, সবাই একটু সাবধানে চলাফেরা করুন। পুরো ঢাকাতেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাপক বোমাবাজি এবং ভাঙচুর করছে। মতিঝিলে এরই মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। ”
(কবিতা লিখছি না অনেক দিন। খোমাখাতায় এক বন্ধুর শেয়ার দেওয়া তিন লাইন দেখে বেশ ভালো লাগলো। খুঁজে দেখলাম সেটা রবার্ট ফ্রস্টের একটি কবিতা। মূল কবিতাটি পড়ে ভালো লাগায় অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। নীড়পাতায় কবিতা টবিতা নাই, কেমন খালি খালি লাগছে... তাই সাহস করে দিয়ে দিলাম। ভালো লাগলে হাততালি আর না লাগলে ঠুয়া দিয়ে কবিতাটি নীড়পাতা থেকে সরিয়ে দিবেন।)
[justify]সেদিন প্রথম আলোতে না কোথায় যেন দেখলাম যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ছয় জনে একজন নাকি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট। উপাত্তের সত্য মিথ্যা জানি না, কিন্তু আরও অনেক উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশগামীর মতো আমিও এই দেশে এসে পড়লাম জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে। জ্ঞান অর্জনের জন্য আজকাল চীনের লোকেরাও এই দেশে চলে আসে, আমি তো কোন ছার। সে যাই হোক, নতুন দেশে এসে জীবনে প্রথম বারের মতো অনেকখানি স্বাবলম্বী হতে হচ্ছে। তার একটা প্রধ