[justify]
কড়া আলো পিচাশ করিমের পছন্দ নয়। নিরেট অন্ধকারও ভালোবাসেন না তিনি। এই দুটোই হচ্ছে দৃষ্টিগ্রাহ্য পৃথিবীর দুই চরম অবস্থা। তিনি ভালোবাসেন রহস্য, যা থাকে আবছায়ায়। আলো আছে, কিংবা আলো নেই, এমন সরল বাইনারির জগতে যারা বাস করতে চায়, তাদের জন্যে প্রতিনিয়ত করুণার ভারে পিষ্ট হন পিচাশ। মূর্খ, ভালগার একটা সোসাইটি।
প্রথম সন্ধ্যাটির কথা মনে আছে স্পষ্ট। খালের দুই পাশে খাড়া পারে সটান ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে প্রকাণ্ড সব ঋজু নাম না জানা বৃক্ষ, তাদের পাতার আড়ালে লুকানোর নিরর্থক চেষ্টা করছিলো আমার পিছু নেয়া চেরা চাঁদ, তাই আমার ছোট্টো ডিঙিযাত্রার পুরোটাই ছিলো গাছের পাতার বীভৎস সব ছায়ায় রঞ্জিত। সরু খালে নিরুদ্বিগ্ন কুমীরের মতো লগির ঠেলায় ভেসে চলছিলো আমার ডিঙি, যতক্ষণ পর্যন্ত পারুলবালার ঘর বরাবর খালের পাশে একটা হিজল গাছের গোড়ায় লাল কাগজে মোড়ানো হারিকেনটা এসে না দাঁড়ালো। পারুলবালা রেখে গিয়েছিলো সেই লণ্ঠন, হয়তো সূর্য ডোবার পরপরই।
সুনীল গাঙ্গুলির কল্যাণে ফ্রান্স আমাদের কাছে ছবির দেশ। কবিতার দেশ। সেইদেশে সঙ্গমবান্ধব লোকজন বাস করে, তারা পান করে সুস্বাদু ওয়াইন, লেখে কবিতা, আঁকে ছবি। যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে ... । ফ্রান্সের আছে আইফেল টাওয়ার, আছে র-কে হ্র বলা লোকজনে গিজগিজ প্যারিস, লুভ জাদুঘর, সেখানে মোনালিসা। সভ্যতা ভব্যতায় ফ্রান্স আমাদের চেয়ে অনেক ওপরে। সেই ফরাসিদের বিস্মিত করে দিতে পেরেছি আমরা। এ আমাদের কপালে আরেকটি রাজতিলক। খামারের ইংরেজিতে যদিও বিস্মিত করে দেয়া কথাটার একটা দুষ্টু অর্থ আছে, তবে অত কাবিলি আমরা এখনও হতে পারিনি।
ফরাসী রাষ্ট্রপতির বিশেষ দূত মাহতাঁ ইর্শ আমাদের কায়কারবার দেখে গোটা ফরাসি জাতির হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে গেছেন। আলেকজান্ডারের পর আর কেউ এইভাবে বিস্মিত হতে পারেনি। ইর্শের সেলুকাস নেই বলে তিনি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেই যা বলার বলে গেছেন [১]।
[justify]
গেরিলা, হেহ! হাফমিদুল হাসে মিটিমিটি।
কাজটা মার্চ মাসে যতটা কঠিন ছিলো, এপ্রিলে এসে ততটাই সহজ হয়ে গেছে। কত সব ঘটনা ঘটে চলছে চারপাশে, মানুষের ছোট্ট স্মৃতি কতটুকু আর আগলে রাখতে পারে? যতই দিন যাচ্ছে, আসল কথা ভুলে যাচ্ছে লোকে। এখন প্রোপাগাণ্ডা মেশিনে স্টার্ট দিতে হবে, মনে মনে ভাবে হাফমিদুল হক। মেহেরযৌবন নিষিদ্ধ কেন কর্তৃপক্ষ জবাব চাই!
গত কয়েক মাস ধরেই ডকুমেন্টারি দেখছি কাজের ফাঁকে বের করা সময়টুকুতে। নানা বিচিত্র সব বিষয়ের ওপর বিচিত্রতর তথ্যচিত্র তৈরি হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে, দুষ্টমতি লোকেরা কপিরাইটের তোয়াক্কা না করে সেগুলো ইন্টারনেটের নানা অন্দরেকন্দরে আপলোড করে রেখেছে। এই পোস্টটিও তেমনি কয়েকটি ডকুমেন্টারির প্রতিক্রিয়া।
[justify]
টয়লেটের খোলা দরজা গলে হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে শুভ্রদার চিৎকার। শুনতে পাই, "কাশেম! অ্যাই কাশেম! অ্যাই কাশেমের বাচ্চা! আইকার কৌটাটা কই রাক্সস?"
[justify]
পাঁচটি বিচারকাণ্ড পরবর্তী ঘটনা নিয়ে আমার এই পোস্ট। বিচারকাণ্ড নিয়ে আমার কোনো মতামত নেই, সেটি আইনজ্ঞদের বিবেচ্য বিষয়। ঘটনাগুলো সাম্প্রতিক অথবা নিকট অতীতের। তবে চেষ্টা করলে তাদের এক সুতোয় গাঁথা সম্ভব।
আয়ারল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের সিদ্ধান্ত নিয়ে মনের মধ্যে একটা খচখচানি ভাব রয়ে গেছে আমার। ছোট্টো একটা জরিপ দিতে চাই এ নিয়ে কিছু লেখার আগে। পাঠকের প্রতি অনুরোধ, জরিপে অংশ নিন আর অন্যকেও অংশ নিতে বলুন। ধন্যবাদ।
[justify]
[justify]
ক্রিকেট সাহেবদের খেলা। ওনারা টপাটপ এদেশ ওদেশ জয় করেছেন, তারপর নীল-তামাক-চা-আখ চাষ করিয়েছেন, পান থেকে চুন খসলে চাবকে পেছনের চামড়া লাল করেছেন, কিংবা তুলেই নিয়েছেন, আর ধাওয়ার মুখে চলে যাবার সময় পেছনে ফেলে রেখে গেছেন ক্যাট-ব্যাট-ওয়াটার-ডগ-ফিশ, ফুলপ্যান্ট আর হাফশার্ট, সকল অপরাধের দায়মুক্তিদাতা অমোঘ "সরি", রেললাইন, পোস্টেজ স্ট্যাম্প আর ক্রিকেট।