সেক্স আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজে এতটাই ট্যাবু বিষয় যে এর একটা প্রমিত বাংলা প্রতিশব্দ পর্যন্ত নেই। মানব প্রজাতি ধরে রাখার মৌলিক কাজটিকে উল্লেখ করতে বিদেশি নয়ত সমাজের নিচুতলার মানুষদের মুখের ভাষা থেকে শব্দ ধার করতে হয়। এমন ভাব যেন সক্কলে ডিম ফুটে বের হয়েছি।
আম্মুর কথামতো রোদে দেয়া লেপ গুলো ছাদ থেকে নিয়ে এসে আলমারির উপরের ক্লজেটে ঢুকিয়ে রাখতে যাচ্ছিল ঈশান। এ বছর ষোল তে পা দিল ও। কিন্তু এর মধ্যেই ছোটখাট সাইজের আম্মুকে লম্বায় এক হাত ছাড়িয়ে গেছে সে। কাজেই এইরকম কাজ গুলো লম্বু বলে আম্মু সোজা তার উপরেই ন্যস্ত করেন। লেপগুলো ঠুসতে গিয়ে কিসে যেন বাধছিলো, তখনই পেলো ছোট বাক্সটা।
অনেকদিন কিছু লিখি নাই। মাথায় ছুটে বেড়ানো এলোমেলোচিন্তাগুলিকে গুছিয়ে একটা প্যারাগ্রাফে বঁধার মতো স্থবিরতাও যদি মস্তিষ্ক আমায় অনুকম্পা করতো, হয়তো খসড়া অন্তত করতে পারতাম। কিন্তু সে আশা বৃথা। টুকিটাকি ভাবনা গুলো যেন বুদবুদ। বড় করতে গেলেই ঠুস ঠাস ফেটে যায়। নেহায়েত দু তিনটাকে যদি ব্লগের পাতায় এনে ফেলতে পারি, মন্তব্যে আলোচনায় হয়ত আরেকটু সমৃদ্ধ হতে পারে। এইসব আলগা ভাবনা অবজার্ভেশন কে এক সুতোয় বাঁধতে সিরি
মার্চ মাস এলেই টিভিতে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারের স্বজনদেরকে ডেকে ডেকে ১৯৭১ এর স্মৃতি বলতে বলা হয়। ঘুরে ফিরে কিছু মানুষের কাহিনীই আমরা বারে বারে শুনি। কিন্তু শুধু তারাই কেন শোনাবেন? একাত্তরে এদেশে মারা গেছে ৩০ লক্ষ মানুষ, আমাদের তো ৩০ লক্ষ গল্প থাকার কথা। অন্তত ৩০ লক্ষ সাহসিকতার গল্প। সে সময় বাঙালি ছিলো সাড়ে সাত কোটি, তত কোটি গল্প কি আমরা শুনেছি?
এ এক অসহনীয় অবস্থা! হাজার মেইল দূরে বসে কিছু করতেও পারছি না, সাভারের এক একটি ছবি দেখে, সংবাদ পড়ে সহ্য করতে পারছি না এত কষ্ট, আবার এইসব সংবাদ থেকে নিজেকে স্বার্থপরের মত দূরে সরিয়ে রাখতেও পারছি না। কেবল মনে হচ্ছে মস্তিষ্কে চিরকালের মত গভীর দাগ পড়ে যাচ্ছে, ঐ নূপুর পড়া পায়ের ছবি, ঐ মৃত যুগলের ছবি জীবনে আমি মাথা থেকে মুছতে পারব না। গোল্ডফিশের মত ২ সপ্তাহ বাদে রানা প্লাজার নাম ভুলে গেলেও বহু বছর বাদেও দুঃস্বপ্নে ওরা এসে ঠিক ঠিক হানা দিয়ে যাবে। হয়তো কিছুটা মনুষ্যত্ব এখনো ধরে রেখেছি বলেই এই ভোগান্তি। রাজনীতির নানারকম গদিতে বসে থাকা অবিশ্বাস্য রকমের পিশাচ হলে হয়ত এই যন্ত্রনা হতো না।
ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের কোন ছবি কোন রকম পোস্ট প্রসেসিং করা হয়নাই।
পায়ের তলায় সর্ষে অলা এক পর্যটকের ভয়ে আজকাল সচলে ভ্রমণ ব্লগ দিতে কলিজা লাগে, ডুপ্লিকেট পোস্ট হয়ে যায় কিনা এই আশংকায়। অনেকদিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরে ধারণা হইল, উনার পাসপোর্টে সীল ছাপ্পরের বহর দেখে আম্রিকান সরকার নির্ঘাৎ তেনারে সন্ত্রাসী ঠাউরেছে, এখনো এই ভু-খন্ডে পা দিতে পারেন নাই। উনি পোস্ট দেবার সুযোগ পাবার আগেই তাই একখানা পোস্ট ঠুকে দেই এই বেলা ভেবে লেখার সাহস করলাম।
খালাতো বোনের একটা দুই বছরের পিচ্চি আছে, মাত্র কথা বলা শিখেছে, তার কথার যন্ত্রণায় মা অস্থির। একদিন পিচ্চিকে আমাদের ভাই বোনের হাওলায় দিয়ে বোন গেলো ঈদের বাজার করতে। আমরা তো মহাখুশি, এইটুকু পিচ্চি আবার গুটুর গুটুর কথা বলে, দারুন সময় কাটবে ভেবে। বোন আমাদের খুশি দেখে বললো, " বুঝবা মজা, ২ ঘন্টার মধ্যে ঘুরে আসতেছি, তোমরা ততক্ষণ টিকতে পারলে হয়, আমার তো খালি মনে হয় মুখ চেপে ধরি"। আমরা চোখ গরম করে বোনকে বিদায় দিলাম, কেমন মা? বাচ্চার কথা শুনে কই খুশি হবে, পিশাচীর মত কথা বার্তা। যাই হোক পিচ্চি এতক্ষণ বেশ সুবোধের মত ছিল, মা যাওয়া মাত্র তার মুখ খুললো এবং তার পরেই টের পেলাম সে কি চীজ। আমরা আবিষ্কার করলাম সে আসলে খুব বেশি কথা বলতে পারে না, মাত্র ২-৩ টা শব্দ, "কী এবং কেন"? যাই দেখে হাত তুলে জিজ্ঞ্যেস করবে এটা কী? যেভাবেই উত্তর দেই না কেন, তার প্রত্যুত্তর হচ্ছে কেন? ১০ মিনিটের মাঝে আমার এবং ভাইএর মাথা খারাপ হয়ে গেল। এত "কেন?" র উত্তর তো কোনদিন ভেবেও দেখি নাই।
এক খানা কৌতুক বলিয়া শুরু করা যাক। পূর্বে শুনিয়া থাকিবেন হয়ত, স্বর্গের দুয়ারে প্রবেশের পূর্বে অনেক প্রকার ঘটনা ঘটিয়া থাকে, সেই রূপ একখানি ঘটনা সংশ্লিষ্ট কৌতুক।
অনেকদিন আরাম করে বসে কোন বই পড়া হয় নাই। উচ্চশিক্ষালাভের ধ্যানমগ্নতার ভান ধরে কতদিন যে গল্পের বই পড়ি না।খটোমট পেপার পড়েই দিন কাবার হইতেছিল। উচ্চশিক্ষার খেতা পুড়ি বলে ইস্তফা দিয়ে ভাবলাম এইবার আরাম করে অনেক গল্পের বই পড়তে পারব। দেশ থেকে বইও নিয়ে এসেছি অনেক গুলা। শুরু করলাম সঞ্জীবের লোটাকম্বল। এক পাতা পড়ে ঘুম আসে, পরেরদিন ভুলে যাই কতটুকু পড়ছিলাম। আবার আগের পাতা থেকে শুরু করি। আগের দিনের চে এক প্যারাগ্রাফ আগায় আবার ঘুম আসে। এমন করে করে ৩ মাসে ১০ পাতা আগাতে পেরেছি।
ভাবলাম সমস্যা বুঝি বই পড়ার পরিবেশে। আগে কি ভাবে বই পড়তাম? বিছনায় শুয়ে? চেয়ার টেবিলে বসে? দাঁড়িয়ে? উপলব্ধি হইল সবখানে সব ভাবেই বই পড়তাম। কত আজব জায়গায় আজব ভঙ্গিতে বই পড়েছি ভেবে হাসি পেল। উদাহারন দেই
সচলায়তনের পাতায় অনেক কবিতা দেখি, কবিতার প্রশংসা দেখি। কিন্তু বিধাতা আমায় সে রসবোধ দেননি কবিতার রস আস্বাদন করার মত। আমার মত যাদের মেট্রিক বাংলা পরীক্ষার খাতায় কবিতার মূলভাব লিখ প্রশ্নের উত্তরে চোখ বুজে মুখস্ত উগড়ে দেয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না, তাদের কাব্য-প্রতিভাকে উৎসাহিত, উদযাপিত করার জন্য এই পোস্ট। মডুরা যদি ছাড়পত্র দেয় তবে আপনিও এর রস আস্বাদন করুন- রস-যোগ করুন। আর সচলের শ্রদ্ধেয় শক্তিমান