[justify]
[justify]নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক স্লেভতানা আলেক্সিভিচ রচিত “চেরনোবিলের কণ্ঠস্বর” বইটি পড়ে শেষ করলাম এই গত মাসে। চেরনোবিল দুর্ঘটনার কার্য-কারণ নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা আগে ছিল, কিন্তু এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ইতিবৃত্ত ছিল আমার জানার জানালার বাইরে। এই বইটি পড়ে আমার সেই অভাবটি ঘুচল। আর সেই সাথে এক নিদারুণ বিষাদময়টা আমাকে ছেয়ে ধরল। পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা কিভাবে একটি দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে দশকের পর
[justify]আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগেকার কথা। আমি তখন ডালাসে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের ছাত্র। আমার প্রফেসরের গবেষণা প্রকল্প নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় আমার বৃত্তির টাকা বন্ধ। ওদিকে আমার ব্যাঙ্কের হিসেবে তখন আছে মাত্র দুশো নব্বই ডলারের মতো। এ টাকায় বাড়ি ভাড়া দেয়া তো দূরের কথা, এক মাসের বেশি খাবার খরচও চলবার কথা নয়। চরম দুঃসময় আমার তখ
[justify]
[justify]
[justify]সাধারণত এতটা ভোরে আমার ঘুম ভাঙেনা, কিন্তু সেদিন ভাঙল। চোখ মেলে দেখি শিয়রের দিকের দরজার পাল্লাদুটো ঠেলে এক শিরশিরে হাওয়া ঘরে এসে ক্রমাগত দুলিয়ে যাচ্ছে তাদের। কাল রাতে কি তবে দরজার খিল আটকাতে ভুলে গিয়েছিলাম?
[justify]
[justify]আমার সেজ মামা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এলে আমি রীতিমতো ভয়ে কুঁকড়ে থাকতাম। কারণটা হল মামার চোখে পরা মাত্রই মামা নানাভাবে প্রমাণে চেষ্টা করতেন যে ছাত্র হিসেবে আমি খুবই নিম্নপদস্থ। কারক, সমাস, ক্রিয়া-পদ এসব নিয়ে নিরন্তর প্রশ্ন তো করতেনই, মাঝে মাঝে আবার বলতেন তার হটাৎ মনে আসা কোনও বিষয়ে ইংরেজিতে ক’পাতার রচনা লিখতে। বলাই বাহুল্য তাত
[justify]গাঢ় সবুজের ঢেউ খেলানো সারি সারি পাহাড়ের ঢল খাড়া গিয়ে নেমেছে তুঁতরঙা এক সাগরের পাড়ে। তীরের এই কাছটায় বড্ড শান্ত স্থবির যেন এই সমুদ্র। সবুজের গালিচা ঘেরা এই পাহাড়ের দল আর সেই পাহাড়ের পাদদেশে থম মেরে থাকা জমাট নীল সমুদ্রের এই চিত্রটি যে কোনও কৃত্রিম চিত্র নয়, বরং এই ধরাধামেরই কোনও কারসাজি সেটি বোঝাবার জন্য মাঝে মাঝে হুটহাট করে