[justify]পূর্ব ইউরোপের অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনেই বসবার স্থানগুলো থাকে কূপের ভেতরে, একেকটি কূপে ছ জনের বসবার ব্যবস্থা। ব্যাপারটি বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে যখন দেখা যায় সেই কূপে যাত্রী আছে এক কী দু জন। এযাবৎ আমার কূপভাগ্য বেশ ভালই বলতে হবে, কারণ এখন পর্যন্ত যতবারই এমন কূপে উঠেছি পেয়েছি যতসামান্য যাত্রী। আর যাদেরকেও পেয়েছি তাদের সাথে আলাপ জ
[justify]সিয়েরা নেভাডা পর্বতের গা বেয়ে এঁকে-বেঁকে চলা দু লেনের এক সরু পিচ ঢালা পথ কামড়ে ধরে ঘণ্টায় মাত্র পনের কিলোমিটার বেগে এগিয়ে চলেছে একটি পুরনো মডেলের সাদা হোন্ডা গাড়ি। গাড়িটির চালক আমি নই, তেমনটি হলে বিশ বছরের পুরনো এই গাড়িটি নিয়ে প্রায় ত্রিশ ডিগ্রী হেলে থাকা পাহাড়ি এই পথে উপরে না উঠে হয়তোবা বাঁ পাশের খ
[justify]গ্রাম বাংলার হাট বাজারের টং ঘর থেকে শুরু করে ইট পাথরের খাঁচায় ঢাকা পড়া মহানগরীর আনাচে কানাচের মুদি দোকান- সর্বত্রই একটি পচনশীল ফল সম্মুখে ধাবমান জনসমুদ্রের দিকে নির্বাক দৃষ্টি দিয়ে অপেক্ষায় থাকে সম্ভাব্য কোন ক্ষুধার্ত পথিকের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই হয়তো এসে দোকানিকে বাড়তি ব্যস্ততায় না ফেলে নিজের প্রয়োজন মতো সংখ্যায় সেই ফ
[justify]
[justify]মে মাসের এক সকালে আমার ল্যাবে হটাৎ প্রফেসর এসে হাজির, সকালের এ সময়টাতে তিনি সাধারণত পদধূলি দেন না। আজ এসেছেন নিজের কোন কাজে হয়তো, হাতে একখানা খাম। সেটি হাতে নিয়েই আমার দিকে এসে খামটি আমার দিকে বাড়িয়ে বললেন তোমার নামে একটি চিঠি পেলাম মেইলবক্সে আমার চিঠি চেক করবার সময়ে। ডিপার্টমেন্টের গবেষণা সহকারী হওয়ায় আমার প্রফেসরদ
ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখেই আমরা উঠে যাই আসলাম ভাইয়ের সেই ছেড়ে যাওয়া বাড়িতে। এই বাড়িটি ফুল ফার্নিস্ড। তবে তাই বলে ভাবার কারণ নেই যে বাড়িটি ভর্তি আধুনিক সব আসবাব। পুরনো আমলের সোফা, রং চটা কার্পেট, খাট, ড্রেসিং টেবিল এই নিয়ে তিন রুমের ফ্ল্যাট। তৃতীয় রুমটি এক চিলতে, সেটিকে ভাড়ার ঘর বিসেবেই সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আছে আসলাম ভাইয়ের রেখে যাওয়া বেশ কিছু জিনিশ, যার ভেতরে একখানা ছোট টেলিভিশনও আছে। এই
[justify]বাড়িওয়ালার নাম কেইন, ছ ফুটের উপর লম্বা, টিকালো নাক, মাথার চুলে পাক ধরলেও শরীরের বাঁধন এখনও মজবুত। ষাটোর্ধ এই বৃদ্ধ হলেন মার্কিন মুল্লুকে আমার প্রথম বাড়িওয়ালা। কেইনই সর্বপ্রথম কোন মার্কিনী যার সাথে আমার এ দেশে আসবার পরে পরিচয় হয়। সে অর্থে মার্কিনীদের সম্বন্ধে একটা প্রাথমিক ধারণা গড়ে তুলতেও কেইন আমাকে সাহায্য করে। আমি এদেশে আসবার আগে শুনেছিলাম এ দেশটি নাকি চলে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নিয়মে। কিন
[justify]
[justify]
[justify]দুটি হাত বুকের কাছটায় ভাঁজ করে মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে গৃহত্যাগী এক সন্ন্যাসী প্রায় শত বছর আগে আউড়েছিলেন এক শ্লোক, “উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবোধত”, অর্থাৎ ওঠো, জাগো, জ্ঞান লাভ করো। এই শ্লোকটির কথা আমার খুব করে মনে থাকলেও মিহি ঠাণ্ডার প্রত্যুষে আমি ওসব ভুলে থাকার ভান করে মাথার ওপরে কম্বল মুড়ি দিয়ে লুকিয়ে থাকি। তবে সব