একদিন ছবির হাটে এট্টা সবুজ বাঘ ঘুরবার নাগছিল
এট্টা ছবির সামনে অনেকক্ষণ খাড়ায়া চাইয়া থাহার পরে
হে হেইডা খুইলা নিয়া হাডা দিল
দূর থে আমি দেহা ‘কর কি কর কি’ কইয়া কাছে আইলেই কইল
- সর সর এই ঘাডে আমি আগে আইছি!
আমি কইলাম
- বাঘাদা ঘাট কই পাইলা! সীন কি?
হে কইল
- দেহছ না ছবির মইদ্দে পানি টলটল করে, কি সুন্দর পানি..
আমি আগে আইসি,
ওই পানি আমি খাম
আর আমি আবারো বুঝলাম..
দুনিয়াজুড়া খালি ভ্রান্ত ধারমা..
আ...
বিষ্ণু ফুঁসতাছিল, "ব্যাটা তোরে যে পাগল ছাগল কয় তুই হালায় আসলেই পাগল ছাগল, হালায়..."
"আরে বাল! আমি বুঝসি না বাল.. হালায়... এতো চেতোস ক্যা? ভ্যাটকাইয়া কয় শিবু। একগাদা ছাইয়ের সামনে দাঁড়ায়া খেউড়াইছিল দুইটায়। জায়গাটার কথা আর কি কমু! ধুঁয়া আর ছাইয়ে একাকার। করছে কি শুনেন..
কোন হালায় এক ভস্মাসুর বলে তপস্যা লাগাইছে শিবুর নাম কইরা। হালায় কেমন বাউড়া! ঠ্যাং একটা গাছের ডালে বাইন্ধা উল্টা হইয়া ঝুলসে...
এমনিতে চুপচাপ
মুখ টিপে হাসে সে
মাঝে মাঝে হাতমুঠো
খুক খুক কাশে সে
ছন্দের খেলাধূলা
বেশ জানা আছে তার
ঠিক কথা বলবেই
ঘাড়টা যে ত্যাড়া তার
ছোটখাটো আয়তনে
লেখাগুলো খ্যাপাটে
ছন্দের গুতা মেরে
পারে ঠিক খ্যাপাতে
কাউরে সে ছাড়ে না
করে না যে ভেদাভেদ
লাখে এক ছোড়া সে যে
আকতার আহমেদ
বেশ কিছুদিন হল
টিকিটার খোজ নাই
ছড়া ছেড়ে-ছুড়ে ছোড়া
কই গেল জানো ভাই?
একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি: ব্যাটার আজকে জন্মদি...
ভাবছিলাম হিচককের মুভিগুলো নিয়ে লেখবো। কিন্তু এই সাসপেন্সের বাপের মুভি রিভিউ আমি আর কি দেবো বরং গল্পের শুরুগুলো একটু ধরিয়ে দেই। হিচককের মুভির একটা ব্যাপার আছে, ব্যাটা সাসপেন্সকে নিয়ে এত ভয়ানক খেলা করতে পারে যে সে না দেখলে বলে বুঝানো যাবে না। কিছু দৃশ্য আছে, জানি এরপরে কি হবে তবু দেখা যাবে আপনিতেই আমার দম আঁটকে গেছে অথবা বুক কেঁপে গেছে পরের দৃশ...
স্যাট্রিয়ানির কিছু সুর আছে যেগুলো আমার মনে হয় বিশেষ করে রাতের জন্যই করা। যখন সারাদিনের কাজ, খাওয়া, দৌড়, আড্ডা শেষে নিজের ঘরে কানে হেডফোন দিয়ে শুনতে বসি গানগুলো, আমার মাথা নষ্ট হয়ে যায়। আমার সামনে রাত আর স্যাট্রিয়ানির সুর মিলেমিশে অদ্ভুত এক মূর্তি নিয়ে এসে দাঁড়ায়। কখনো সুরগুলো মিশে যায় শহুরে কোন গভীর রাতের নির্জনতায়.. আনন্দ, বিষা...
সহস্রমাল্যের কথা : নরসুন্দর বস্ত্রবণিক পর্ব
সহস্রমাল্যের কথা : নর্তকী অশ্ববণিক পর্ব
সহস্রমাল্যের কথা : প্রহরীপ্রধান মহারাজ পর্ব
----------------------------------------------
রাজার মুকুটের পাথর আর অলংকারাদি থলেতে পুরিয়া রাত্রিকালীন শীতল বিশুদ্ধ বাতাস খাইতে খাইতে সহস্রমাল্য তখন আপন গৃহে ফিরিতেছিল। ক্ষণে ক্ষণেই সে আপনমনে হাসিয়া উঠিতেছিল; ক...
সহস্রমাল্যের কথা : নর্তকী অশ্ববণিক পর্ব
সহস্রমাল্যের কথা : নরসুন্দর বস্ত্রবণিক পর্ব
---------------------------------------------
সেইদিন সন্ধ্যায় সহস্রমাল্য একজন সভ্য ভদ্র নাগরিকের বেশে নগরীর জুয়াখেলার স্থলে গিয়া উপস্থিত হইল। সে জানিয়া নিয়াছিল প্রহরীপ্রধান মহাশয় পাশার জুয়া খেলিতে পছন্দ করিত। কিয়ৎক্ষণ ঘুরিবার পরেই সে দেখিতে পাইল সেই প্রহরীপ্রধানকে। অনেকক্...
সহস্রমাল্যের কথা : নরসুন্দর বস্ত্রবণিক পর্ব
---------------------------------------
সেইদিন সন্ধ্যায় রাজসভার সেই অশ্ববণিক যখন নগর হইতে অনতিদূরে আপন তাম্বুতলে বিশ্রাম লইতেছিল, দেখিল, দূর হইতে কে যেন এদিকেই আসিতেছে। ক্রমে সেই ব্যক্তি আরো নিকটে আসিলে সে বুঝিল, ভদ্রলোক কোন উচ্চবংশীয় ধনী হইবেন। হায়.. যদি সে বুঝিত.. এ ছিল সেই তস্কর সহস্রমাল্য!
সহস্রমাল্য অশ্ববণিকের সম্মুখে আসিয়া জিজ্...
বহুকাল পূর্বের কথা। ভারতবর্ষের কৌশাম্বি নগরে সহস্রমাল্য নামে এক তস্কর বাস করিত। চুরি করিয়াই সে জীবন ধারণ করিত আর গৃহে বৃদ্ধা জননীর দেখাশোনা করিত। এক রাত্রে সহস্রমাল্য চুরি করিতে বাহির হইল। এদিক ওদিক চাহিয়া, কাউকে না দেখিতে পাইয়া সে এক স্বর্ণকারের দোকানের ছাদে উঠিয়া বসিল। কিন্তু সহস্রমাল্য জানিত না, সেইদিন দোকানে স্বর্ণকারের ছেলে ঘুমাইয়া ছিল। সহস্রমাল্য অতি সন্তর্পণে ছাদে ...
দেখো খেলি আম পাতা জোড়া
দেখো চাবকে চালাই ঘোড়া
সরে দাঁড়াও!
সরে যাও!
চা বিস্কুট হাতে মেম, সাহেব সরে যাও
যত প্রাচীন শৈশব
মাটির হাতি ঘোড়ার ভুত সরে যাও
মায়াময় বুবু সরে যাও
নোটন নোটন পায়রারা সরে যাও
আমার মায়ের সোনার নোলক
সবাই সরে যাও সরে দাঁড়াও।
অথবা থাক ছবি হয়ে
ছোটবেলার সেই ছড়ার বইয়ে
আর দেখো আমাকে
উঠে এসেছি বই থেকে সেই কবে
চাবকে চালাচ্ছি এখনো নিজেকে
খেলছি এখনো দেখো নিজে নিজে
এখন আ...