হুমায়ুন আজাদের পর এবার ব্লগার অভিজিৎ ও তার স্ত্রী বন্যার ওপর আক্রমন হলো। আক্রমনের উদ্দেশ্য-পদ্ধতি-কারণ একই। এরা কারোও কোন ক্ষতি না করে কিছু একটা লিখেছেন এবং এতে ধর্মের নিশানওয়ালাদের অনুভুতি আহত হয়েছে। আগে এই আহত অনুভুতির মাশুল দিতে হয়েছে হুমায়ুন আজাদকে, ব্লগার রাজীবকে। আজ এই মাশুল দিতে হলো অভিজিৎ দম্পতিকে। হুমায়ুন আজাদ প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। অভিজিৎ প্রাণে বাঁচতে পারেননি।
পৃথিবীর অন্য সব দেশের মতোই চিন্তার জগত ধর্মীয় মৌলবাদি গোষ্ঠির আক্রমনের স্বীকার হয়ে এসেছে। বাংলাদেশেও এই আক্রমন পুরো মাত্রায় জারি আছে। ধর্মীয় মৌলবাদি গোষ্ঠির সাম্প্রতিক থাবা এসে পড়েছে রোদেলা প্রকাশনীর একটি বইয়ের ওপরে। সেই আগ্রাসনে বাংলা একাডেমিও সামিল হয়েছে। রোদেলা প্রকাশনীর একটি বইতে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগ বইমেলাতে রোদেলা প্রকাশনীর একটি স্টল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলা একাডেমি। সেই সাথে আগামি বছরও রোদেলা প্রকাশনী মেলায় আসতে পারবে না জানিয়ে দিয়েছে বাংলা একাডেমি।
আমি, ব্রাহ্মণী, বৃদ্ধা মাতা, তিন কন্যা, বিধবা পিসি, দাসী একুনে আমরা আটজনা।
লাট সায়েবের তিন ঠ্যাঙা কুত্তাটার পিছনে মাসে পঁচাত্তর টাকা খরচা হয়। এইবার দেখি, কি রকম আঁক শিখেছিস। বলতো দেখি, যদি একটা কুকুরের পেছনে মাসে পঁচাত্তর টাকা খরচ হয়, আর সে কুকুরের তিনটে ঠ্যাং হয় তবে ফি ঠ্যাঙের জন্য কত খরচ হয়?’
আমি ভয় করছিলুম পণ্ডিতমশাই একটা মারাত্মক রকমের আঁক কষতে দেবেন। আরাম বোধ করে তাড়াতাড়ি বললুম, 'আজ্ঞে, পঁচিশ টাকা।' পণ্ডিতমশাই বললেন, 'সাধু, সাধু!'
তারপর বললেন, ‘উত্তম প্রস্তাব। অপিচ আমি, ব্রাহ্মণী, বৃদ্ধা মাতা, তিন কন্যা, বিধবা পিসি, দাসী একুনে আটজন। আমাদের সকলের জীবন ধারণের জন্য আমি মাসে পাই পঁচিশ টাকা। এখন বল তো দেখি, তবে বুঝি তোর পেটে কত বিদ্যে, এই ব্রাহ্মণ পরিবার লাট সায়েবের কুকুরের ক'টা ঠ্যাঙের সমান?'
- পাদটীকা, সৈয়দ মুজতবা আলী
আজকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের সাথে বাংলাদেশিদের বিয়ে অবৈধ হবে এবং এই বিয়ে পড়ানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। খুব গভীর বিশ্লেষণে না গিয়েই বলা যায় এটা বর্বর বিধান। দুটি মানুষ বিবাহ বন্ধবে আবদ্ধ হবে, এখানে কে কোন জাতির, কে কোন সম্প্রদায়ের এগুলো আমলে আনা কোন সভ্য চিন্তার ফল হতে পারে না।
ধর্মীয় মৌলবাদি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম প্রায় এক বছর পরে আবারো তাদের কর্মকান্ড জোরেশোরে শুরু করেছে। বিগত দুই সপ্তাহান্তে তারা বিভিন্ন সমাবেশে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করছে। গতকাল তারা এমনকি নাস্তিকদের কতলের ফতোয়া দিয়েছে। হঠাৎ করে হেফাজতের এরকম গর্ত থেকে বের হয়ে আসার কারণ কী? এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোন নিশ্চয়তা বা সমঝোতার প্রসঙ্গ আছে কি? বা কিছুদিন আগে দুই কিশোর ব্লগারকে জেলে পোরার সাথেই বা এসবের কোন সংযোগ আছে?
বাংলাদেশের প্রধান দৈনিক প্রথম আলো (বা পড়ুন পেহলী রোশনী) বদলে যাও, বদলে যাও বদলে দাও শ্লোগান দেশের অন্যান্য কর্পোরেট মিডিয়া হাউসের ঘোষিত শ্লোগানগুলোর মতো না। এরা রীতিমতো হাতেকলমে এসবের নজির আমাদের সাথে হাজির করে। এদের বেতনভুকেরা রিকনসিলিয়েশন তত্ত্ব খাড়া করে মেহেরজান সিনেমার পক্ষে জান লড়ে দেয়, জামাত বান্ধব বুদ্ধিজীবি পুল দিয়ে জামাতি এ্যাজেন্ডা পুশ করে, পেট্রোল বোমার জন্য দুই দলের ঘাড়ে সমান দোষ চাপিয়
সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর শানে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাসসহ ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল ২৪শে নভেম্বর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী। সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব হাফেজ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
এই কর্মসূচী দিতে গিয়ে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে এর প্রেক্ষাপট বা কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কতোটা সত্য, কতোটা মিথ্যা এবং কতোটাই বা অতিরঞ্জন?
প্রথম আলো অদ্ভুদ। আরো অদ্ভুদ তাদের পাকিরাও ভালো প্রজেক্ট।
আনপড় পাঠকেরা এই প্রজেক্ট সম্পর্কে না জানতে পারেন। তাদের জন্য একটা ছোট্ট সূচনা।
পাকিরাও ভালো প্রজেক্ট প্রথম আলো ঘোষিত অফিসিয়াল কোন প্রজেক্ট নয়। সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্লগজগত থেকে এইরকম প্রজেক্ট বাস্তবে আছে এরকম অনুমানের সূচনা। প্রথমআলো গ্রুপ নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তান থেকে বুদ্ধিজীবী ভাড়া করে আনে। এরা হাবিজাবি মিশিয়ে পাকিস্তানের হাতেগোনা কিছু লোকের বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালোমন্দ কথা বলে এরকম লোকেদের হাজির করে। নিয়মিত এরকম পাকিস্তানি ভালো লোক মিডিয়াতে হাজির হলে, এবং সেইসাথে সেখানকার লোকেদের একাত্তর প্রশ্নে অবস্থান চেপে গেলে জনমানসে সব পাকিস্তানি আসলে খারাপ না এরকম একটা ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য হয়। পুনর্মিত্রতার এই প্রজেক্ট বেশ কিছুদিন ধরে চলছে।
জামাতি বুদ্ধিজীবি ফরহাদ মজহার সম্প্রতি এক টকশোতে মিডিয়ার ওপর এক হাত নিয়েছেন। এক হাত নেবার পর সেটা আবার পরে রেটোরিক ইত্যাদির চাপানউতোর দেবারও চেষ্টা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ফরহাদ মজহারের বক্তব্যের প্রতিবাদ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। বিপরীতে ফরহাদ মজহারকে সমর্থন দেবার জন্য জামাত/বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবিরা একাট্টা হয়েছেন। সাথে আছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এক উপদেষ্টা। চলুন দেখা যাক কারা কোন পক্ষে কাজ করছেন।
পড়ছিলাম বিডিনিউজে "ফেইসবুকে হয়রানি: ‘অসহায়’ নিয়ন্ত্রক সংস্থা" শিরোনামে প্রতিবেদন। সেখানে কেন ফেইসবুক নিয়ন্ত্রনে অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেই বিষয়ে একজন সাইবার ক্রাইম "বিশেষজ্ঞের" কাছে প্রতিবেদক জানতে চেয়েছেন কিছু বিষয়। এই বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন বিটিআরসিতে। সে প্রতিবেদন সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রকদের কার্যক্রমের একটা সার অংশ উঠে এসেছে।