আমি মাঝে মাঝে এই ঘিঞ্জি শহরটাতে ডুবতে থাকি। খড়কুটো খুঁজতে থাকি ডুবতে ডুবতে। আমার ভেতর থেকে সব শ্বাস বেরিয়ে আসে, পালিয়ে যেতে চায় জাহাজের নেমকহারাম ইঁদুরের মত। চারিপাশে মানুষের মুখ ঢেউয়ের মতো নির্লিপ্ত নির্মম হয়ে এসে ঢেকে ফেলে আমাকে। আমি হাত তুলে খুঁজি কাকে যেন, প্রার্থনা করি কার কাছে যেন, ডুবে যাবার আগে এ শহরটা আমাকে, শুধু আমাকে একবার দাও।
এসএমমাহবুবমুর্শেদ-অরূপকামাল জুটির পর অভ্র কীবোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে হয় আমার বাংলা ব্লগিং সহজ করে দেবার জন্য। যদিও এখন এখানে লিখছি খুব সহজে, সামহোয়্যারেও লিখি বেশ সহজে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভ্র ছাড়া একটু মুশকিল হয়ে যায়।
সামহোয়্যারে ব্লগিং করে করে আমাদের একটা কাঠামোগত ক্ষীণদৃষ্টি তৈরি হয়েছে বোধহয়। ঘুরে ফিরে আমরা বোধহয় সামহোয়্যার ইনকে বেঞ্চমার্ক ধরে সচলায়তনের পরিবেশের উপাদানগুলি দাঁড় করাতে চাইছি।
যদি তা-ই হয়ে থাকে, একটু সরে আসি আমরা এই পথ থেকে। সৃজনশীলতাকে উসকে দিই। এমন কিছুর কথা ভাবি যা হয়তো কোত্থাও আগে ছিলো না।
জেবতিক আরিফ মূলত একটা পোস্টে এই ভাবনা উসকে দিয়েছেন। সচলায়তনের এই একটা ব্যাপার আশা করি আমাদের আরো উপকারে আসবে। সামহোয়্যারে উঠতে বসতে ছাগু তাড়ানোর জন্য সময় দিতে হতো, রিসোর্স ব্যয় হতো, সচলায়তনে কিছু আলাদা ভাবনার সময় ও সুযোগ ব্লগারুরা নিজেরাই করে নিতে পারবেন।
সামহোয়্যার ইনে অনেকদিন ব্লগালাম। তার আগেও অনেকদিন ব্লগিয়েছি। কিন্তু কোন কার্টুনিস্ট ব্লগার পেলাম না।
এত রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেও কোন পলিটিক্যাল কার্টুনিস্ট বেরিয়ে এলো না ব্লগে।
এ বড় দুঃখজনক।
সচলায়তনে কার্টুন চাই।
মারাত্মক ঠান্ডা লেগে গেছে। গতকাল একটা রিইউনিয়ন গোছের অনুষ্ঠান চিলো। ফেরার পথে শুরু হল হাঁচি।
(এইটুক লেখার পর যেটা মনে হচ্ছে, সেটা হলো "বডি"তে ফন্টের সাইজ কোনভাবে বাড়িয়ে দেখাতে হবে। অ্যাডমিন বাবাজী নজর দাও এদিকে।)
প্রিয় ব্লগারুদল,
লিখুন কোন মহত্তর লেখা। নিজের কাছে প্রিয় কোন পোস্টকে ড্রাফট করে রাখুন সচলায়তনের শুভসূচনার লগ্নের জন্য। আপাতত বিটা টেস্টিং চলতে থাকুক।
ধন্যবাদ।
সচলায়তনের সচলীকরণে আমি উৎফুল্ল। কিন্তু আমাদের যেতে হবে আরো অনেক পথ। আমি যা বুঝতে পারছি, একা অরূপকে গোটা ডিজাইনের কাজ করতে হলে প্রচন্ড চাপ পড়বে, অথবা অনেক সময় লাগবে একটা স্ট্যান্ডার্ড চেহারায় পৌঁছতে।