ছোটবেলায় আমার পছন্দের একটা কাজ ছিল রেলস্টেশনে গিয়ে পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করা। সপ্তম-অষ্টম শ্রেণী থেকেই এই কাজটা করতাম। নবম শ্রেণীতে সাইকেল পাওয়ার পর ইশকুলের দিনগুলো ছাড়া বাদবাকি সব দিনই দুপুরের ঘুম বাদ দিয়ে সোজা ইস্টিশনে চলে যেতাম। ঢাকার কমলাপুর থেকে ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন অর্থাৎ মহুয়া এক্সপ্রেস নামের যে মেইল ট্রেনটি ছাড়ে, সেটি ময়মনসিংহ হয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর একটা
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর) বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অর্থাৎ দুই প্রজন্মের যে মিলনমেলা উপলক্ষ্যে যে অনুষ্ঠানটি হলো, তার স্লোগানটি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বিসদৃশ লেগেছে। স্লোগানটি হুবহু মনে নেই, কিন্তু কথাগুলো এরকম- শিক্ষা-বিষয়ে ডিগ্রি না থাকলে কাউকে শিক্ষাবিদ বলা যাবে না। সকালে আইইআরে গিয়ে আইইআর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি করা ব্যানারে স্লোগানটি দেখে যা
পড়ালেখা দিন দিন ধনীদের দখলে চলে যাচ্ছে বলে একটা আক্ষেপ নানা সময় শোনা যায়। বিশেষ করে যখন থেকে বিদ্যালয়ের পড়ালেখা মোটামুটি প্রাইভেট ও কোচিংনির্ভর হতে শুরু করলো (প্রাইভেট বা কোচিং এদেশে সবসময়ই ছিল, তবে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে এর মাত্রা চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়তে থাকে), তখন ধনীরাই কেবল অতিরিক্ত টাকাপয়সা দিয়ে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ের পড়ালেখার বাইরেও পড়ানো শুরু করলো। ধনী বলতে এখানে মূলত তাদেরকেই বুঝানো হচ্ছে
কিছুদিন আগেই সচলে আয়কর নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। আমরা অনেকে নানা কারণে সরকারকে ট্যাক্স বা কর দিই না, যদিও কর দেয়াটা নাগরিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং কোনো বছরের আয় করযোগ্য না হলেও প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করাটাও এই দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। আয়কর মেলার কারণে অনেক নতুন করদাতা কর দিতে উৎসাহী হচ্ছেন, ঝুটঝামেলা ছাড়া কর দেয়া যাচ্ছে, মানুষের কর বিষয়ে সচেতনত
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১) অফিসে আসার পথে দেখলাম রাস্তায় হলুদ টিশার্ট পরিহিত বেশ কিছু তরুণ-তরুণী আয়কর দেয়া নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই জানা গেল আজ আয়কর দিবস। তারা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কিংবা সিগন্যালে গাড়ি থেমে থাকার সময় মানুষদের কাছে গিয়ে আয়কর-সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানাচ্ছেন। আয়কর দিলে কী সুবিধা, না দিলে কী সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি বিষয় খুব সংক্ষিপ্তাকারে তারা চমৎকারভাবে উপস্থাপন কর
প্রতি বছরই সাক্ষরতা দিবসে পুরনো বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে- বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার আসলে কতো? সাক্ষরতা হারের হিসাব পাওয়া যায় মূলত তিন ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে- সরকারি (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইত্যাদি), বেসরকারি (ঢাকা আহসানিয়া মিশন, গণসাক্ষরতা অভিযান ইত্যাদি) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা (ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, আইএলও ইত্যাদি)। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মাঝেই সাক্ষরতার হার নিয়ে জরিপ চালায় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত সেকেন্ডারি তথ্য হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে সাক্ষরতার হার নির্ধারণ করার চেষ্টা চালায়। মজার ব্যাপার হলো, সাক্ষরতার হার নিয়ে সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ফলাফলের মিল তো পাওয়াই যায় না; বরং একই ধরনের কর্তৃপক্ষের (যেমন- সরকারি) আওতায় একাধিক প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের মধ্যেও বেশ বড়সড় পার্থক্য দেখা যায়। সে কারণে এই মুহূর্তে দ্বিধাহীন মনে বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার কতো- এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া মুশকিল। বাংলাদেশ সরকারের আজকের ঘোষণা অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশের ৫৩ শতাংশ মানুষ সাক্ষর।
প্রথম আলো পত্রিকায় গ্রামীণফোনের ফেসবুক বাংলা অনুবাদ-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনটি দেখে সাতসকালে হতভম্ব হয়ে যাই। অফিসে যাওয়ার তাড়া। কী করবো বুঝতে পারছিলাম না!
বেহায়া-খুনি এরশাদ আজকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আজকে শফিক রেহমান রক্তলাল মশকরা করে লাল গোলাপ নিয়ে হাজির হয় মিডিয়ার দুয়ারে। অন্যদিকে জাফর-জয়নাল-দিপালী এবং তাঁদের রক্তরঞ্জিত কালো পিচপথ কোনো এক প্রশ্নহীন বোবামুখে বিস্ময়চোখে দেখে উত্তরপ্রজন্মের গোল্ডফিশ স্মৃতি। ব্যবসা যখন কোমর দুলিয়ে নাচে, মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের বাতাসে-ঘুষি কি জমিন থেকে হারিয়ে যায়?
অনেক দুঃসংবাদের মধ্যে বছরশেষে তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের দেয়া সুসংবাদটি অপ্রত্যাশিতই বটে। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তালিকা অনুসারে ইন্টারনেটভিত্তিক আউটসোর্সিঙে বাংলাদেশ শীর্ষ ৩০টি দেশের মধ্যে রয়েছে। তালিকায় ভারত ও শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার নয়টি দেশ রয়েছে। মূলত ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার তৈরি, কল সেন্টার, ডেটা এন্ট্রি, কাস্ ...
জাতীয় সংসদের বর্তমান শীতকালীন অধিবেশনে নতুন শিক্ষানীতি গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি সরকারের আমলে শিক্ষা কমিশন গঠিত হলেও কোনো কমিশনের প্রতিবেদনই শেষ পর্যন্ত সরকারিভাবে নীতি হিসেবে গৃহীত হয় নি। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে যেটি গৃহীত হয়েছিল, সেটিও শামসুল হক কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকে নানা মাত্রায় খণ্ডিত এক ...