মাউথ অরগানটার সুর আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায়। আশেপাশে কোন বাড়িতে অজানা কেউ বুঝি বাজাচ্ছিল, হয়ত সে অজানা নয়, কিন্তু কে সে জানে না নির্জনা। জানার কোন ইচ্ছাও কাজ করেনা, সুরস্রষ্টা নয়, সুরটা তাকে ছুঁয়ে গেল। মনে হচ্ছিল সুরটা বুঝি তারই জন্য, কখনও ঝর্ণার মত উচ্ছল, উচ্ছলতার শেষে এক নির্জনা সে, রাতির মত শান্ত, নিকষ অন্ধকার সেখানে... সেই গভীর অন্ধকারের মাঝে আনন্দ আছে না কষ্ট আছে, উচ্ছল ঝর্ণার চোখ...
যারা প্রথম পর্ব পড়েন নি, তাদের জন্য তারার হাতছানি(প্রথম পর্ব)
০৩
অরিত্র বসে আছে বাঁশি হাতে... আজ সে বাজাচ্ছে না। মন তো এখন অন্য খেয়ালে। অরিত্রের উত্তেজনা দেখে মনে হয় গাছ আর গাছের বানরগুলোও মজা পাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে কি আজ তার খেয়াল আছে! তার যেন আজ মূহুর্ত কাটে না... সময় যাচ্ছে বড় ধীরে... অরিত্র শুধু একটু পর পর এদিক ওদিক তাকায়। একসময় তার মনে হয়, ঠিক তার পিছনেই দাঁড়িয়...
০১
চারপাশে ঘন অরণ্য। এখান থেকে আড়াই মাইলের মধ্যে কোন মানুষের বসবাস নেই। একেবারেই নির্জন জায়গাটা। শব্দ বলতে পাখির কিচিরমিচির। আশে পাশের গাছে মাঝে মাঝে কিছু বানরের দেখা মেলে। কাঠবিড়ালির ও দেখা মিলেছে। মাত্র দুদিন হল এইখানে এসেছে অরিত্র। একটা ছোট টিলার উপর তার তাঁবুটা। একমাসের খোরাক নিয়েই এসেছে সাথে করে। আসার সময় পথে যে আদিবাসী বসতি চোখে পড়েছে, সেখান থেকেই খাবার পানি নিয়ে এসে...
উদীয়মান সূর্যের দিকে চেয়ে আছি
এক চক্ষু মেলি,
আরেক চক্ষু আঁধারে দিয়েছি জলাঞ্জলি।
সবুজ পাতায় শিশির ঢল,
মনের গহীনে ঝড়ের মাদল;
বৈপরীত্যের দ্বন্দে জয়ের পা...
জলফড়িং এর ছোটাছুটি
ধানমন্ডি ৩২ নং এর পাশ দিয়ে প্রায় যাওয়া আসা করতে হয় আমাকে। তবে কখনই অবসর মেলেনা লেকের দিকে ঘুরে তাকাবার। আজ মিলেছিল। কাজ শেষ করে দেখি...