[justify]আমার ভাষাপ্রীতির ইতিহাস নিয়ে অযথা প্যাঁচাবো না ভেবেছিলাম, কিন্তু একটু বলতে হচ্ছেই। মাতৃভাষা বাদে অন্য ভাষার প্রতি আমার একটা সহজাত টান সবসময় কাজ করে। ইংরেজি ভাষাটা লেখাপড়ার মধ্যে এত বিশ্রীভাবে গুঁজে দেয়া যে টিনটিন না থাকলে হয়তো আমি ভাষাটার প্রতি একটা বিতৃষ্ণা আরো দীর্ঘদিন অনুভব করতাম। বিটিভির চমৎকার সব সিরিয়াল আর বৃহস্পতিবারের মুভি অব দ্য উইকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক...
দ্য সেলফিশ জিন দিয়ে রিচার্ড ডকিন্সের পাঠ শুরু করেছিলাম। টিঙটিঙে একটা বইয়ের ভেতর এতখানি বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো আমার পাতা উল্টে যাবার জন্যে, বুঝিনি। ডকিন্স খুব মৃদু কণ্ঠে যেন বিরাট এক গর্জন করে গেলেন আমার মনের ভেতর। বিবর্তনের অস...
একেবারে দুষ্ট জিনিস। ছোটদের দেখা বারণ।
ম্যাড়ম্যাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে, ভাল্লাগছে না কিছু। তাই লেখার বদলে দেখা।
...বিজ্ঞাপনের জন্য কাহিনী লেখার আগ্রহ মাঝে মাঝে কাজ করে। টিভি দেখা কম হয় আমার, এখন তো দেখার সুযোগই নেই, যখন দেখতাম তখন দ্রষ্টব্যের তালিকায় বিজ্ঞাপনগুলিই বেশি চলে আসে। হিন্দিভাষী ভারতীয় চ্যানেলগুলিতে জঘন্য সব সোপ অপেরার ফাঁকে [ফাঁ...
[justify]
জার্মানির বাড়িঘরগুলি কমবেশি একই রকম। টালির ছাদ, চারতালা বা পাঁচতালা বাড়ি, বেসমেন্টে কাপড় ধোয়াশুকানোর জায়গা। ছাত্রাবাসগুলিতে গড়ে বর্গমিটার পিছু সবশুদ্ধু ভাড়া পড়ে তেরো ইউরোর কিছু বেশি।
পরে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন খুঁটিয়ে দেখলাম। কয়েকজন মিলে একসাথে বাস করার ব্যাপারটা এখানে ভেগে (ভোওনগেমাইনশাফট) নামে পরিচিত। কোন অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিলে আগে থেকে জানিয়ে দিতে হয় যে ভেগে হি...
ইউটিউবের ওপর আমার দখল খুবই সীমিত ছিলো কিছুদিন আগেও, ইন্টারনেটে তথ্যপ্রবাহের শ্লথগতির কারণে। আপাতত সে সীমাবদ্ধতা থেকে কিছুটা মুক্তি মিলেছে, তাই ইউটিউবের বিভিন্ন ক্লিপ দেখতে পারছি, শেয়ারও করতে চাইছি সচলদের সাথে।
এই ক্লিপটি দ...
[justify]
কাসেলে এখন হের্বস্ট, শরৎহেমন্তের সংকর ঋতু যাকে বলে। টিপটিপ থেকে শুরু করে বেশ পৃথুলা বৃষ্টি হচ্ছে, আবার ঝকঝকে মিষ্টি রোদও উঠছে। তাপমাত্রা ভোরে আর রাতে নয়দশে নেমে আসে, দিনের বেলা ষোলর আশেপাশে ঘোরাফেরা করে। তাপমাত্রা ষোড়শী থাকলে হাঁটাহাঁটির একটা জোশ পাওয়া যায়, আর ছুটির দিনে এমন আবহাওয়া পেলে এক পশলা ক্রিকেট হয়ে যায়। কাসেলে বাঙালিরাই ক্রিকেটার, নম্রভাষী দুয়েকজন ভারতীয় মাঝে মা...
[justify]মিতুন খুব খুঁতখুঁতে মেয়ে। সে সব কিছুতে শুধু ভুল ধরে।
মিতুন বড় জেদি। কোনকিছুতে জেদ চেপে গেলে সে আর হাল ছাড়ে না।
মিতুনদের বাড়িতে কাজ করতে এসেছে দুলি। দুলি আগে কখনো শহরে আসেনি। এই প্রথম সে গ্রাম থেকে এসেছে। তার কথায়, চেহারায়, শরীরে তার ফেলে আসা গ্রাম কুসুমপুরের ছবি এখনো দেখা যায়।
দুলির বয়স মিতুনের চেয়ে সামান্য বেশি। কিন্তু দুলি রান্না করতে পারে। মিতুন পারে না।
মিতুন কিন্ত...
[justify]লুলুদের বাড়ির পাশে একটা মস্তবড় একতলা বাড়ি আছে, যার ছাদ টিনের। সেই বাড়িটাতে বাস করে বদমেজাজী মোমবাতি দাদু। মোমবাতি দাদুর নাম মোটেও মোমবাতি নয়, কিন্তু তিনি খুব ফর্সা, আর খুব রোগা, আর সবসময় ধবধবে সাদা লুঙ্গি আর কুর্তা পরে থাকেন বলে সবাই তাঁকে আড়ালে মোমবাতি সাহেব ডাকে। কে যেন একবার সামনাসামনি মোমবাতি ডেকে ফেলেছিলো, আর মোমবাতি দাদু ভীষণ রেগে একটা ছড়ি হাতে নিয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন পেটা...
[justify]তোমরা কি কেউ ছোটনের আলোদাদুর ঘরে উঁকি দিয়ে দেখেছো কখনো?
দেখোনি?
কিভাবে দেখবে, ছোটনের আলোদাদু তো আর তোমাদের চিলেকোঠায় থাকেন না। তোমরা তো ছোটনদের বাড়ির ছাদে খেলতেও আসো না। সেখানে শুধু ছোটন আর ছোটনের বন্ধু মিনি খেলা করে।
এখন হালকা শীত পড়ে গেছে। ছোটনকে সন্ধ্যাবেলা হাফ সোয়েটার পরতে হয়। মিনিও একটা সোয়েটার পরে আসে। ছাদের ওপর চুন দিয়ে ব্যাডমিন্টনের কোর্ট কাটা, সেখানে সবসময় নেট ...