লন্ডনে তুর্কি দুতাবাসের সামনে ২১ সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচী ও স্মারকলিপি প্রদান বাংলাদেশে চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার কার্যক্রমের সহায়ক শক্তি হিসেবে ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ১৩ সংগঠনের আন্তর্জাতিক জোট "ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম" (আইসিএসএফ) এর আহ্বানে আজ ১৬ জানুয়ারী ২০১৩ লন্ডনে তুর্কী দূতাবাসের সামনে মুক্তিযুদ্ধ এবং বিচারের পক্ষের ২১ সংগঠনের এক সম্মিলিত প্রতি
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর পক্ষ থেকে আমরা গভীর দুঃখ এবং ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছি যে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির চক্রটি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করার একটি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা অপরাধমূলকভাবে লঙ্ঘন করে কিছু ব্যক্তিগত কথপোকথন এবং ইমেইল হ্যাকিং করে এবং তা বিভিন্নভাবে বিকৃত করে দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে ছড়াতে শুরু করেছে। নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চিহ্নিত এই চক্রটি নানান রকম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা খুবই উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে এই বিভ্রান্তি প্রগতিশীল সংগঠনগুলির ভেতরেও ধীরে ধীরে তারা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে। পারষ্পরিক অবিশ্বাস এবং ভিত্তিহীন কাদা ছোঁড়াছুড়ির এই পরিবেশের সম্ভাব্য ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি - অবশ্যম্ভাবীভাবে এই ঘটনার মূল সুবিধাভোগী (beneficiary) এবং আসল অপরাধীর (অর্থাৎ স্বাধীনতাবিরোধী জামাত শিবির চক্রের) ওপর থেকে সবার মনযোগ সরে যাচ্ছে, যা তাদের এই গুরু অপরাধের দায়ভার থেকে পার পেয়ে যাওয়ার পথ উম্মোচিত করছে; হ্যাকিং ঘটনার প্রকৃত তদন্ত তার সঠিক দিকনির্দেশনা হারানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে; স্বাধীনতার পক্ষের সক্রিয় সংগঠনগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের বীজ বপনের মাধ্যমে স্থায়ী বিভেদ সৃষ্টির পরিবেশ তৈরী হচ্ছে যা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বৃহত্তর আন্দোলনেরই ক্ষতি করতে পারে।
গ্রিনিচ মান সময় সন্ধ্যা ছয়টায় লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারার্থে গঠিত ট্রাইব্যুনালের আদ্যোপান্ত নিয়ে উপস্থাপনা।
এই লিঙ্কে গেলে অনলাইনে স্ট্রিম করে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে।
সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ। ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু থেকেই নানা ধরণের শত্রুর মোকাবেলা করে কাজ করছে। দেশে এবং বিদেশে, মিডিয়ায় অথবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচারণা, ট্রাইবুনালের ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা, ট্রাইবুনালের কাজকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা।
নেদারল্যান্ডস-এর হেগ শহরে গত ২১ নভেম্বর রোম সংবিধি-এর আওতাধীন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)-এর রাষ্ট্রপক্ষসমূহের সম্মেলনের (Assembly of States Parties) অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)-এর ওপর বিশেষ একটি অধিবেশন আয়োজিত হয়।
আইসিএসএফ: পাক্ষিক অনলাইন কর্মশালা সিরিজ!! (২য় পর্ব)
[স্কাইপ : ৩ নভেম্বর ২০১২, বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা থেকে]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❖ এই পর্বের নির্ধারিত আলোচ্যসূচী:
---------------------------------------
☛ ট্রাইবুনালের সাক্ষী সংক্রান্ত বিষয়গুলো, যেমন:
-- ✔ সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিধান
-- ✔ সাক্ষীদের মান
-- ✔ সাক্ষীদের ভয়ভীতি, লোভ এবং হয়রানীর ঘটনাসমূহ
[i]আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট জেয়াদ-আল-মালুম সম্প্রতি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েকজন সম্মানিত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সামনে একাত্তরের মানবতা বিরোধী বিচার সংক্রান্ত কর্মকান্ড নিয়ে একটি বক্তব্য পেশ করেন। তার বক্তব্যে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কিভাবে তদন্ত ও বিচারের উন্নত মানদন্ডের নীতিসমুহ পূঙ্খানুপূঙ্খ অনুসরণ করে তা বর্ণনা করেন। আইসিএসএফ এর অনুবাদ টিম ইংরেজিত