"এই যে মূর্তিটা দেখছেন আপনারা, এটা লামিয়ার মূর্তি। পুরাণের ভয়ংকর এক দানব এই লামিয়া। এর কোমর থেকে কেমন সাপের মত, দেখেছেন? আর এই যে ছোটরা, লামিয়া কি করে জানো? বাচ্চাদের ধরে ধরে কুড়মুড় করে খায়!"
জাপানের রূপকথার ওনিবাবা কে বাংলা করলে দাঁড়াবে ডাইনী বুড়ি।
১
মুনীর হক ভয় টয় একটু কমই পান। রাত বিরেতে একলা চলাফেরার অভ্যাস তাঁর আজকের নয়। ভয় থাকে শুধু ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়ার। ভূত প্রেত কথাগুলো তাঁর কাছে আজগুবি লাগে, হাসিও পায় বেশ। বয়সটা মনে হয় তিনি পেরিয়ে গেছেন অনেক আগেই। এইতো এই বছর পঞ্চান্ন পেরুলেন। তবে ভয় পেতেন একসময়, সেই ছোটবেলায়। শীতকালে গ্রামের বাড়িতে গেলে সব পিচ্চিকাচ্চি তাঁর মা'র কাছে এসে গল্প শুনতে চাইতো। যখন সবাই উঠানে গোল হয়ে খেজুরের রস জ্বাল দিতো, তখন তাঁর মাকে ঘিরে গল্পের বায়না আসতো। মা যখন ভূতের গল্প বলতেন তখন তিনি মায়ের কোলে একদম সেঁটে বসে শুনতেন সব গল্প। মা খুব সুন্দর গল্প বলতে পারতেন।
প্রচণ্ড এক অণ্ড শূন্য লণ্ডভণ্ড করি -
সজোরে পড়িলো, শুরু হইলো হুড়াহুড়ি
সশব্দে ফাঁটিলো করি মহা সে বিস্তার
সকলে ভাবিলো আর নাই গো নিস্তার!
ত্রিভুবন কাঁপাইয়া দেখো মহা ঝাঁকি লাগে
দেব'এ দৈত্য-স্কন্ধে করি পড়িমরি ভাগে!
শুভ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি। দিবা-রাত্রি-দুপুর-সন্ধ্যা কোন সময়ই, ঘুমে কিংবা আধো-ঘুমে একটিবারের জন্যও স্বপ্ন দেখেনি সে।
যখন ছোট ছিলো, তখন সে সবাইকে বলতে শুনতো স্বপ্নের কথা। "স্বপ্ন কী মা?" একদিন মাকে নাকি জিজ্ঞেস করে শুভ। মা বলেছিলেন, "ঘুমের মধ্যে সবাই দেখে, নানারকম সব ঘটনা, এই নিজেদের নিয়েই।"
"কী দেখে মা?"
ঠিক সূর্যাস্তের সময়ে তারা পৌঁছায় পাহাড়ের পাদদেশে। কোন প্রাণের অস্তিত্ব নেই সেখানে। একফোঁটা পানি কিংবা কোন বৃক্ষ.. কোন পাখির ছায়া, কিচ্ছু না। শুধু শূন্যতার উপর ভর করে ওঠা শূন্যতা আর সেই প্রকাণ্ড পাহাড়, যার চূড়া হারিয়ে গিয়েছিলো ওই স্বর্গে।
বোধিসত্ত্ব তাকান তার সহযাত্রী যুবকটির দিকে, বলেন, -
“তুমি যা দেখতে চাও, তাই তোমাকে দেখানো হবে। কিন্তু তা এখনো অনেক দূর, আর যাত্রাপথ বড়োই দুর্গম। আমাকে অনুসরণ করো, ভয় পেয়ো না। শক্তিই তোমাকে আশ্রয় করবে।”
একদিন এট্টা মাছি উইড়া উইড়া খালি বসপার নাগছিলো এক হরিম খাউক্কা বাঘের নাকে
বাঘে যত থামথুম দ্যায়, ওডা তো মানেই না
বাঘে একসময় বিরক্ত হয়া কয়- 'কিরে? তোর সীন কী?'
মাছি পুনপুনাইয়া কয়- 'মামু, আমি এট্টু রক্ত খাইপার চাই, আমারে এট্টু রক্ত খাইতে দ্যান'
বাঘে কয়, 'ক্যারে- তুই না দুদের মাছি? রক্ত খাবার চাস ক্যা? তুই কি পিচাশ নিহি?'
মাছি কয়, 'হুরো! রক্ত খাইতে হইলে পিচাশ হওন লাগে নিহি? রক্তের টেশ-ই আলাদা! দ্য ...
১
সিগারেটে শেষ টান দিয়ে ফিল্টারটা তর্জনি আর বুড়ো আঙ্গুলের কসরতে ট্রিগারের মত টেনে ছেড়ে দেয় রাজু। বেশ দূরে রাস্তার উপর গিয়ে পড়ে সিগারেটটা; বেশ খানিকটা স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে। বাম হাতে গাল চুলকোতে চুলকোতে ডান হাতে আরেকবার স্পর্শ করে সে পিছ-কোমরে গোঁজা পিস্তলে, আর তখনি দেখে লোকটাকে। রাস্তার ওপাশ থেকে হেঁটে আসছিলো লোকটা। পূর্ণিমার আলোয় হালকা ছায়া পড়ে সবকিছুর। রাজু এগিয়ে যায়।
আজকে কো ...