এই যুক্তি আগেও শুনেছিলাম । সম্ভবতঃ আস্তমেয়ের(অধূনা সন্ধ্যাবাতি) লেখায় ।
নতুন করে আবারো দেখলাম কর্কটের মন্তব্যে ।
যুক্তিটা এরকম-- 'মুসলমান রা তাদের ধর্মের অন্যান্য বিষয়ে সমালোচনা মেনে নেন । কিন্তু হযরত মোহাম্মদ(দঃ) এর কোনো সমালোচনা বা তাকে নিয়ে কোনো ব্যাংগ-বিদ্রুপ সহ্য করতে পারেননা । সালমান রুশদীকে হত্যার ফতোয়া, ডেনিশ কার্টুনকে কেন্দ্র করে দুতাবাস পুড়ানো এসব থেকে শুরু করে সামহোয়ার ব্লগে সাম্প্রতিক পোষ্ট ডিলিট এসব কিছুর কারন সেই একটাই--মোহাম্মদ(দঃ) এর সমালোচনা ।
প্রতিক্রিয়াটা এরকম হওয়াটা স্বাভাবিক যেহেতু শেষনবী মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত,সকল সমালোচনার উর্ধ্বে । মা-বাবার সমালোচনাই আমরা সহ্য করতে পারিনা তো রাসুলের সমালোচনা সহ্য করবো
'কাটায়ে উঠেছি ধর্ম আফিম নেশা
ধ্বংস করেছি ধর্ম যাজকী পেশা,
ভাংগি মন্দির ভাংগি মসজিদ
ভাংগি গীর্জা--গাহি সংগীত'
ইসলামী চেতনার (!)কবি কাজী নজরুল ধর্মশালা ভেংগে সঙ্গীত পরিবেশন করতে চান?
ধর্মানুভূতি তো আহত হয়ে প্রায় কোমায় চলে গেলো!
হুমায়ুন আজাদকে চেনেন তো জনগন?
কারো কারো গড়িয়ে পড়া ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে যাকে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল!
----------------------------------------
'ধর্মানুভতি কোনো নীরিহ ব্যাপার নয়,তা বেশ উগ্র;এবং এর শিকার অসৎ কপট দুর্নীতিপরায়ণ মানুষেরা নয়,এর শিকার সৎ ও জ্ঞানীরা;এর শিকার হচ্ছে জ্ঞান । জ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ চলছে কয়েক সহস্র বছর ধরে,উৎপীড়িত হতে হতে জয়ী হচ্ছে জ্ঞান,বদলে দিচ্ছে পৃথিবীকে;তবু আজো মিথ্যে পৌরানিক বিশ্বাসগুলো আধিপত্য করছে,পীড়ন করে চলছে জ্ঞানকে।
ধর্মানুভূতির আধিপত্যের জন্য কোন গুন বা যুক্তির দরকার পড়েনা,প্রথা ও পুরনো ভুল বই যোগায় তার শক্তি আর ওই শক্তিকে সে প্রয়োগ করতে পারে নিরংকুশভাবে '
***হুমায়ুন আজাদের