১.
"কিছু মানুষ আছে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী যারা কখনোই কাছাকাছি হয়না। দূরত্ব বজায় রেখে সহানুভূতি প্রকাশ করতে চায়। সমস্যা হলো আমি সহানুভূতি গ্রহণ করিনা; নিজ সমস্যাগুলো আমি নিজেই মোকাবেলা করবার চেষ্টা করি। আমার পরিস্থিতির কারনে কেউ আমাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে না পারলে সমস্যা নেই এবং সহানুভূতি দেখানোর প্রয়োজন নেই। I hate sympathy." -- ওয়াশিকুর বাবু, ২২ মার্চ ২০১৫।
এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের কি করবার আছে? কার কাছে যাওয়া যায়? কার কাছে বিচার চাওয়া যায়? কার সাথে রাস্তায় নামা যায়? কে প্রতিবাদের ইভেন্ট খুললে গোয়িং বলা যায়? কয়জনের কুৎসিত প্রতিক্রিয়ার উত্তর দেয়া যায়? আমতা আমতা করে বলা অব্যয় বহর কতো সহ্য করা যায়? হঠাত মনে হতে পারে উত্তর সহজ, আবার পরক্ষণে দুর্বিষহ কঠিনও লাগতে পারে।
‘শুনতে কি পাও’ দেখলাম। একেবারেই আমাদের কাদামাটির চলচ্চিত্র। আমাদের কতশত সমস্যা আছে। দুর্যোগ এসে বারবার হানা দেয় তবুও জীবন থেকে প্রাণশক্তি টলাতে পারেনা। বিপত্তি আসে, বিচিত্রতা আসে ঘুরে দাঁড়াবার প্রত্যয় আর রসবোধ অমলিন থেকে যায়। ‘Beasts of the Southern Wild’ এর মতো সিনেমার কালে পৃথিবীর এই অংশের মানুষের জীবনসংগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করবার জন্যে এই প্রামাণ্যচিত্রের চেয়ে যোগ্যতর উপস্থাপন আর কী হতে পারতো!
প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনি। একগান বারবার শুনি। আলগোছে, আগুণ, আগুণের পরশমণি, চেরুবিক, মুক্তির মন্দির, সন্ধ্যার মেঘমালা, বন্যা এগুলো হলো উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারে সেভ করা কয়েকটা প্লে-লিস্টের নাম। ভীষণ পছন্দের সব গান এতে। ল্যাপটপে আর কতই বা জোরে শব্দ হয়! তবুও গান বাজানো শুরু করি যখন সাউন্ড একদম সবচেয়ে জোরে দিইনা। শুনতে শুনতে যখন হঠাত কোন ক্ষণে মনে হবে আরেকটু সাউন্ড বাড়ালেই বোধহয় গানটা আরো দূরে বা কাছে কোথাও ছুঁয়ে যাবে তখনকার সুযোগটা নেবার জন্যেই এই আবেগময় সংযম।