[justify]
আমাদের একটা গাড়ী আছে। ছোট্ট, পুরনো গাড়ী। অনেক পুরনো।
নগরী হয়ে উঠলে ও 'আমাদের সিলেট' এখনো সেই মফস্বল শহর। দোকান, বাজার, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, আত্ম্বীয়স্বজনের বাসা, বাচ্চাদের স্কুল সব তো একেবারেই আশেপাশে। হ্যাঁ, আমার কাজের জায়গাটা শহরের একটু বাইরে। অফিসের গাড়ী আছে তো। সবমিলিয়ে ছোট্ট পুরনো গাড়ীটা চালানোই হয়না। এপার্টমেন্টের বেসমেন্ট অলস পড়ে থাকে। বেসমেন্ট পাশ ঘিরেই ব্যস্ত পাড়ার গলি। গাড়ীটা ঘুমিয়ে ছিলো গলির দিকে মুখ রেখে।
[justify]
এক দুই তিন দিন নয়, টানা তিন সপ্তাহ বাংলাদেশ এক অবরুদ্ধ সন্ত্রস্ত জনপদ হয়ে আছে। বোমার শিকার হয়ে, আগুনে দগ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন অন্ততঃ ত্রিশ জন মানুষ। গতকাল ২৩ জানুয়ারী শুক্রবার, ছুটির দিনে ও সারাদেশে দগ্ধ হয়েছেন ৪০ জন।
[justify]
ছোট্ট করে জগতজ্যোতি দাসের কথা বলা যাক।
জগতজ্যোতি কোন মেজর, কর্ণেল, এয়ারমার্শাল কিংবা সৈনিক ও ছিলেন না। ছিলেন মাত্র একুশ বছরের এক সামান্য কলেজ ছাত্র। এই সামান্য ছেলেটা কী করেছিল- একটু মনে করা যাক। ভাটিবাংলার বিশাল হাওরবেস্টিত এলাকা- সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ,হবিগঞ্জের প্রায় প্রতিটি থানা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন হয়েছিলো তার নেতৃত্বে। ৩৬ জনের দল নিয়ে তার বাহিনী ‘দাসপার্টি’ । সাব সেক্টর হেডকোয়ার্টার ছিলো তাহিরপুরের বড়ছড়া (টেকেরঘাট)। সেই তাহিরপুর থেকে জামালগঞ্জ, দিরাই, খালিয়াজুড়ি,মদন, মার্কুলি, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, বাহুবল হয়ে আশুগঞ্জ পর্যন্ত সে ছোটে বেড়াতো দেশী নৌকা নিয়ে। মার্কুলির কাছে পাক আর্মির জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব তার। জগতজ্যোতির ও তার দাস পার্টির ভয়ে ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করতে বাধ্য হয় পাক আর্মি এবং এয়ারফোর্স সাপোর্ট সহ বিশেষ কমান্ডো টিম পাঠানো হয় শুধুমাত্র জগতজ্যোতিকে টার্গেট করে।
১৬ নভেম্বর ১৯৭১ শেষ যুদ্ধে শহীদ হবার পর তার লাশ প্রথমে আজমীরিগঞ্জ বাজারে পেরেক বিদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো প্রদর্শনীর জন্য, তারপর নৌকায় করে ঘাটে ঘাটে দেখানো শেষে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিলো ভেড়ামোহনা নদীতে।
সংবাদ এক।
স্থানীয় পত্রিকা 'সুরমা টাইমস' এর ১৭ জুলাই তারিখে প্রকাশিতঃ
নগরীতে যানজট সৃষ্টি করা ও পুলিশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার পৌর মেয়রের ভাই কামাল চৌধুরীকে পিঠিয়েছে পুলিশ-জনতা। বৃহস্পতিবার ইফতারের আগমুহুর্তে নগরীর নয়াসড়ক পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মহানগর পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
[Justify]
বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র বলে কথিত দৈনিক প্রথম আলোতে গতকাল ১৯শে জুলাই ২০১৪ তারিখ সোহরাব হাসান এর লেখা একটি কলাম প্রকাশিত হয়েছে ‘যাহা জয়বাংলা তাহাই জিন্দাবাদ!’ শিরোনামে। সোহরাব হাসান প্রথম আলোর নিয়মিত কলাম লেখক। এক সপ্তাহ আগে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ,যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ একটি সেমিনারে বলেন ‘যারা জিন্দাবাদ বলে তারা পাকিস্তানের এজেন্ট, তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত’ । গত জুন মাসে ইংল্যান্ডে থেকে মালয়েশিয়ায় এসে তারেক রহমান এক সভায় আওয়ামী লীগের নামকরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন- আওয়ামী লীগের নামেরই ঠিক নাই। আওয়ামী একটু উর্দু শব্দ এর অর্থ জাতি আর লীগ মানে দল। এতোদিনে আওয়ামী লীগ নিজের নামই ঠিক করতে পারেনি’
[justify]
আগের পর্বে আমরা লিন্ডসে সাহেবের গল্প শুনেছিলাম। এবারো লিন্ডসে সাহেব থাকবেন কিছুটা তবে শুরু হবে তারো আগে থেকে। এই অঞ্চলে সিমেন্টের অপর নাম বিলাতি মাটি। বিলাতি মাটি উৎপাদন শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত চুনাপাথর ছিলো গৃহ নির্মানের অত্যাবশ্যকীয় উপকরন এবং বৃটিশপূর্ব যুগে সমগ্র পূর্বভারতে এই অত্যাবশ্যকীয় উপকরনটি সরবরাহ হতো সিলেট থেকে- আরো সুনির্দিষ্টভাবে ছাতক থেকে। জৈন্তিয়ারাজ্য সীমানাবর্তী হলেও ছাতক সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমান ছাতক উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সেসময়ের ছাতক।
১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর নবাব মীর কাশেম ও ইস্ট ইন্ডীয়া কোম্পানীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির একটা শর্ত ছিলো –
'কোম্পানীর গোমস্তাগনকে তিনবৎসরের জন্য সিলেটে প্রস্তুত চুণের অর্ধেক অংশ সরকার অথবা দেশীয় লোকদের নিকট হইতে এলাকার বাজার দর হিসাবে ক্রয় করতে হবে। জিলার প্রজা সাধারনকে কোন নির্যাতন করা যাবেনা’
।
[justify]
তার আগে থ্যাকারে সাহেবের গল্প শুরু করা যাক।
১৭৬৫ সালে বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে আসার সাথে সাথেই সিলেট চলে আসে ইংরেজদের অধিকারে। ঢাকার কাউন্সিলর প্রথম দিকে সিলেট শাসনের দায়িত্বে থাকলে ও দূরত্বের কারনে পরবর্তীতে আলাদা প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ১৭৭১ সালে মিঃ সামনার প্রথম কোম্পানী প্রতিনিধি হিসেবে আসেন। সামনার ছিলেন মুলতঃ রাজস্ব সংগ্রাহক, ছিলেন সামান্য কয়দিন- তার তেমন উল্লেখ পাওয়া যায়না।
সামনারের পর আসেন মি: থ্যাকারে ১৭৭২ সালের অক্টোবর মাসে। সিলেট জেলার প্রধান রাজস্ব আয় ছিলো চুনাশিল্প থেকে। ইছাকলস( ছাতক) ও লাউড় (তাহিরপুর) পরগনায় পাথর পুড়িয়ে চুন বানানো হত। মেঘালয় পাহাড় থেকে চুনাপাথর এনে জমানো হতো পাড়ুয়াতে( বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ থানা- কোম্পানীর বাজার হিসেবেই কোম্পানীগঞ্জ)। ইছাকলস ও লাউড়ে তৈরী চুনার পাইকারী আড়ত ছিলো ভাটির আজমিরীগঞ্জবাজার। আজমীরি থেকে মেঘনা নদী হয়ে একেবারে কলকাতা, পাটনা। মীরকাশেমের সাথে ইংরেজের যে চুক্তি হয় সেই চুক্তিতেও সিলেটের চুনাশিল্পের বন্দোবস্ত নিয়ে আলাদা কথাবার্তা ছিলো।
সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গতকাল সারাদিন থেকেই উত্তাল ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে। প্রস্তাবিত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, ‘সিলেটী’দের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০% কোটা বরাদ্দের দাবী উঠেছে- এসবের প্রেক্ষিতে ডঃ জাফর ইকবাল ও ডঃ ইয়াসমিন হক পদত্যাগ করেছেন। এদিকে তাঁদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বাতিল, সমন্বিত পদ্ধতি চালু এবং ‘সিলেটী’ কোঠা প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে জোরালো ভাবে সংগঠিত হয়েছেন
অফিসে বসে নিজের বানানো রঙ চায়ে চুমুক দিচ্ছি আর ফেসবুক চ্যাটে গল্প করছি স্টুয়ার্ট এর সাথে। স্টুয়ার্ট আর লিন দম্পতি, বাস করতো ইংল্যান্ডের লেইক ডিস্ট্রিক্টে যেখানে তিনবছর আগে আমার ও বসতি ছিলো। স্টুয়ার্ট বিশালদেহী দিলখোলা আমেরিকান, লিন ছোটখাটো ইংলিশ লেডি- দুজনেই ঘুরতে পছন্দ করে। সেই সূত্রে আমার সাথে সখ্যতা। ওরা যখন আমেরিকা ফিরে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের জন্য আমি ও প্রস্তুতি নিচ্ছি দেশে ফিরে আসার। আমাদের আরেক
ঘুরাঘুরি.কম নামে ফেসবুকের একটা গ্রুপ আছে আমাদের। সদস্যরা নিজেদের ঘুরাঘুরি ছবি তথ্য শেয়ার করেন গ্রুপে, নতুন কোন ভ্রমন পরিকল্পনা থাকলে সেটা ও নিজেদের মধ্যে আলাপ করে নেন। এ ছাড়া গ্রুপের পক্ষ থেকে ও মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি’র আয়োজন করা হয়। এ ক্ষেত্রে আনকোরা, অপ্রচলিত স্থানগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়। গতবছর এরকম দুটি আয়োজন ছিলো। জুলাইয়ের ১৩,১৪ দুদিন প্রায় ৫০ জনের একটা গ্রুপ লঞ্চে করে ঘুরেছিলো দেশের উত্তর পশ্চিম স