ওঁত পেতেছে হিংস্র শ্বাপদ তোমার ঘরের কোণে,
দুধ-কলাতে পুষছ তাদের নিরপেক্ষতার ভানে।
চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স করে ভালো যাচ্ছে কেটে দিন,
সকাল বিকাল বাজাও কেবল সুশীলতার বীণ।
মরছে মরুক যত মুক্তমনা, তোমার তাতে কি !
দু'দিক সামলে চললে তবেই জুটবে পাতে ঘি।
ভক্তরা সব দিচ্ছে তালি, বাড়ছে মুখের জেল্লা,
ভার্চুয়ালে বয়ান ফলাও, সেইফ রাখিতে কল্লা ।
মৌলবাদ আর জঙ্গি নিয়ে- কিসের কথা বল্?
তোর চোখেতে পড়লে এ চোখ
বিদ্ধ করে কোন্ শরে?
অচেনা এক শিহরণ, কেন
শরীর জুড়ে ভর করে?
নাকের ডগায় জমাট বাঁধা
বিন্দু বিন্দু শিশির-ঘামে,
ঘুম-ভাঙ্গা সব মেঘের মতো
পাখির ডানায় স্বপ্ন নামে।
তোর পায়ের ওই পায়েলখানি
বাজে যখন নম্র লাজে,
কেমন জানি একলা লাগে,
মন বসে না আর কাজে।
ডাগর দুটো আঁখির তারায়
সাত সাগরের ঢেউ খেলে,
তার বানেতে যাচ্ছি ভেসে
কেউ কি তা জানতে পেলে?
তোর ছোঁয়াতে গোলাপ ফোটে
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল আজ একাত্ম যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে। স্লোগানে-সঙ্গীতে-প্রত্যয়ে মুখরিত রাত-দিন ক্লান্তিহীন শাহবাগ চত্ত্বর। যেই স্ফুলিঙ্গের সূচনা হয়েছিলো শাহবাগে আজ সেটা ছড়িয়ে গেছে সারা পৃথিবীতে। গতকাল পার্থ, সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেনসহ অষ্ট্রেলিয়ার বড় বড় শহরগুলোতে হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ। একই সময়ে অর্থাৎ গতকাল বিকেলে ব্রিসবেন থেকে প্রায় ৯৪ কি.মি.
আমি অপেক্ষায় আছি।
যীশুর মতো ক্রুশকাঠে বিদ্ধ হয়ে
অনন্ত প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি।
অধীর আগ্রহে বসে আছি নষ্ট সময়ের করতলে
কবে রাষ্ট্রযন্ত্র আসবে কালো উর্দি পরে,
সবার অলক্ষ্যে তুলে নিয়ে যাবে চোখে ঠুলী পরিয়ে!
হয়তো পত্রিকার এক ইঞ্চি কলামে ঠাঁই হবে
অজ্ঞাত পরিচয় লাশের মিছিলে,
হয়তো বা শিরোনামহীন খসে যাবো বক ফুলের মতো
পৃথিবীর পান্ডুলিপি থেকে চুপিসারে।
তবুও . . .
বৃষ্টির ঘ্রাণ পাচ্ছি,
জলের ঘ্রাণ পাচ্ছি,
জলমগ্নতায় কার অতল হৃদয়ের
কলরব শুনতে পাচ্ছি ।
এ কার নুপুর-নিক্কণ সকরুণ সুরে
আজো কাঁদে করোতোয়ার কচুরীর দামে?
রেণুকা? সে তো চৌদ্দ বছর আগেই
ভোকাট্টা হয়ে গেছে গোলাপী ঘুড়িটার মতো!
সেই ঘুড়ি, সেই নিরুদ্দেশ ঘুড়ি কতবার ছলে-বলে
আছড়ে পড়েছে রেনুকাদের ছাদে।
যতবারই কুড়োতে গিয়েছি
ততবারই বিদ্ধ হয়েছি শান্ত গভীর দু’চোখের মায়ায়।
(১)
আজ ফাগুনের ফুলগুলি সব ইচ্ছে করে মনের ভুলে,
পথ হারিয়ে যাক জড়িয়ে তোমার দীঘল কুন্তলে।
মন পবনের ভেলায় ভাসুক রোদ্দুরের ওই সুরগুলি,
যাক ছুঁয়ে যাক বসন্ত রং তোমার মনের ঘুলঘুলি।
(২)
এসো সব ক্রন্দন হাহাকার
এসো সব নিসীম শূন্যতা
ধূলির গর্ভে ফুটায়েছ যে ফুল
নিয়ে যাও তার স্নিগ্ধতা।
(৩)
চিবুক ছুঁতে গিয়ে হঠাৎ ছুঁয়ে দিলাম চুল,
সেটাই ছিলো ভুল আমার সেটাই ছিলো ভুল।
অনেকদিন পরে আবারো ক্যাকটাস। আর এবারের ক্যাকটাসগুলো বেশ দুষ্ট। কতটা খোঁচা লাগবে সেটা পাঠকই বলুক!!
***********************************************
মানুষ নেবে বিদায় মানুষের কাছ থেকে
মানুষের হাতে জন্মাবে ধারালো নখর !
অসহায় বোধ যাবে বাণপ্রস্থে, নাও শিখে
শ্বাপদের হিংস্রতা... রক্তের স্বাদ প্রখর !
************************************************
১.
_________________________
ওরা আর কতটুকুই জানে?
শুধু আমিই জানি ভ্রমের বিলাস,
মুখের মুখোশ, নিত্য বাহাস।
আদ্যপান্ত জানা আমার
অজানা নয় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমা
কত হাত বদলাও, কত হাতে হও জমা!
ওরা আর কিইবা জানে?
কেবল আমিই জানি ভিতর-বাহির,
রঙের খেলা, ভুলের তিমির।
মুখবন্ধ জানা আমার
এই দিচ্ছি লিখে শেষ পাঠ।
জল গড়িয়ে চলে
পতনেই বুঝি জলের আজন্ম সুখ,
বাধা পেলে প্লাবন ডাকে,
ভাঙ্গনের স্রোত ভাসায় ফুল্লরার বুক।
ও মেয়ে,
তুমি কি গো জলকন্যা?
কেবলই আপন খেয়ালে চলো?
ডুবসাঁতারে সঙ্গে নিলে
কী'বা এমন ক্ষতি হতো বলো?
এই জনমে নাইবা হলো,
রইলো আরো হাজার জীবন....
তোমার সাথে স্নানে যাবো
জেনে নিয়ে জলের সমীকরণ।
ভাসাও, ভাঙ্গো কিংবা মারো করে আস্ত বরফ জমাট,
জলের তোড়েই খুলবো সেদিন তোমার সকল বদ্ধ কপাট।