পর্ব ৯
আগের পর্বগুলো পড়ুন এখানে
[justify]‘তাহলে তো মিটেই গেল। কাল চলিস জাদুঘরের মহাপরিচালকের কাছে। আমার পরিচিত উনি। গুপ্তধন উদ্ধার ডাল-ভাত তাঁর জন্য’, নিরীহ একটা ভঙ্গি করে ততোধিক নিরীহ পরিকল্পনা পেশ করল চন্দন। ঝাঁঝিয়ে উঠল অর্ণব সঙ্গে সঙ্গে। ‘হ্যাঁ ততক্ষণে জগলুল পাশা গুপ্তধন হাতড়ে হাতিয়ায় বসে থাক!’,
পর্ব ৮
আগের পর্ব
[justify]কাজটায় দারুণ মজা পাচ্ছে মিথুন। যন্ত্রটা চোখের সামনে আনা মাত্রই লাফিয়ে চলে আসছে সব চোখের নাগালে!
পর্ব ৭
[b][center]প্রসাধনী আয়না
মিটিয়ে তো দিতে পারে
কারো কারো বায়না।
আগের পর্বগুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব ৬
সুজনদাকে অফিসেই পাওয়া গেল। একটা লেখা সম্পাদনা করছেন। তরুণ শিশু সাহিত্যিক এই ভদ্রলোকটি অর্ণবের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র। বাংলা ছন্দের ওপর তাঁর রয়েছে অসাধারণ দখল। অর্ণব তাঁকে জোর করেই বাইরে নিয়ে এলো। একটি কাজে সুজনদার জরুরী সাহায্য লাগবে। ওঁর অফিস থেকে বাংলা একাডেমি মাত্র ক মিনিটের পথ।
আগের পর্ব
পর্ব ৫
দূর থেকেই অর্ণব দেখল রহিম কাকা বারান্দায় উন্মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন! বাড়িতে রহিম কাকা আর ও ছাড়া আপাততঃ কেউ নেই। এই লোকটা সেই ছোট বেলা থেকে অর্ণবকে আগলে রেখেছেন। কখন থেকে তিনি এ বাড়িতে অর্ণব ঠিক বলতে পারবে না। কিন্তু হুঁশ হবার পর থেকে রহিম কাকাকে তার সাথী হিসেবে পেয়ে এসেছে ও। তাই অর্ণবকে সবার চেয়ে তিনি বোঝেনও বেশি। বাবা-মা তাকে কখনোই রাত-বিরেতে বাইরে থাকতে দিতেন না! রহিম কাকাও চাননি তবে অর্ণব তাকে ম্যানেজ করে ফেলেছে ঠিক। ‘কাউকে না জানিয়ে সারারাত বাড়ির বাইরে থাকা কি ভালো?’ একটা কাকুতি যেন ঝরে পড়ল রহিম কাকার কন্ঠ থেকে। উত্তরে মিষ্টি করে একটু হাসল ও শুধু। অর্ণব জানে এই হাসির বদৌলতে সাত খুনও মাফ হয়ে যেতে পারে!
আগের পর্ব
পর্ব ৪
সেই ছোট্ট ঘরটায় অর্ণবের জন্য বিছানা পাতা হয়েছিল। সেটায় শুয়ে একটা কিশোর থ্রিলার-এ ডুবে গেল ও। বিপদে পড়েছে কিশোর, মুসা আর রবিন। প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে ওরা গুহামুখ দিয়ে। ঘুটঘুট্টি অন্ধকার দশদিকে। হঠাৎ কিসের সাথে বাঁ পাটা বেধে গেল কিশোরের। তাল না রাখতে না পেরে হুড়মুড়িয়ে পড়ল সে সামনে। আঁতকে উঠল কিশোর ভীষণভাবে। এই বুঝি বিশাল ভক্সওয়াগনটা উঠে পড়ল ওর পিঠে!
পর্ব ৩
পুরো বাগানের সাথে এই অংশটা যেন মিলছে না। একটু বেখাপ্পা ভাব এই অংশটুকুতে। মাটি আলু-থালু। ভদ্রমহিলা পাশের এক জায়গায় অর্ণবকে তাকাতে বললেন। তাকিয়ে অর্ণবের ভেতরটা যেন একটু কেঁপে উঠল। ফুল-লতা-পাতা দেখে মানুষের অন্তর কাঁপে না। কিন্তু তাদের বিন্যাস অন্তর কাঁপাতেও পারে! কেউ নির্মমভাবে কিছু ছিঁড়েছে, গাছ উপড়ে ফেলেছে। তারপর সেগুলো মাটিতে সাজানো হয়েছে একটি জ্যামিতিক নকশায়।
পর্ব ১
পর্ব ২
এই উটকো ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে কিছুদিন গা ঢাকা দেয়া যায় কি না চিন্তা করল ও। এবং সংগে সংগেই প্ল্যানটা বাতিল করে দিল।
দরজা খুলে অর্ণব অবাক হয়ে গেল। লম্বা, একহারা গড়নের একজন ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে। অর্ণব তাঁকে কখনো
দেখেছে কি না মনে করার চেষ্টা করল। নাহ্ মনে করতে পারছে না। তাছাড়া ওঁর চেহারাও অর্ণবকে দারুণ ধাঁধায় ফেলে দিল। ভদ্রমহিলা বিদেশী! পাশ্চাত্যের অঙ্গে তাঁর প্রাচ্যের শাড়ী! অর্ণব অভিভূত হয়ে দেখতে লাগল।
দেখতে দেখতে দু বছর হয়ে গেল। অথচ মনে হচ্ছে এই সেদিন আমাদের ঘর আলো করে তোমার আগমন। ওটিতে দাঁড়িয়ে উত্তেজনা কাঁপছি আর এসির ঠান্ডাতেও ঘামছি।