(গত তিন-চারটে ব্লগের সময় হিসাব করে দেখলাম, গড়ে বছর দেড়েকে একটা করে ব্লগ লিখতেছি। ভালই। বছর দেড়েকের জন্য আরেকটা দিই )
১.
গ্যাব্রিয়েলে রাঙ্কোর সাথে আমার দেখা Yahoo বার্সেলোনা রিসার্চ ল্যাবসে।
রিসার্চ ইন্টার্ণ হিসেবে Yahoo তে মাত্র গিয়েছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ইউজারের ওয়েব-স্কেল ডাটা ওদের জমা করা আছে। এরকম একটা ডাটা Yahoo Answers নিয়ে কাজ করব। কিন্তু কি কাজ করব কিছু জানি না।
যে পৃথিবী না-মানুষের
সেই পৃথিবীতে বাঁচি দিন শেষে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা শকুন ঘোরে হাওয়ায়
আধুনিক গেরস্তের ঘরে ঢুকে খেয়ে যায় হৃদয়-
কিছুই হয়নি ভেবে নির্লিপ্ততা গ্রাস করে
ধারহীন নেইলকাটারে নখ কাটি-
ইউটিউব খেতে থাকি চা-সিগ্রেটের সাথে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা-
একটা মানুষ একটু একটু করে মরে যায়।
হে ইসরায়েল,
হে পৃথিবীর জারজ সন্তান
তোমায় বলছি শোন-
বুঝেছ কিসের ব্যথা দিয়ে গেলে পিতাকে
শিশুর রক্তে ভিজে যায় হাত
শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে হৃপিণ্ড।
তোমার একেকটা বুলেট
একেকটা মর্টার
একেটা ক্ষেপণাস্ত্র
একেকটা মৃত্যুর গান হয়ে ঝড়ে পড়ে প্যালেষ্টাইনের বাতাসে।
হে ইসরায়েল,
তোমার জন্মান্ধ চোখ জুড়ে রক্ত
শিশু, কিশোর আর যুবকের রক্ত
[justify]
১.
পয়লা এপ্রিল এগারো সাল। রোজ শুক্রবার। খোশ মেজাজে অফিসে গিয়েছি। রাত আড়াইটার ফ্লাইটে ভারতে যাচ্ছি। দেশের বাহিরে প্রথম কোথাও যাওয়া, ভাল না লাগার কোন কারন নেই। ভারতের সর্বদক্ষিণবিন্দু কণ্যাকুমারিতে কনফারেন্সে গিয়ে একটা পেপার পড়ব, এই হল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। কিন্তু শুধু একটা পেপার পড়ে দেশে ফেরত আসার লোক আমি না। অফিস পেপার রেজিস্ট্রেশনের শ'চারেক ডলার দিয়েছে, যাতায়াতের একটা সিংহভাগ দেবে, সাথে দিন সতেরো ছুটি তো আছেই। এত সব পেয়ে শুধু একা যাব বলে একটু এদিক সেদিক ঘুরব না, এটা তো কোন কাজের কথা না। আমি অকাজের লোক হতে পারি কিন্তু অতটা না। ভারতের পু্র্ব থেকে দক্ষিণ, দক্ষিণ থেকে উত্তর এবং উত্তর থেকে আবার পূর্বে ফেরার জন্য তাই প্লেন-ট্রেনের হাজার ত্রিশ টাকার টিকেট কেটে ফেলেছি। সব প্রস্তুতি শেষ, এখন শুধু শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা। কিন্তু হঠাৎ করে দুপুরের পর সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে শুরু করল।
[justify]
১.
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। ধানমন্ডি থেকে পলাশীতে ফিরছি। ধানমন্ডি সাতাশ নাম্বার রোড থেকে রিকসা নিলাম। রিকশাওয়ালাকে পরিচিত মনে হল। যদিও সচরাচর রিকশায় চড়ে কখনও রিকশাওয়ালার সাথে তেমন কোন কথা বলা হয় না, তারপরও ভাবলাম জিজ্ঞাসা করে দেখি বাড়ি কোথায়।
-ভাইয়ের দেশের বাড়ি কৈ?
-দিনাজপুর।
যাক লাইনেই আছে তাইলে। দিনাজপুর, মানে উত্তরবঙ্গে। দিনাজপুরের বহু থানায় যাওয়া হয়েছে। ভাবলাম দ...
[justify]
বিজ্ঞাপনের ধরনধারণ, রকমসকম পাল্টে যাচ্ছে। সামনে কোরবানি ঈদ। ঈদকে কেন্দ্র করে যে দু-একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়েছে তাতে চোখ চড়কগাছে উঠে গেছে। সেরকম দু-একটার কথাই আজকে লিখি।
১.
দিনকয়েক আগে সকালে অফিসে যাচ্ছি। পল্টনের জ্যামে রিকসা অনেকক্ষণ আটকে আছে। এদিক সেদিক দেখছি। একটা সিটিবাসের গায়ে মোজোর নিচের বিজ্ঞাপনটা দেখলাম। মোজো এক ধরনের কোমল পানীয়। ঈদে গরু-ছাগল সাইজ করার জন্য ...
[justify]ছারপোকা একটি অতিশয় বিদঘুটে প্রাণী। বাস্তব জীবনের ছারপোকা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতাগুলো সম্বন্বয় করে এবং ছারপোকা দূরীকরণের কয়েকটি কৌশল আলোচনা করে এই ব্লগটি লেখা হল।
১.
বুয়েটে ভর্তি হওয়ার আগে ছারপোকা কখনও দেখিনি। স্কুলে থাকার সময় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের স্কুল শিক্ষা কার্যক্রমে যে বইগুলো পড়ার সুযোগ পেয়েছি তাতেই সম্ভবত ছারপোকা সম্বন্ধে প্রথম জেনেছিলাম। সেখানে একটা বইয়...
[justify]
১.
ধর্মকর্ম ছেড়েছিলাম কলেজে থাকার সময়েই। কলেজের দুই বছরে খুব বেশি হলে তিন-চারটা শুক্রবারের জুমার নামাজ পড়া হয়েছিল। বুয়েটে ভর্তি হয়েও খুবই অনিয়মিত ধর্ম চর্চা অব্যহত থাকল। কিন্তু তারপরও একবার আমাকে তাবলীগে যেতে হল।
থাকি সোহরাওয়ার্দী হলের নিচতলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রেশম্যান হলে নিচতলায় দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের সবসময় উৎপাত থাকে। হলের বন্ধুবান্ধব আর তাবলীগি সম্প্...
অথচ সুনির্দিষ্ট কোন নারী নেই
অথবা মাউন্ট কেনিয়ার চূড়ায় জমে থাকা শুভ্র বরফ-
নেই তার মত কোন শীতল পরশ।
কিংবা বসরার গোলাপের মত চিবুক
একবার ছুঁয়ে দেখলে বহুবার মানুষ হয়ে জন্মাতে ইচ্ছা করে।
অথচ সুনির্দিষ্ট কোন নারী নেই-
হরহামেশাই শরীরের টানে
ফারেনহাইটের পারদ উপরে উঠে গেলে
আঁতকে ওঠা নারী নেই-
'জ্বরে যে শরীরটা পুড়ে যাচ্ছে'
এমনটা কারও বলা নেই, তাই বলে
শুধুই শুয়ে থাকা
একা একা বৃষ্টি দে...
উপল মাহবুব তথা অমির সাথে আমাদের প্রথম দেখা আহসানউল্লাহ হলের ১১৮ নাম্বার রুমে।তার সাথে পরিচয়ের আগে অবশ্য তার বাবাকে আমরা চিনতাম। অমির বাবা মাহবুবুল হকের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বই পড়েই তো আমরা এইচ,এস, সি পাশ করলাম। আমাদের বন্ধু নাসিফ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দুই বছর পর খালার বাড়ীর মোহ(নাকি তার পাশের বাড়ীর মোহ!) ত্যাগ করে ঐ রুমে ওঠে। উপল তথা অমি ওর রুমমেট। শ্যা...