[justify]
আলুপেপারের ইন-হাউস "জাতির বিবেক" জনৈক বিচারপতি বাজিকরতত্ত্ব নিয়ে ইদানীং আবারও মাঠে নেমেছেন, আলুর ছোটো-মেজ-বড় সাংবাদিকেরা বাজিকর বাজিকর বলতে বলতে কীবোর্ডে ফেনা তুলে ফেলছে, কিন্তু মিডিয়াবাজি নিয়ে সকলেই নিশ্চুপ। আজ আয়ারল্যাণ্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ দলকে দেখে মিডিয়াবাজির কুফল সম্পর্কে আমাদের ক্রিকেটদর্শকরা অন্তত নিঃসন্দেহ হতে পারবেন।
[justify]
এই লেখার শুরুতে যেটা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, আমিও উৎপল শুভ্রের মতোই ক্রিকেটমূর্খ। খেলাটা দেখি, উপভোগ করি, কিন্তু একটা ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেনসি করার যোগ্যতা আমার নাই।
তবে লিডারশিপ আর মিডিয়া প্রেশার নিয়ে আমার ধারণাটা ক্রিকেটজ্ঞানের চেয়ে স্বচ্ছ। উৎপল শুভ্রের মতোই।
[justify]
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ এর আসর বাংলাদেশে, সারা জাতিকে ক্রিকেটজ্বরে আচ্ছন্ন করে শুরু হতে যাচ্ছে আর তিনদিন পর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তাসহ নানা আয়োজনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করে এনেছে। দেশ থেকে দূরে বসে সব ধরনের ঝামেলামুক্ত নির্ভেজাল ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্যে আমিও উন্মুখ হয়ে আছি।
রমণ সুমহান বেজায় বিরক্ত হন। ফাকমিদুলকে ইদানীং আর সহ্য হচ্ছে না তার। নির্বোধ লোকের সঙ্গ তিনি অপছন্দ করেন না, কিন্তু সেই নির্বোধ যদি তার প্রাপ্য থেকে তাকে বঞ্চিত করে, তার ওপর চটবার বৈধ কারণ তৈরি হয় বই কি। ফাকমিদুলকে পশ্চাদ্দেশে একটা লাথি মেরে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দিতে ইচ্ছা করে তার, কিন্তু জীবনের সায়াহ্নে এসে তিনি বুঝতে শিখেছেন, ক্রোধ তার মহত্তম অবস্থানে পৌঁছায় সংবৃত হয়ে। তিনি মনের একটি কুঠুরি খুলে একটা চেরাগ বার করেন, তারপর রাগের দৈত্যটাকে পুরে ফেলেন তার ভেতর। ফাকমিদুলের পশ্চাদ্দেশে কোনো কিছুই এখন করতে যাওয়া সমীচীন হবে না। এখন মিত্রতার সময়।
কিন্তু ফাকমিদুল কাজটা কঠিন করে তোলে মুহুর্মুহু! "ঐ যে আরেকটা পাখি! কাকপাখি!"
১.
হেরিং মাছটা সস্তায় পাওয়া যায় কৌটায়। মাঝেমধ্যে টাকাপয়সার টানাটানি থাকলে দরিদ্র ছাত্রদের জন্যে কৌটাবন্দী হেরিং, টুনা, ম্যাকেরেল আর সার্ডিন ভরসা। কৌটার হেরিঙের জাতপাত কিংবা গায়ের রং বিচার করা সম্ভব নয়। কিন্তু লাল-হেরিঙের মাহাত্ম্য অন্য জায়গায়। বেশি কষ্ট করলাম না, জ্ঞানের বাটখারাদের মতো গুগল মেরে উইকিপিডিয়ার ভুক্তির প্রথম প্যারাটা তুলে দিচ্ছি।
[justify]
এই ব্রিসবেনেও তামিল গুণ্ডাদের অত্যাচার!
[justify]
বুদ্ধিজিগোলো কথাটা ব্যবহার করার সমস্যা হচ্ছে, ট্যাটনারা এসে ত্যানা প্যাঁচাবে। জিগোলো হওয়া কি খারাপ? নিজের শরীরের বিনিময়ে কাউকে যৌন আনন্দ দেয়া কি খারাপ? কিংবা আমি কি জিগোলোদের ডাইনিশিকার করতে চাই? এর আগে একবার কতিপয় আত্মবিস্মৃত ব্যক্তিকে সাহিত্যবেশ্যা বলায় কিছু ট্যাটনা এসে বেশ্যাদের দুঃখে কেঁদে মাটিতে গড়াগড়ি শুরু করেছিলো। হায় হায়, বেশ্যাদের গালি দেয়া হচ্ছে। সমাস বলে যে একটি ব্যাপার রয়েছে, সেই ব্যাপারটি তারা স্বীকার করতে নারাজ। মৃগ আর শাখামৃগ কদাপি এক নয়, যেমন নয় বেশ্যা আর সাহিত্যবেশ্যা, জিগোলো আর বুদ্ধিজিগোলো। বেশ্যা বা জিগোলোদের প্রতি আমার বাড়তি কোনো অনুরাগ বা বিরাগ নেই, যেমন নেই অ্যালুমিনিয়াম কারখানার ঢালাই মিস্ত্রি কিংবা রেস্তোরাঁর বাবুর্চিদের প্রতি। তবে সাহিত্যবেশ্যাদের ভালো পাই না। আরো খারাপ পাই বুদ্ধিজিগোলোদের।
[justify]
১.
প্রথম আলোতে "মেহেরজান" চলচ্চিত্রের পরিচালিকা রুবাইয়াত হোসেন একটি আর্টিকেল লিখেছেন, "মেহেরজান যা বলতে চেয়েছে" শিরোনামে। আমি মেহেরজান চলচ্চিত্রটি দেখার সুযোগ পাইনি, কিন্তু রুবাইয়াতের আর্টিকেলের পিচ্ছিল দিকগুলো পড়ে সেগুলো নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
রুবাইয়াত লিখেছেন,
[justify]
কয়েকদিন আগে খবরে পড়লাম [১], কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার মারাত্মক উৎপাতে মোট চারটি সমস্যা দেখা দিয়েছে।
[justify]
১.
দালজিৎ সিং একটু থতমত খেয়ে যায় ভাণ্ডারি রামের ধমক খেয়ে।
"মোটর সাইকেলে স্টার্ট মার শালা বুড়বাক!" ভাণ্ডারি রাম দাঁত খিঁচিয়ে ধমকায়।
দালজিৎ আমতা আমতা করে তবুও। "কিন্তু বিশুর কেসটার কী হবে সাব?"
ভাণ্ডারি রাম পিচিক করে থুথু ফেলে মাটিতে। নেপাল বর্ডার থেকে বদলি হয়ে আসা প্রত্যেকটা চ্যাংড়াই এখানে এসে ত্যাড়ামি শুরু করে। ভাণ্ডারি রাম বহুবছর ধরে এদিকে আছে, দালজিতের মতো বহু বাঁকা লাঠিকে সোজা করে ছেড়েছে সে।
"এই নিয়ে দুইবার তুই আমার মুখে মুখে কথা বললি।" নিচু গলায় বলে ভাণ্ডারি। "আমি এইসব পছন্দ করি না। বুঝলি?"