নিদেনপক্ষে নিজের কথা বলিতে পারি। সব জানিয়া শুনিয়াই সৌদিআরবে গমন করিয়াছিলাম। উড়াল দেবার পূর্ব রজনীতে মাথায় আদরের হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিয়ছিলেন আমার জান্নাতবাসী আম্মাজান, কঠিন আইন কানুনের দেশ বাজান, সাবধানে থাকিবা। সৃষ্টিকর্তার পরে পূত্রের উপরও বড়ো বেশী ভরসা ছিলো মা জননীর আরেকখানি কারণে। খুন-খারাপী করিবে কি, চৌর্যবৃত্তি কি পরনারী গমনের জন্য যে বুকের পাটার প্রয়োজন, তাহারই বড়ো অভাব ছিলো মা-অন্তপ্রাণ ছ
সেই মেয়েটার চোখের তারার ঝলকে,
মন ছেলেটার কি উচাটন পলকে,
পথ হারালো তার গুচ্ছ অলকে।
স্বর্গ বুঝি আসলো নেমে ভূলোকে!
কি মনোরম রাঙালো দিনগুলোকে,
রাখলো তারে অসাধারণ পুলকে।
অসাবধানে যেই না ছুঁলো আমায় তোমার আংগুলে,
কে যে আমায় খাইয়ে দিলো চরম নেশার ভাং গুলে।
প্রেম জগতের আংগিনাতে ছিলাম বড়ো নিঃস্ব রে,
কোন পূণ্যে তোমায় দিলেন মিলিয়ে আমায় ঈশ্বরে।
হৃদয় আমার একটি কথা বলছে প্রতি নিঃশ্বাসে,
এই জীবনের, এই শরীরের, এই আত্মার হিস্যা সে।
বাতাস যখন জমায় খেলা তোমার কালো কুন্তলে,
আমার সকল হৃদয় জুড়ে প্রেম রাগিণীর ধুন তোলে।
তোমার ঠোঁটের কূল ভাংগলে আনন্দে কি উচ্ছ্বাসে
গোলাপ গোঁজা আম্মুজানের খোঁপায়
কন্যা দেখে বায়না ধরে, ফোঁপায়,
আমার কখন হচ্ছে অমন চুল?
গুঁজবো কবে রক্তজবার ফুল?
আব্বু যখন নেই থাকবেন বাড়ী,
পুত্র করে রেজর নাড়ানাড়ি,
আর ভাবে সে কখন হবে দাড়ি?
শেভটা করার বেজায় তাড়াতাড়ি!
একটি মেয়ে ব্যালকনিতে আইছিলো,
অল্প করে আমার পানে চাইছিলো,
দেখতে বড়ো মিষ্টি তবে ‘শাই’ ছিলো,
সেই চাহনি আমার বুকে ঘাঁই ছিলো।
হয়তো মেয়ে আমায় ভালো পাইছিলো,
একটু যেনো আমার প্রতি লাই ছিলো,
মনটা আমার প্রেমের গীতি গাইছিলো
ভাবনা গুলো আকাশ পানে ধাইছিলো।
এমনি করে দিনগুলো বেশ যাইছিলো,
‘মোরাল’ আমার অনেক বেশি ‘হাই’ ছিলো
হৃদয় জুড়ে সেই মেয়েটার ঠাঁই ছিলো,
জানতোটা কে সামনে বিরাট খাই ছিলো!
বাসা পাশা পাশি,
ছিলো আসা আসি,
সেই থেকে হয়ে গেলো
ভালোবাসাবাসি।
ওরা লেখে চিঠি,
কতো কথা মিঠি,
দিনে দিনে বাড়ে দুটো
হৃদয়ের ‘গিঁঠি’।
বিষাদ-সিন্ধুর আমাদের গৃহ প্রবেশ ঘটেছিলো পরম আনন্দের দিনে। কারা যেনো একসাথে মীর মোশাররাফ হোসেনের বিষাদ-সিন্ধু, মোকছেদুল মুমেনীন আর আবুল হাসানাতের বিশেষ বিজ্ঞানের একখণ্ড বই আমাদের বিয়েতে উপহার দিয়েছিলো।
চলার পথে মিললো দেখা রূপকুমারী এক,
এক পলকে দিলাম তারে মনটা আমার ব্যাক,
না পাবার এই জীবনটাতে সে যেনো ‘গিফ্ট প্যাক’,
জীবন আমার ধুঁকছিলো আর সে দেয় তাতে ‘জ্যাক’।
পাইনিকো টের খল নিয়তি হাসছিলো খ্যাঁক খ্যাঁক,
রূপকুমারী কোন দোষে যে আমায় দিলো ছ্যাঁক,
সেই সুবাদে বদলে গেলো জীবন চলার ‘ট্র্যাক’,
ছন্দহারা লক্ষ্যহীনা দিনগুলো হয় ‘ব্যাক’।।
খন্দকার আলমগীর হোসেন
এই যে রূপবতী,
দুর্গা সরস্বতী,
করবে দয়া অতি,
প্রেম পূজারীর প্রতি?
আমার প্রানের জ্যোতি,
দিলেম অবগতি,
তোমায় ঘিরে ব্রতী,
তোমাতে সংহতি।
তোমায় নিয়ে ভাবনা আকাশ কুসুম,
পাইলে তোমায় ‘কেতনা যে ম্যায় খুশ্’ হুম,
জীবনটা পায় ভালোবাসার উষুম।
তোমায় আমি অনেক ভালবাসুম,
ইচ্ছামতো তোমার কাছে আসুম,
খুশীর ঠেলায় অট্টহাসি হাসুম।