[justify]
১.
অলিম্পিয়া পার্কের অদূরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নানা ধ্বংসস্তুপের ওপর মাটি ভরাট করে তৈরি হয় একটি কৃত্রিম টিলা। সেটার আধাআধি ওপর থেকে মিউনিখের অলিম্পিয়াটুর্মের ছবি।
২.
অলিম্পিয়াপার্কের উল্টোপ্রান্ত থেকে তোলা।
৩.
অষ্টমীর দিন হানা দিয়েছিলাম বাংলাদেশীদের একটি মণ্ডপে। প্রতিমার কয়েকটি ছবির একটি।
৪.
পূর্ণাঙ্গ।
৫.
লক্ষ্মী, যার সাথে আজও ভাব হয়ে ওঠেন...
[justify]
আমি খুব সংকোচ আর সংশয় নিয়ে একটা উপন্যাস লেখায় হাত দিয়েছি। কাজটা শুরু করে মনে হয়েছে, রবাহূতের মতো অনধিকার প্রবেশ করছি কোনো গম্ভীর অট্টালিকায়। ওখানে আমাকে মানায় না।
আমার দৌড় যে ছোটগল্প পর্যন্ত, সে-ও আমি অনুভব করি। ঐ উপন্যাস লিখতে বসে আমার মাথায় গল্প ঘোরে। তাদের শাসন করতে যেয়ে আমার উপন্যাস আর বাড়ে না। রুগ্ন শিশুর মতো সে পড়ে আছে আমার খসড়া খাতার বারান্দায়, নিচে মাঠে হাসছে খেলছে ...
[justify]আরিফ ঢোকে টলোমলো পায়ে। চোখে বিহ্বল দৃষ্টি, এক কোণে যে ছোটো টেবিলে আমরা বসে আছি, তা-ও যেন তার চোখে পড়ে না।
"মাক্ষি!" কামরুল দরাজ গলায় হাঁক ছাড়ে। পাশের টেবিলে বসা আহ্লাদী চেহারার মেয়েটা, আর তার মুশকো বয়ফ্রেন্ড ঘাবড়ে যায় কামরুলের নব্বই ডেসিবেল গর্জন শুনে। আরিফ ঘুমন্ত মানুষের মতো ঘাড় ফেরায়।
হাতছানি দিই আমরা।
টেবিল পর্যন্ত হেঁটে পৌঁছাতে গিয়ে একবার এক ওয়েটারের সাথে ধাক্কা খায় আ...
[justify]
প্রচণ্ড টেনশন আর ব্যস্ততা থাকলে মাঝেমধ্যে ঢিল দিতে ইচ্ছা করে। ওরকম একটা ঢিল দিয়ে বসে আছি, এরপর আবার নাট ঘুরিয়ে তারে টাইট দেবো। শেষ পর্যন্ত হয়তো সিদ্ধার্থের মঝ্যিম পন্থাই অবলম্বন করতে হবে।
গিয়েছিলাম মিউনিখে, অক্টোবরফেস্টে, অগ্রজপ্রতিম তীরন্দাজের আতিথ্য বরণ করে। সেই আতিথ্য আবার শটগান আতিথ্য, তীরুদার হাজারটা কাজের ব্যস্ততা, আমরা এদিক দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করে মনে পড়লো, আচ্ছ...
[justify]
নজমুল আলবাব লুক্টাকে আমি ঠিক ভালু পাই না। সেই সামুযুগ থিকাই কেমুন কেমুন যেন লাগে তাকে। সাম্নাসাম্নি মুলাকাতের সুযোগ ঘটে নাই, নাহলে লুক্টা কত বড় পগেয়া পাজি, সেটা নিরূপণের আরো সরেস সুযোগ মিলতো। কিন্তু মোটা দাগের মাপে বলতে হয়, লুক্টা সুবিধার্না।
গুটক (অর্থাৎ গুগলটক, পৃথিবীর অন্যান্য মহৎ জিনিসের মতো গুগলের শুরুটাও গু দিয়ে)-এ এই দুরাচার আলবাবে...
[justify]
ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে আবোলতাবোল হাবিজাবি লিখি। মাঝেমধ্যে দুয়েক্টা লাইক মারে দুয়েকজন। ভাব্লাম দুয়েক্টা তুলে দিই সচলে। কোনো জ্ঞানের কথা নাই। নেহায়েত ভাবনার ছিটমহল। লীলেন্দার কমকথার পোস্টের আব্দার প্রসঙ্গে এইগুলান জড়ো করার আইডিয়া মাথায় এলো।
[justify]
ভ্যাপসা গরম। বাস বোঝাই মানুষ। এক ফোঁটা বাতাস নেই। বাসটা নড়ছে না একচুল গত কুড়ি মিনিট ধরে। কিংবা মাঝে এক চুল নড়েছিলো, সগীরের ভ্যাদর ভ্যাদর ভ্যাদরের জ্বালায় টের পাইনি।
কত যে বকতে পারে সগীর! হেন বিষয় নাই, যা নিয়ে সে পঞ্চাশ মিনিট আগে মতিঝিল থেকে একসাথে বাসের টিকিট কাটার পর থেকে বকে যাচ্ছে না। সারাদিন অফিস করার পর এত কথা বলার এনার্জি পায় কোথায় সগীর?
আর কী কাকতাল, সগীর এনার্জি নিয়ে ...
[justify]
বিরিয়ানির মশলা দিয়ে তেহারি রান্না করি এখানে। মশলাটা পাকিস্তানী, ব্যাপারটা আমার পছন্দ না। রাঁধুনির দেশী মশলা কদাচিৎ মেলে এখানে, কোনো ডিলার নেই বলে আফগান দোকানি ঠিকমতো আনতে পারে না। বাঙালির ব্যবসাবুদ্ধি নেই, বিড়বিড় করি।
ঠিক করলাম, বিরিয়ানির মশলার কম্পোজিশনটা জেনে নিই আম্মাকে ফোন করে। দারচিনি, এলাচি, গোলমরিচ, জায়ফল-জয়িত্রী, পোস্তদানা, আলুবোখারা, তেজপাতা, জিরা ... এসবই তো?
ফোন...
[justify]
কাসেল শহরের ল্যান্ডমার্ক হচ্ছে এর প্রাচীন দুর্গ হেরকুলেস। গ্রীক অতিমানব হেরাক্লেস এর টিউটোনিক উচ্চারণ হেরকুলেস। কাসেল শহরের নামই এসেছে এই দুর্গের ল্যাটিন নাম থেকে। কেউ কাসেলে বেড়াতে এলে এখানটা হয়ে যান।
হেরকুলেস একটা বেশ উঁচু পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় তৈরি করা। নিচে তাকালে চোখে পড়ে দু'টি প্রাসাদ, আর বিস্তৃত কাসেল শহর। কাসেলের বুক চিরে একেবারে সোজা একটি রাস্তা আছে, ভিলহেল্...