এই সেলফোন, ট্যাবলেট আর ল্যাপটপের যুগে আমি যদি জানাই আমরা তিনভাই শৈশব পাড়ি দিয়েছি কিসব প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে, আজকের জেনারেশন হেসে গড়াগড়ি যাবে।
এক যে অকালপক্ব রে,
ওই মেয়ে তার লক্ষ্য রে,
ভাবনা শুধু তারেই নিয়ে
চায় হতে তার সখ্য রে।
ভ্যালেন্টাইনের চক্করে,
একটি প্ল্যানের ছক করে,
লিখলো জামায় নিজ রক্তে,
সেই প্রিয় নাম, অক্ষরে।
রক্তে বড়ো অক্ষরে,
নাম লেখা শার্ট সখ করে
গায় চাপিয়ে সেই মেয়েটির
দরজাতে সে ‘নক’ করে।
দরজা খুলে ‘টক’ করে
যেইনা মেয়ের লক্ষ্য রে
পড়লো গিয়ে রক্ত লেখায়,
ফাঁসলো প্রেমের চক্করে।
গালভরা পদবির দিকে সবার ঝোঁক থাকে কিনা জানি না, কিন্তু আমার একটু যেনো বেশীই ছিলো । ফার্মেসীতে মাস্টার্স পাশ করে শখ হোল সেলসে কাজ করবো। একটা মোটর সাইকেল পাওয়া যাবে এবং সেটা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর প্রচণ্ড আকর্ষণে। বেশির ভাগ কোম্পানিতে দেখলাম পোস্টটার নাম মেডিকেল রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ। পছন্দ হোল না। আই-সি-আই এ একই চাকুরীতে পজিশনটার নাম ছিল সেলস প্রোমোশন অফিসার। দারুণ মনপুত হোল এবং বিনা পরিশ্রমে চাকুরীটাও হয়ে
আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস সামনে রেখে আমার মা’কে নিয়ে লিখতে বসেছিলাম। আমার মত সন্তান, যারা মা’দের জীবদ্দশায় তাঁদের মূল্যায়ন করতে শেখেনি, তাদের যা হয় আর কি! নাকের চোখের জল একাকার হয়ে যায়, লেখা আর এগোয় না।
দিনের বেলা বাবা অফিস থেকে ফিরে, মধ্যাহ্নভোজন সেরে শেষ দুপুরে একটু ঘুমুতেন। ওই সময়টা ওনার শোবার ঘরে আমাদের যাওয়া ছিলো বারণ। একেবারে কারফিউ জারি থাকতো সেসময়টা।
শেয়ার ব্যবসায় আমার হাতেখড়ি হয়েছিলো জাপানি স্টক এক্সচেঞ্জে, ১৯৮৭-৮৮ সালের দিকে। সেখানকার সূচককে এক ডাকে সারা পৃথিবীর বিনিয়োগকারীরা চেনেন Nikkei Index নামে। জেদ্দাতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করছিলাম মাথা গুঁজে, নির্ঝন্ঝাটে। একদিন সৌদি শেখের খাস কামরায় ডাক এলো। ভণিতা না করে বললেন, তোমার ইংরাজিটা ভালো, আজ থেকে আমার জাপানের শেয়ার কেনা বেচার ফাইলটা তুমি
লতা তোমায় করছি মনে, অনেক করে, বুঝছো লতা,
পড়ছে মনে, ভাসছে চোখে, সেই সময়ের উচ্ছলতা,
বইছে বাতাস, উড়ছে তাতে তোমার চুলের গুচ্ছলতা,
আর তুমি না আমার দেয়া গোলাপ খোপায় গুঁজছো লতা।
তোমায় ছাড়া জীবন যাপন আমার ছিলো তুচ্ছ লতা,
হঠাত দেখি চলার পথে আমার ত্রুটি খুঁজছো লতা,
আমার উপস্থিতির চাপে নিজের সাথে যুঝছো লতা,
তাই আঁধারে হারিয়ে গেলাম সাঙ্গ করে উজ্জ্বলতা।
একটা সময় আসবে যেদিন আমায় তুমি খুঁজবে লতা,
একসময় আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিলো বাবার সাথে ছেলেদের কোন আবেগপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে পারে না। ভাবতাম গৃহ যদি হ্য় একটা রাজ্য, বাবার ভুমিকা সেখানে কখনো শাসনকর্তার, আর কখনো বা কোতোয়ালের। আর সন্তানেরা সেখানে যখন তখন শুধুই অপরাধী। কেবল পান থেকে চুন খসার অপেক্ষা।
ব্রেকিং নিউজ, সাতসকালে দেশশুদ্ধ রটে যে
খালেদা আর শেখ হাসিনা একসঙ্গে কটেজে,
গলায় গলায় হেঁটে বেড়ান কক্সবাজারের তটে যে।
এক বিষয়ে মিল হয়েছে দুই নেত্রীর মতে যে,
সবার সাথে বয়স তাঁদের বাড়ছে যেমন সতেজে,
এই পৃথিবী আর কতদিন, ফিরতে হবে খ’তে যে।
১৯৬২ সালের এক ছয় বছরের অনুসন্ধিৎসু বালকের কথা বলি। ডাক্তার বাবার ব্যাগ থেকে সবক’টা থার্মোমিটার হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে যে দেখতে চেয়েছিলো, পারদ কি জিনিস! রেডিওতে গান শুনে শুনে বাবার কাছে প্রশ্ন করে বসলো, সব গানগুলোর এই ‘তুমিটা’ কে বাবা? মাকে বান্ধবীদের কাছে গল্প করতে শুনে যে তার জন্ম হয়েছে আটমাসে আর বড়ভাইটির সাতমাসে, মাকে অপ্রস্তত করে শুধিয়ে, কোন্ দিন থেকে আটমাস গুণেছিলে মা?