হিমু এর ব্লগ

স্টলের নাম্বারটা যেন কতো? বাহান্ন? নাকি তেপ্পান্ন?

দরজাটা খুলে যাওয়ার পর ওপাশে আমার গোমড়ামুখো পড়শী ফদলুর রহমানকে দেখে আমার কেন যেন ভালো লাগে না।

১৮ দলীয় জোটে বিম্পি আর জামাত ছাড়া বাকি দলগুলোকে পাবলিক দুধভাতই মনে করে। তাই পাবলিকের জবানে ঘুরে ফিরে এদের বিম্পি-জামাত জোটই বলা হয়। এতে করে একটা জিনিস বোঝা যায়, বিম্পি আর জামাত পাবলিকের চেতনায় এখনও দু'টি পৃথক সত্ত্বা, কার্যত তারা কতটুকু ভিন্ন, সে আরেক তর্ক।

ডাগরতাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হায়াত মণ্ডল খুব আরাম করে ঘুমাচ্ছিলেন।

আমাদের দেশে সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে বীরত্বের জন্যে খেতাব প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর বীরত্বের জন্যে ভূষিত করতে চারটি খেতাব প্রচলন করা হয়েছিলো। বীর শ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক, এই চারটি খেতাবে সামরিক ও বেসামরিক, উভয় প্রকার মুক্তিযোদ্ধারা ভূষিত হন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বীরত্বের জন্য সামরিক বাহিনীতে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করার নজির রয়েছে। খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তি

ইস্কাটন থেকে পাক মোটর সামান্য পায়ে হাঁটা রাস্তা, তবুও আনিসুল হাইয়ের ভয় লাগে। যদি কিছু হয়?

জুন মাস নাগাদ এসে ছাত্রলীগের গুণ্ডাপাণ্ডারা সেনাবাহিনীর মার খেয়ে অবশ্য অনেকটাই ঠাণ্ডা হয়ে গেছে, কদাচিৎ সীমান্তবর্তী এলাকায় কিছু দুমদাম ঠুশঠাশের উড়ো খবর কানে আসে কেবল। ঢাকায় দমবন্ধকরা পরিস্থিতি খুব মন্থর গতিতে আবার স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে।

[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে নিয়ে কয়েকটা দিন প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে। এই গল্পে খোবরাগাড়ে প্রাসঙ্গিক নন। তার নামটা অপ্রচলিত বলে সামান্য বদলে নিয়ে নতুন একটা শব্দ কয়েন করলাম, খুব-রগুড়ে। অর্থাৎ, অনেক রগড় ঘটায় যা, বা রগড় ঘটান যিনি। রগড়ের অর্থের মধ্যে কৌতুক, ঘর্ষণ, পেষণ, ইত্যাদি যেমন আছে, তেমনি আছে ঢাকের কাঠির আওয়াজ।]

বড় বড় খবরের কাগজের বড় বড় সম্পাদকেরা সম্পাদকীয় পর্ষদে আলোচনা করেন ব্যাপারটা নিয়ে। বড় বড় টেবিলের এপারে ওপারে বড় বড় সাংবাদিকেরা ঘটনার সব চুল এক এক করে ছেঁড়েন, তারপর চেরেন। ছোটো ছোটো পিয়নেরা মাঝারি আকৃতির ট্রেতে করে কয়েক দফা ছোটো ছোটো কাপে চা আর ছোটো ছোটো পিরিচে কেক-বিস্কুট দিয়ে যায়। মোটামুটি বড় বড় মিটিং রুমের বাতাসে বড় বড় গোল গোল শব্দ ইতস্তত ভেসে বেড়ায়।

আমরা অনেকেই হয়তো ভাবি, যা কিছু বহু মানুষের চোখের সামনে ঘটে গেছে, তা বিকৃতির স্পর্শ এড়িয়ে ভাবীকালের মানুষের জন্যে একটি বিবৃতি হয়ে টিকে থাকবে। যা কিছু চাক্ষুষ, যা কিছু স্পষ্ট, যা কিছু প্রত্যক্ষ, তা কীভাবে পাল্টাতে পারে? এক নিশ্চিন্ত বিশ্বাসে আমরা আমাদের দেখা সময়কে অর্পণ করে দিই কনিষ্ঠদের হাতে। তারা কি আমাদের চোখ দিয়েই সে সময়কে দেখতে পায়?

মানবাধিকারবার ঘটনাটা আজকাল ছোঁয়াচে
এতদিন করে যেতো শুধু হিউম্যান রাইটস ওয়াচে
অ্যামনেস্টিও মাঝে মাঝে বলে যেতো, এ কী কচ্ছো?
না না ভাই, তোমাদের বিচার তো অতীব অনচ্ছ!

চুপচাপ শুনে গিয়ে, যতোবার বলা হয় বুঝিয়ে
মানবাধিকারবারি জল ঘোলা করে আরো উজিয়ে।