রীতিমতো বড়দের ছড়া। শ্লীলবায়ুগ্রস্তদের পাঠ নিষেধ। সংসারে এক সন্ন্যাসীর "কামরাঙা ছড়া" সিরিজ দিয়ে বহুলাংশে অনুপ্রাণিত। শিরোনামে আংরেজি HORNY কথাটার বাংলা অনুবাদের দুশ্চেষ্টা করা হয়েছে।
কাজী সাহেব উসখুস করেন শুধু। আড়ে আড়ে স্ত্রীর দিকে তাকান, কিন্তু কিছু বলেন না।
মিসেস কাজী খনখনে গলায় বলেন, একুশ বছর বয়স কম নাকি? আইনেও তো বলা আছে, মেয়েদের আঠারো বছর আর ছেলেদের একুশ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া যায়। তুমি খালি ত্যানা প্যাচাও ক্যান?
কাজী সাহেব কাশেন দুয়েকবার। একবার ঘড়ি দেখেন। অস্ফূটে কী যেন বলেন।
একটা ছেলের নাম বলুন।
খোকন?
আচ্ছা, ঠিকাছে। এইবার একটা মেয়ের নাম বলুন।
সুমি?
ঠিকাছে। ঐ যে দেখুন, রিকশায় চড়ে বেড়াতে বেরিয়েছে এক যুগল। খোকন আর সুমি। ঐ যে বেগুনি গেঞ্জি, ধূসর জিন্সের প্যান্ট পরা, ও খোকন। আর ঐ যে হালকা কমলা শাড়ি আর গাঢ় কমলা ব্লাউজ পরা ...।
ও-ই সুমি। বুচ্ছি।
বাহ, খুব অবজারভ্যান্ট আপনি। নিশ্চয়ই ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছিলেন?
হ।
ব্যস্ততা আমার অবসর কেড়ে নিয়ে হাতে ধরিয়ে গেছে অবসাদের তোড়া।
একটা ফিল্ড রেকর্ডার কেনার ইচ্ছা ছিলো অনেকদিনের, ব্যাটেবলে পেরে উঠছিলাম না। জিনিসটা হাতে আসার পরও একটু ঘেঁটে দেখার সুযোগ মিলছিলো না ব্যস্ততার জন্যে। আজ দুত্তোরি বলে কাজ থামিয়ে ঠিক করলাম, পরখ করে দেখি জিনিসটা কেমন কাজে দেয়।
আটক লোকটা উদাস হাসে।
আর দারোগা কিংকর্তব্যবিমূঢ় চৌধারির মেজাজটা কেবল গরম হয়।
সিলেটে আমরা যে বাসায় থাকতাম, তার বারান্দায় টবে একটা বেলি গাছ ছিলো। সেই বাসা ছেড়ে আমরা যখন চলে আসি, আমরা পেছনে ফেলে আসি চারপাশের সুপারি গাছে সারি, বারান্দার আকাশ দখল করে রাখা কৃষ্ণচূড়া, রান্নাঘরের উল্টোদিকের পেয়ারা গাছ, স-মিলের জন্যে আনা কাঁচা কাঠের ঘ্রাণ, আমাদের তেরো বছরের জীবন, শুধু বোকার মতো সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম টববন্দী গাছগুলোকে। আমরা জানতাম না, ট্রাকে করে ফুলের টব দূরের শহরে আন
ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা ও আনিসুলের মা উপন্যাসের দামামাবাদক দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক খবরে [১] দেখতে পাই,
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক টাকা দেয় নাই, তাতে কী হয়েছে? আমরা আমাদের নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব। দরকার হলে এক বেলা বাজার করব না।’
ভোরবেলা প্রায়ই দেখা হয় আঙ্কেলটার সঙ্গে। আমি তল্লাবাগ থেকে ইন্দিরা রোড হয়ে বেরিয়ে সংসদভবনকে ঘিরে দুটো চক্কর দিয়ে বাসায় চলে আসি। আঙ্কেলকে দেখি হাতে একটা ছড়ি নিয়ে উদাস বদনে হাঁটাহাঁটি করেন। ভোরের বাতাসে মাঝেমধ্যে পতাকার মতো পতপত করে ওড়ে তাঁর ধুতি। তিনি নির্বিকার। নিষ্কম্পচিত্ত।
১.
ঝাকানাকা থমথমে মুখে গম্ভীর গলায় বললেন, "ক্রাইম সিনের এই দশা কেন?"
কিংকু চৌধারি কাঁচুমাচু মুখে বললেন, "আমার কিছু করার ছিলো না স্যার। ফোন পেয়ে আমরা অকুস্থলে এসে দেখি এই অবস্থা।"
ঝাকানাকা ঘরের চারপাশটা চোখ বুলিয়ে দেখে বললেন, "আপনাদের কে ফোন করলো?"
কিংকু চৌধারি বললেন, "সাংবাদিক শা ভা মোমেন স্যার।"
ঝাকানাকা বললেন, "সে এ খবর কার কাছ থেকে পেলো?"