নীল রোদ্দুর এর ব্লগ

অরণ্যে রোদন

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০১/০৭/২০১৩ - ১১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ছোটবেলায় যখন বই পড়ার নেশাটা প্রথম মাথায় ওঠে, সেই সময়গুলোতে একটা বই হাতে পেতে অথবা পড়তে তখন আমায় মেলা কাঠ খড় পোড়াতে হত। সেইসব দিনগুলোতে আমার প্রধান অন্তরায় ছিলেন আমার মা। সারাটা জীবন অনেক রাগ করেছি, দুষেছি তাকে এই সব কারণে। আজ একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মাকে দেখতে বসলাম। বাংলার নারীদের দেখতে বসলাম আসলে।


যুদ্ধপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংহতি প্রকাশ

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০২/২০১৩ - ১২:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন আর অপেক্ষা নয়, সময় এসেছে নিজেদের অবস্থান সারাবিশ্বকে উচ্চ কণ্ঠে জানিয়ে দেবার। সেই লক্ষ্যেই তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে, একত্রিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবীতে শাহবাগ তথা প্রজন্ম চত্বরে। একজন নয়, দুইজন নয়, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মানুষ মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের দাবীতে সোচ্চার। এই আন্দোলন যে কেবল শাহবাগে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে-বিদেশেও


অন্তর্মূখীদের সাথে কিছুটা সময়

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৩/২০১২ - ৭:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পড়া এবং লেখা, এই ছাড়া আমার কোন কাজ নেই এই দুনিয়ায়। যারা আমাকে খুব বইপোকা ধরনের মানুষ ভাবছেন, তাদের আমি নিশ্চিত করেই বলতে চাই, আসলেই আমি তাই। খুব অন্তর্মূখী একজন মানুষ। আমার জীবনটাও বইয়ের পাতার মত। আলতো চোখে তাকালে মনে হলে, কাগজের উপর কিছু ছাপানো অক্ষরের মত নিস্তরঙ্গ জীবন, বইটা হাতে নিয়ে পড়তে বসলে তখন মনে হবে, এই পাত নিস্তরঙ্গ জীবনের মাঝে কত অবাক করা ব্যাপার লুকিয়ে আছে। আমায় জিজ্ঞেস করলে বলব, জীবনটা সুন্দর! সারাটা দিন আমি দুটো জিনিসের সাথে সম্পৃক্ত থাকি, বই আর ইন্টারনেট। সাথে কফির কাপ। আমার মাথায় থাকে কয়েকটি প্রশ্ন, সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করাই আমার কাজ। এভাবে সারাটাদিন চলে যায়, জানালার পাশে সকাল-বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে, আমার কারোর সাথে কথা হয় না। যখন মাথাটা কাজ করেনা, কফির কাপ হাতে চলে যাই ল্যাবের পাশের বারান্দায়। খোলা আকাশ, বাতাস, রোদ্দুর, অথবা নীচে জলের মৃদু তরঙ্গ দারুণ লাগে। আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকিয়ে দেখি, কোনদিনই এই আলোটা বিবর্ণ হয়, পুরোনো হয় না। প্রতিদিন নতুন করে এসে হাজির হয়। আমার ছায়ার দিকে তাকিয়ে দেখি, ছায়ায় জীবনে কি নতুনত্ব এসেছে একটু? সারাটাক্ষণ এভাবে নিজের সাথে, বই এর সাথে কথা বলে দিন কেটে যায়। হডজকিন-হাক্সলির মডেল নিয়ে পড়ছি, কোন ফাঁকে হয়ত তাদের নোবেল লেকচারের ফাইলটা খুলে ফেলেছি। চোখ মেলে মডেলের পিছনের মানুষটাকে দেখার চেষ্টা করছি, দেখছি তাদের শ্রমটাকে। এমন একটা মানুষ, যার সামাজিক যোগাযোগ বলতে দুয়েকটা স্ট্যাটাস, ব্লগে বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি, ক্লাস আর ল্যাবে আসা যাওয়ার পথে কয়েকজন সহপাঠীর সাথে কুশল বিনিময়ে সীমাবদ্ধ, তাকে কি বলবেন? অন্তর্মূখী নাকি অসামাজিক?


জৈবিক বুদ্ধিমত্তার নিরিখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২০/০২/২০১২ - ১০:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মানুষ এই পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত প্রাণী, কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ অনেক উন্নত একথা সত্যি হলেও বিস্ময়কর ভাবে আমাদের মস্তিষ্কটিই আমাদের কাছে বিরাট একটি বিস্ময় রয়ে গেছে। আমরা এখনো জানতে পারিনি, ঠিক কি ঘটছে মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে। আকাশের তারা দেখে যতটা ভাবনায় ডুব দিয়েছি, তার চেয়েও বিস্ময়কর ব্যাপার কিভাবে আমরা ভাবছি? কিভাবে শিখছি, কিভাবে সৃষ্টি করছি শিল্পের সব বিমূর্ত ধারণা?


হোমিওস্ট্যাসিস (Homeostasis)

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২০/১১/২০১১ - ১:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মানুষ প্রতিদিন ঘড়ির সাথে সাথে ছুটছে। মানুষের সময় ময় ঘুম পায়, ক্ষুধা পায়, ঘুম থেকে উঠে যায়, প্রতিদিনের কাজ করে, সুস্থতা, অসুস্থতা বোধ করে, আবার অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে। সব কিছুতেই কেমন যেন একটা রুটিন বাঁধা। আপনি সচেতন ভাবে অনিয়ম করতে যান, দেখবেন, আপনার দেহ ঠিকই বলছে, আমার ক্ষুধা পেয়েছে, এইবার খাও দয়া করে। সারাদিন অনেক কাজ বা অকাজের পর একসময় আপনার দেহ ঠিকই ক্লান্ত হবে, বলবে আর পারছ


বাতাসের আছে কিছু গন্ধ

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/১১/২০১১ - ৭:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
একটু খামখেয়ালী বেপরোয়া স্বভাবটা কবে থেকে গড়ে উঠেছে মনে করতে পারিনা। আসলে সামাজিকীকরণ বা সোশ্যালাইজেশন নামে যে একটা টার্ম আছে, দুখঃজনকভাবে সেটা আমার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে হয়নি, তাই জানিনা, কি পরোয়া করতে হবে, আর কি হবে না, কোনদিন যা শিখিনি, তা করবো কি করে! সেই আমি আমার মনের একটা ইচ্ছা দীর্ঘদিন ধরে চেপে রেখেছিলাম... খুব ইচ্ছে ছিল ঢাকা শহরের রাস্তায় রাস্তায় সারারাত রিক্সায় করে ঘুরে বেড়াবো। সহপাঠী বন্ধুদের কাছে শুনতাম, সারারাত ফুলার রোডে শুয়ে বসে আড্ডা দিয়েছে... কিংবা রাত্রি তিনটে চারটায় মানিকের চা, ডিম পরোটা ইত্যাদি তো রোজকার রুটিন। খুব হিংসে হত তখন... আমাকে কেন তবে রাত্তির দশটায় হলের গন্ডিতে ঢুকতে হবে, আমিও যাবো তোমাদের সাথে পায়ে হেটে নৈশ কালের অ্যাডভেঞ্চারে... এসব কেবল মুখেই বলা, যাওয়া আর হয়না... যেতে পারিনা। সমাজ কিংবা আমাদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারীরা... কেউই ঢাকার রাস্তায় মধ্যরাতে হেঁটে বেড়াবার নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা দিতে পারেনা। তাই বাঁধনের বাৎসরিক সাধারণ সভার জন্যে সারাবছরের রিপোর্ট একত্রিত করে সুভ্যেনির আকারে ছাপাতে প্রেসের ঘরে সারারাত বসে বসে কাজ করা সম্ভব হলেও এইসব শখের অ্যাডভেঞ্চার আমার আর করা হয়ে ওঠেনি। কারণ একটাই বাংলাদেশের সীমারেখায় ঘরের বাইরে মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব, রাত হলে তো কথায় নেই! এসব ভাবতে ভালোলাগে না। একদম না।


যা হয় হোক তবু করিডোর নির্ভয়!

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/০৯/২০১১ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[center]আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়াই থাক
সব পেলে নষ্ট জীবন

তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলোয়
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হওয়া কাঁচের মতো
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও
দূরবীনে চোখ রাখবোনা
না না না না ...

এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার
আমি রাখতে চাই না আর তার
কোনো রাত দুপুরের আবদার


প্রজ্ঞা

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৬/১১/২০১০ - ১০:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবা, ঐটা কি?
-মন্দির
মন্দিরে কি হয়?
-ঐখানে ঠাকুর আছে, লোকে ঠাকুরকে পূজো দেয়।
পূজো কি বাবা?
বাবা চিন্তায় পড়ে যায়, এইটুকু মেয়েকে কি করে বোঝাবে, পূজো কি!
 
সেদিন অহনা বোঝেনি, পূজো কি। মা পরে শিখিয়েছে, ঠাকুর কি, কিভাবে পূজো দিতে হয়। মায়ের সাথে আয়োজনে কত্ত বসেছে সে। মা তো খুশি, ঠাকুর খুশি হোক না হোক!
 
অনেক বেলা গড়াল। অহনা কাউকে শুধায় না, পূজো কি? একদিন ঠাকুরকেই শুধিয়েছিল, তোমাকে কেন পূজো ক ...


রাজহাঁসের মায়া

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/১১/২০১০ - ১০:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক আর দশটা দুপুরের মত, সেই দুপুরেও ছোট্ট অরণ্য বসে ছিল পুকুর পাড়ে, বাঁশের ধাপে বসে, জলের মাঝে পা চুবিয়ে, মনের আনন্দে জলকেলিতে মেতেছিল তার ছোট্ট দুখানি পা। শৈশবের কমনীয়তা তুলেছিল ঢেউ জলের মুকুরে। তার তুষার ধবল রাজহাঁসের বাচ্চাটা খেলে বেড়াচ্ছিল পুকুরের এ মাথা থেকে ও মাথা, তুলে জলতরঙ্গের মূর্ছনা...


বহিরাগত

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট! এই নিদারুন সত্যটা মনে হলেই একটা হতাশাজনক অনুভূতির মুখোমুখি পড়ে যায় অরনী। একটা ভয়ঙ্কর তিতকূটে স্বাদে ভরে যায় সমস্ত মন। ছাব্বিশটা বছরেও একবারও অরনীর মনে হয়নি, সে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার যোগ্য। মনে মনে খুব বেশী হিংসে হয় রাসেলকে। সেই ছোট্টবেলায় বন্ধুটা তাকে ফেলে চলে গেলো পরপারে, তার ছোট্টমনে একটা ধাক্কা দিয়ে। সেদিন রাসেল সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে পরপারের ...