বইকে ঘাসপাতার সাথে তুলনা করা ঠিক হবে না। কিন্তু বইয়ের পৃথিবীর একটা মডেল যদি আমরা করি, তার সাথে ঘাসপাতার মডেলের অনেক সাদৃশ্য থাকবে।
পাঠকদের ঘাসপাতাখোর ডাকার স্পর্ধা আমার নাই। কিন্তু মডেলের দুনিয়ায় বইখোর আর ঘাসপাতাখোরের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে।
১.
হাসানুজ্জামান টের পায়, তার মুখে একটা হাসি ফুটে আছে। সেটা এই পরিস্থিতিতে তাকে খুব একটা সাহায্য করবে না, তা সে জানে, কিন্তু হাসিটা মুছতে গিয়ে কষ্ট হয় তার।
পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে সেনেগাল আর গিনি বিসাউ থেকে আরো পশ্চিমে, আটলান্টিককে নিচে ফেলে আকাশ দেখার জন্যে জেগে উঠেছে যে কয়েকটা আগ্নেয় পাথরের দ্বীপ, সেই রুক্ষ মরুস্পৃষ্ট দ্বীপদেশ কাবো ভের্দেতে কয়েকটা পতাকা নতমুখে ভাবছিলো সেজারিয়ার কথা। কারণ সেজারিয়া আর নেই।
আনিসুল হক বাংলাদেশের জনপ্রিয় কলামিস্ট ও চলচ্চিত্রনাট্যকার। ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত কৌতুক দিয়ে পত্রিকার আধপাতা বোঝাই করে তিনি রাজনৈতিক স্যাটায়ার লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকদিন ধরে। পাশাপাশি তিনি নিজেও কিছু কৌতুক সৃষ্টি করেন, সেগুলো আরো উপভোগ্য হয়। যেমন, গরুর রচনা লেখার মতো করে সবকিছুতেই তিনি নিজের প্রভুখণ্ড (মাস্টারপিসের বাংলা আর কি) "মা" উপন্যাসটির বিজ্ঞাপন করেন। মুক্তিযোদ্ধা কাজী কামা
প্রথমে একটা ভিডিও দেখি আমরা। এটি ইতিমধ্যেই বহুলপ্রচারিত, এক গরুচালানীকে ধরে বিবস্ত্র করে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের কয়েক জওয়ান, তার এগারো মিনিটব্যাপী অসম্পাদিত দৃশ্য।
গতবছর তিউনিসিয়া থেকে বাহরাইন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া আরব সমাজে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ভালোবেসে আরব বসন্ত নাম দিয়েছে পশ্চিমা মিডিয়া। ঋতু বসন্তের চেয়ে রোগ বসন্তের সাথেই এর সাদৃশ্য বেশি। তিউনিসিয়ায় এক ক্ষুব্ধ অপমানিত ফলবিক্রেতা নিজের গায়ে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন, আর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সুদূর বাহরাইন পর্যন্ত। সুদীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আরব সমাজ গর্জে উঠেছে তিউনিসিয়া,
নজমুল আলবাব শুকনো মুখে বেরিয়ে আসে জঙ্গল ছেড়ে। তারপর হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে এসে নৌকায় ওঠে হাঁচড়ে পাঁচড়ে।
বলি, "ছবি তুলতে পাল্লেন কিছু?"
নজমুল আলবাব বিড়বিড় করে কী যেন বলে। সম্ভবত গালি দেয় আমাকে।
বনরক্ষী ফজলু শেখ চুপচাপ বসে ছিলো নৌকার পাটাতনে, আলবাব তাকে বলে, "ভাই পা ধুইতে হবে।"
ফজলু শেখ সংক্ষেপে বলে, "ধুয়ে ফেলেন।"
সম্প্রতি বিডিনিউজ২৪ ডট কমের কর্ণধার তৌফিক ইমরোজ খালিদী রাজনীতিকদের প্রতি ব্লগ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন [১]। তার নিজেরই প্রতিষ্ঠানে প্রকাশিত সংবাদ থেকে উদ্ধৃত করে তার কিছু কথা আমরা মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখতে পারি।
বেশ কিছুদিন ধরেই কখনো জোরেসোরে, কখনো ফিসফিস করে একটা কথা বেশ চলছে, ব্লগ নিয়ন্ত্রণে আইন করা জরুরি। প্রস্তাবটি কৌতূহলোদ্দীপক, এবং প্রস্তাবকদের নামগুলোকে এক সারিতে রেখে দেখলে, আমোদপ্রদও বটে।
অবসরপ্রাপ্ত পাকি লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদের আলির একটি আর্টিকেল দৈনিক প্রথম আলোতে অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইসফাক ইলাহী চৌধুরী। গত বারোই ডিসেম্বর লেখাটি [১] সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হয়।