আঁকটোবর, ২০২২-এর তৃতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো প্রাণীর ছবি আঁকতে, যেটাকে আমি পুষতে অথবা বন্ধু বানাতে চাই। আপাতত মান বাঁচাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আরেকটা ছবি পরে যোগ করার ইচ্ছা আছে।
আঁকটোবর দ্বিতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো জায়গার ছবি আঁকতে, যেখানে আঁকিয়ে নিজে গিয়েছেন। এ প্রস্তাব মেনে নিচের ছবিখান আঁকলাম।
আমি গরুর ছবি আঁকলে সেটার আশেপাশে 'গরু' লিখে দিতে হয়। কাজেই এই ছবির ওপরেও জানিয়ে যাই, এটা এক তেজোসৃপের ভাস্কর্যের ছবি। ভাস্কর্যের বয়স চারশ বছরের বেশি, পাঁচশর কম। শহরটার নাম, প্রস্তাবে যেমন বলা, একটা ধাঁধা।
প্রথম সপ্তাহের ছবির বিষয়ের প্রস্তাব (প্রিয় কোনো বইয়ের চরিত্র বা দৃশ্য) এসেছে যে বাঘা শিল্পীর কাছ থেকে, তিনি এখন হপ্তা-পুরোনো কনিষ্ঠ ভাইকে নিয়ে ব্যস্ত। আশা করি শিগগীরই আঁকটোবরে তার ছবির দেখা পাবো। সজীব ওসমান সে প্রস্তাবের ওপর যোগ করেছেন আরেক প্রস্তাব, আঁকা ছবিটা যেন একই সাথে একটা ধাঁধাও হয়। দুটি প্রস্তাবই মেনে নিয়ে কাঁচা হাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আঁকটোবর কী কেন কীভাবে, তা নিয়ে গত বছর কিছুমিছু লিখেছিলাম। আঁকতেও শুরু করেছিলাম।
কিন্তু প্রতিদিন একটা করে ছবি আঁকা বেএএএএশ কষ্টকর কাজ। দু'চার দিন পরই খ্যামা দিতে ইচ্ছা করে। এ বছর তাই আয়োজনটা দৈনিক থেকে সাপ্তাহিকে নিয়ে যেতে হচ্ছে। মোটের ওপর করণীয় খুবই সহজ। একটা বিষয় বেছে কেউ একজন আঁকতে শুরু করবেন। হপ্তা পাল্টালে বিষয়নির্বাচকও পাল্টে যাবে, অন্য কেউ বাছবেন আর বাকিরা আঁকবেন। সে আঁকা হতে পারে কাগজে, বনাতে, দেয়ালে, চামড়ায়, বৈদ্যুতিন দাগপাটে...। হতে পারে কালি, কয়লা, জলরং, তেলরং, মোমরং, খড়ি, পোড়ামাটি, উদ্ভিজ্জ রং, বৈদ্যুতিন দাগুনি দিয়ে। আঁকুন একটা বা অনেকগুলো ছবি।
আঁকা শেষ হলে পোস্ট করে দিন সচলে, আঁকটোবর শিরোনামে।
প্রথম হপ্তার বিষয় বাছার সুযোগটা আমিই নিচ্ছি: তিমি।
৩.
ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা ভাষা নিয়ে গণমাধ্যমে লেখা আর কথার স্রোত আসে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার হ্যান এবং সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ত্যান করতে হবে বলে গুণীজন১ এ মাসে অনেক উপদেশ, পরামর্শ আর হাহাকার উপহার দেন আমাদের। মার্চের এক তারিখে বাংলা ভাষা নিয়ে কথাবার্তাগুলো রোদে শুকিয়ে ন্যাপথলিন দিয়ে আবার তোরঙ্গে তুলে রাখা হয়, পরের বছরের জানুয়ারির তিরিশ-একতিরিশ তারিখ ফের বের করে রোদে দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের ঠ্যাকা কাজ চালানোর জন্য। ফেব্রুয়ারি তাই এক অর্থে বাঙালির ভাষা-রমযান। আমার ইচ্ছা ছিলো ফেব্রুয়ারি বাদে বাকি এগারো মাস বাংলা ভাষার টুকিটাকি নিয়ে একজন আগ্রহী চর্চক হিসেবে ঘ্যানঘ্যান করার, কিন্তু বিধি বাম।
রেখাচিত্রী জেইক পার্কার ২০০৯ সালে মাসব্যাপী প্রতিদিন (কমপক্ষে) একটি করে ছবি আঁকার এক হুজুগ চালু করেছিলেন। সময়ের সাথে এটা হুজুগ থেকে ছোটখাটো বিকেন্দ্রিক উৎসবের চেহারা নিয়েছে, নাম ইঙ্কটোবর (বিস্তারিত সূত্রে)। ইঙ্কটোবরের মূল প্রেরণা ছিলো প্রতিদিনের চর্চায় কালির কাজের ওপর শিল্পীর দক্ষতা বাড়ানো, নামটাও তাই কালি থেকে গজিয়েছে। হিস্পানিভাষী শিল্পীরা এটাকে [i]তিন্তোব্র
[justify]
১.
ব্যাঙ্কশাল থেকে বংশাল?
সুলেখক ও সম্পাদকোত্তম মীজানুর রহমান তেমনটাই লিখে গেছেন তাঁর স্মৃতিচারণগাথা "ঢাকা পুরাণ" গ্রন্থে। তাঁর কলমে,
[justify]শব্দ সম্পর্কে আমাদের সবার মনের দরজার ভেতরের কপাটে নিজস্ব (অনবশ্য স্বকীয়) একটা রায় পেরেক মারা আছে। যখন আমরা একটা অচেনা শব্দ (যেমন এর আগের বাক্যে অনবশ্য (= not necessarily, অনাবশ্যকের সাথে গুলিয়ে ফেললে চলবে না) পড়ি বা শুনি, মনের দরজা লাগিয়ে ঐ রায়টা আমরা একবার পড়ে নিই। প্রতিটি শব্দ আমাদের প্রতি জনের সে রায়ের জোরে বাঁচে, বন্দী থাকে, সমাহিত হয়, পুনর্জীবন পায়।
কৈশোরে দেখেছি, বিয়েবাড়িতে আল্পনা আঁকানোর জন্যে দক্ষ শিল্পীদের ডেকে আনা হতো। এঁরা হয়তো বরের ছোটো ভাইয়ের বন্ধু, কিংবা কনের বান্ধবীর ভাই। রং-তুলি-চক নিয়ে এঁরা দু'তিনজন সকালে চলে এসে কাজ শুরু করতেন। পুরো বাড়িতে সমঞ্জস আল্পনা আঁকা কঠিন পরিশ্রমের কাজ। ঘর, বারান্দা, সিঁড়ি, উঠান এক এক করে এই শিল্পীদের হাতে রেঙে উঠতো। বাড়ির পিচ্চিরা রূদ্ধশ্বাসে এঁদের কাজকারবার দেখতো, চা-চু নিয়ে আসতো সন্তর্পণে, নিজেরাও হাত