১. কৌতুহলের শুরু:
বিবিসি, এএফপি অথবা টাইম ম্যাগাজিনের রিপোর্টগুলো সত্যি হয়ে থাকলে ঢাকার মীরপুরে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গেছে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কলেরা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। রিপোর্ট অনুযায়ী মীরপুর এলাকার আড়াই লাখ লোকের ওপরে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো হবে। যে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে সেটি ভারতে তৈরী এবং সস্তা। চার বছর ধরে ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বোঝা যাবে বাংলাদেশে এবং পৃথিবীর অন্য যে কোন জায়গায় কলেরার প্রতিষেধক টীকা বৃহত্তর জাতীয় পরিসরে ব্যবহার করা যাবে কি না।
মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে মঞ্চের আধো আলো-আঁধারিতে কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি চলে টেকনিশিয়ানদের। শেষ মুহূর্তে যন্ত্রপাতি আরও একবার পরীক্ষা করে নেয়া। টু-ওয়ে রেডিও আর হাতে সাউন্ড সিস্টেমের রিমোট কন্ট্রোল নিয়ে শব্দ প্রকৌশলী এদিক সেদিক ছোটাছুটি করেন শংকিত মুখে। ভক্ত দর্শকেরা অজানা প্রত্যাশায় দাঁড়িয়ে যান সবাই। তুমুল হাততালি আর তীক্ষ্ণ শিসের শব্দ। কেনো শিস বাজাতে পারি না এটা ভ...
আমাদের পরিবারে মুরুব্বিদের পা ছুঁয়ে সালাম করার ব্যাপারটা অতটা মানা হত না। শুধু ঈদের দিন, বছরে দু'বার, বাবার সাথে নামাজ পড়ে এসে মা আর বাবার পা ছুঁয়ে সালাম করাটা আমাদের ভাইবোনদের রীতি ছিলো। যখনই মা'র পা ছুঁতে যেতাম, মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেন - বেঁচে থাকো, বাবা। আমি একবার মা'কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আচ্ছা শুধু এটা বলো কেনো তুমি সবসময়? আমরা বেঁচে থাকি, এটা ছাড়া আর কিছু চাও না তুমি?
প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবারটায় আমেরিকার সভ্য মানুষেরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন দিবস পালন করে। এদেশে সারা বছর প্রতিটা দিনেই তো ধন্যবাদের বন্যা বয়ে যায়, তাই নামে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের দিন হলেও এ দিনটিকে প্রাথমিকভাবে সে অর্থে ব্যবহার হতে দেখা যায় না। এটাই আমেরিকাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক উৎসব, এমনকি বড়দিনের চেয়েও। সাধারণতঃ এই বৃহস্পতি...
কাল আবার আরেকটা ই-মেইল আসলো। গত দশ দিনে এই নিয়ে তিন নম্বর। জরুরী সাহায্য দরকার, এগিয়ে আসুন। এবার বুয়েটের একজন প্রাক্তন ছাত্র। ই-মেইলেই পেপ্যাল-এর লিঙ্ক দেয়া আছে। যখন সামর্থ্য থাকে আর ইচ্ছে হয়, নির্বিকার নিরাবেগ হয়ে লিঙ্কে ক্লিকাই, কিছু টাকা দেই। কখনো সামর্থ্য হয় না, অথবা প্রয়োজনটা সেভাবে আঘাত করে না, তখন দেই না। দানছত্রও আজকাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপার হয়ে গ্যাছে। যে যত ...
সুদূর অতীতকালে সেবা প্রকাশনী থেকে বের হওয়া জুল ভার্নের 'টোয়েণ্টী থাউজ্যাণ্ড লীগস আণ্ডার দ্য সী'র অনুবাদ প্রথমবার পড়ার সময় ক্যাপ্টেন নিমো ছিলেন সাক্ষাৎ ভিলেন। বইয়ের শেষ কয়েক পৃষ্ঠায় টানটান উত্তেজনা। প্রফেসর অ্যারোনাক্স কী পারবেন নেড ল্যাণ্ড আর কনসীলকে নিয়ে পালিয়ে যেতে? পা টিপে টিপে লাইব্রেরীর ভেতর দিয়ে পালাচ্ছেন তিনি, করুণ সুরে অর্গান বাজাচ্ছেন ক্যাপ্টেন নিমো। ...
আমার কিছু তুর্কি বন্ধু আছে। যাদের তুর্কিদের সাথে ঘনিষ্ঠ হবার অভিজ্ঞতা আছে তারা স্বীকার করবেন, তুর্কিদের মধ্যে ভয়াবহ হাগিং-কিসিংয়ের প্রবণতা আছে। এই হয়তো মাত্র এক সপ্তাহ পর কারো সাথে দেখা হলো, দুজনে ঝাঁপিয়ে পড়বে একে অন্যের ওপরে, ওরে বাবা কেমন আছিস তুই রে, কি ভালো লাগছে তোকে দেখে রে - বলে দুজনের চার গালে চকাস চকাস, ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে। আদিখ্যেতা যত্তোসব। তাদের সাথে বন্ধুত্...
খুব ছোটবেলায়, হয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এর পাতায় না হলে উইণ্ডোজের স্ক্রীন সেভারে, প্রথম ডেলিকেট আর্চের ছবি দেখি। তখন নামটা জানতাম না। আর কোন বৃত্তান্তও না। তখন থেকে ভেবেছি একদিন বড় হয়ে এই জায়গাটায় যেতেই হবে। তো একদিন বড় হয়ে খোঁজ খবর করতে গিয়ে দেখি নামধাম না জেনে এমন জিনিসের খোঁজ বের করাটা বেশ কঠিন কাজ (প্রাক-উইকিপিডিয়া যুগের কথা)। ছবি-টবি এঁকে, নানান অঙ্গভঙ্গী করে জ্ঞান...খুব ছোটবেলায়, হয
কেউ কি মনে করতে পারেন জীবনের প্রথম কোন গানটা শুনেছিলেন? একটা গান যে একটা গান, সেটা শুনে আনন্দ-দু:খ-হতাশা-উৎসাহ-প্রেম-বিরহ এসব হতে পারে, এটা যে একটা নেশায় পরিণত হয়ে যেতে পারে, এটার ভেতরে যে ঢুকে যাওয়া যেতে পারে, এই বোধটা কবে প্রথম এসেছিলো? আমি হাজার চেষ্টা করেও মনে করতে পারি না। আমার মা রবীন্দ্রসংগীত আর তখনকার আধুনিক গান, মানে হেমন্ত-মান্না দে এঁদের ভক্ত ছিলেন। যখন ছোট ছিলাম, আমাদে...
পাওলো কোয়েলিয়োর দ্য জাহির উপন্যাসটির মাত্র দুটো পৃষ্ঠা অনুবাদের সাহস দেখালাম। একে তো লেখালেখিই বের হতে চায় না, তায় এটা আবার প্রথম অনুবাদ প্রয়াস। তাই দু'পৃষ্ঠার বেশী গেলাম না। এতে দুটো সুবিধা। এই দু'পৃষ্ঠাতেই একটা সম্পূর্ণতা আছে, ফেভার ব্যাংকের ধারণাটা বুঝতে পারা যায় বাকি উপন্যাস না পড়েই। তাছাড়া এতে করে পুরো উপন্যাস অনুবাদের কমিটমেণ্ট এড়ানোটাও সহজ হয়।
[=12]...